চার বছর আগের হারের ক্ষত এখনো দগদগে। এখনো মেনে নিতে পারছেন না ২০২০ সালের নির্বাচনি ফলাফল। নির্বাচনের ঠিক আগের দিন চার বছর আগেকার ফল নিয়ে নয়া সুর শোনা গেল রিপাবলিক শিবিরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়। গত রবিবার পেনসিলভানিয়ায় প্রচারে গিয়ে তার সাফ বক্তব্য, ২০২০ সালের ফলাফল ভুয়া ছিল। তার উচিত হয়নি ওই ফলের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাওয়া। পাশাপাশি ট্রাম্প এই ইঙ্গিতও দিলেন, নির্বাচনের দিন সময়মতো বের হবেন বাড়ির বাইরে। তাতে ডেমোক্র্যাট শিবিরের আশঙ্কা, রিপাবলিকান প্রার্থী আগাম নিজের জয় ঘোষণা করে দিতে পারেন। আর তা ঠেকাতে প্রস্তুত প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিস শিবির।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা দিক থেকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। ইউক্রেন থেকে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি, চীন ও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশ্বের সামরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক বিষয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করবে এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প অথবা ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের জয়ের ভিত্তিতে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে সব সমীকরণ। ভিন্ন খাতে বইতে পারে বিশ্বের একাধিক ঘটনাপ্রবাহ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। নির্বাচনি সমীক্ষা অনুযায়ী টানটান যুদ্ধে খানিকটা এগিয়ে ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। তবে ‘সুইং স্টেট’ বা খাঁটি শ্বেতাঙ্গ ভোটের জোরে ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই পরিস্থিতিতে শেষবেলার নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল নিয়ে ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন। সেবার ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদে বসেছিলেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। আর এই ফল মেনে নিতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলস্বরূপ পরের বছরের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পপন্থিদের তাণ্ডবের ছবি দেখেছিল গোটা বিশ্ব। আর ২০২৪ সালের ভোটের আগে ফের হারের স্মৃতি যেন উসকে উঠল।
পেনসিলভানিয়ার প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি যেদিন হোয়াইট হাউস ছেড়েছি, সেদিন থেকেই দেশে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে শুরু করেছে। এখন মনে হচ্ছে, হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত হয়নি আমার। আমরা খুব ভালো ফল করেছিলাম।’