ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যেভাবে একে অপরকে আক্রমণ দুই প্রার্থীর

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
যেভাবে একে অপরকে আক্রমণ দুই প্রার্থীর
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ (৫ অক্টোবর)। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন এটি। নির্বাচনি প্রচারে এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীকে ঘায়েল করতে সব ধরনের কৌশল প্রয়োগ করেছেন। রাজনৈতিক বক্তব্যের বাইরে গিয়ে অনেক সময় তারা ব্যক্তিগত আক্রমণেও লিপ্ত হয়েছেন।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে ভোটারদের সামনে তার কথিত ‘সমাপ্তি যুক্তি’ তুলে ধরেন। আর রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভানিয়ায় প্রচার অভিযান চালান।

উভয় প্রার্থীই আগামী চার বছরের এই নতুন মেয়াদে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুপযুক্ত বলে পরস্পরের অবমূল্যায়ন করছেন। কয়েক দশকের মধ্যে এই যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে চলেছে তাতে যেসব ভোটার কাকে ভোট দেবেন তা স্থির করেননি, তাদের কাছ থেকে উভয়ই ভোটের সুবিধা চাচ্ছেন।

জরিপে দেখা যাচ্ছে, ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ই সমান অবস্থানে রয়েছেন কিংবা খুব সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন অথবা পিছিয়ে আছেন। তবে এর সবটুকুই সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব- এতে ভুল হতেও পারে। এই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের প্রতিটিতেই কয়েক হাজার ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

হ্যারিস ও ট্রাম্পের শেষ মূহূর্তের ভাষণ সেই সব ভোটারকে একদিকে কিংবা অন্যদিকে ভোটদানে আগ্রহী করে তুলতে পারে, যারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে এই নির্বাচনি প্রচারাভিযানে তারা তাদের প্রতিশ্রুতিশীল ভোটদাতাদের শিগগিরই ভোটদান করতে কিংবা নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে বলেছেন যা ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে।

ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাব জানিয়েছে, ভোটের নির্ধারিত দিনের আগেই প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কিংবা ডাক মারফত আগাম ভোট দিয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে সাড়ে ১৫ কোটি লোক ভোট দেন।

পেনসিলভানিয়ার অ্যালেনটাউনের দিকে যাওয়ার আগে ট্রাম্প সমুদ্রপারে ফ্লোরিডায় মার-এ-লাগোতে বক্তব্য রাখেন। তিনি হ্যারিসকে, ‘মারাত্মকভাবে অযোগ্য, সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেন।

তবে ট্রাম্প সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন নেননি এবং গত রবিবার নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে টনি হিঞ্চক্লিফের এই কৌতুকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি, যেখানে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের হিস্প্যানিক অঞ্চল পুয়েতে রিকো হচ্ছে ‘আবর্জনার ভাসমান দ্বীপ’।

ট্রাম্পের নির্বাচনি অভিযান এই কৌতুক থেকে দূরে থেকেছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে এবিসি নিউজকে বলেন, তিনি হিঞ্চক্লিফকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘কেউ তাকে সেখানে নিয়ে এসেছিল, আমি জানি না সে কে।’

কোনো কোনো তীব্র প্রতিযোগিতামূলক রাজ্যে হাজার হাজার পুয়ের্তো রিকানের ভোট ফলাফল নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

হ্যারিসের নির্বাচনি প্রচারাভিযান দ্রুতই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা বলছেন, ‘লাটিনো ভোটারদের সাবেক প্রেসিডেন্ট যেভাবে দেখেন তার চেয়ে অনেক ভালো প্রাপ্য তাদের।’ 

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে উভয় প্রার্থীই দেখছেন কেবল পেনসিলভানিয়া রাজ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানেই ৩ লাখ পুয়ের্তো রিকান ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনি প্রচারাভিযানে হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ই পরস্পরকে অপমান করেছেন। ট্রাম্প হ্যারিসকে এমন একজন বলে উল্লেখ করেন যার ‘আই কিউ’ খুব কম এবং বলেন বিশ্বের অন্যান্য নেতার কাছে তিনি ‘খেলনার পুতুল’ হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘তারা তাকে সবটুকু ব্যবহার করবেন।’

আবার ট্রাম্পের ২০১৭-২০২১ আমলের সাবেক শীর্ষ কিছু সহযোগী তাকে ফ্যাসিবাদী বলে বর্ণনা করেছেন, যিনি তার দ্বিতীয় মেয়াদে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে শাসন করার ইচ্ছা পোষণ করেন। হ্যারিস বলেন, এই বর্ণনার সঙ্গে তিনি সহমত। ট্রাম্পও পাল্টা হ্যারিসকে একইভাবে বর্ণনা করেন।

কমলা হ্যারিস ‘এলিপ্স’-এ তার ভাষণের আগে কয়েকটি সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পকে আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হিসেবে তুলে ধরেন। এলিপ্স হচ্ছে সেই স্থান যেখান থেকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটলে যেতে বলেছিলেন এবং কংগ্রেস যাতে জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা না করতে পারে সে জন্য যেকোনো মূল্যে লড়াই করতে বলেছিলেন।

আমেরিকার সরকারের মূল স্থানে তাদের ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য দেড় হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনায় ১৪০ জন আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তি আহত হন এবং ক্যাপিটলে ২৯ লাখ ডলারের সম্পত্তির ক্ষতি হয়। 

পরে ১ হাজারের বেশি দাঙ্গাকারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং এদের মধ্যে যারা গুরুতর অপরাধ করেছেন তাদের কয়েক বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ট্রাম্প বলছেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দিতে পারেন।

হ্যারিসের প্রচারাভিযানে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘ট্রাম্প আমেরিকান জনগণের পরিবর্তে নিজের ওপর এবং তার শত্রুদের তালিকার ওপরই বেশি নজর দেবেন। কিন্তু হ্যারিস প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তার অগ্রাধিকারের তালিকার দিকে নজর দেবেন যাতে ব্য়য় কমানো যায় এবং আমেরিকানদের জীবন যাপনে সাহায্য করা যায়।’ সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতে ৬০ বছরের পুরনো অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার করে নতুন আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশটির অভিবাসন নীতিকে আধুনিকীকরণ এবং দীর্ঘকালীন সমস্যা যেমন- ভিসা ব্যবসা এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি অবিচার মোকাবিলা করতে এই সংস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। 

গত ২৮ নভেম্বর নতুন এই আইনটি আমিরি ডিক্রির মাধ্যমে জারি করা হয়। 

এই আইনটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কুয়েতি নাগরিকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত দেশটির নারীদের সন্তানরা ১০ বছরের জন্য আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ পাবে, যা ফি ছাড়াই নবায়নযোগ্য। এই সন্তানরা দেশ থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাইরে থাকলেও তাদের আবাসন হারাবে না।  

আইনটি ভিসা ব্যবসা ও শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া যারা অর্থের বিনিময়ে দেশটিতে প্রবেশ করবে, বাসস্থান বা ভিসা নবায়ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আরোপ করা হবে।

নতুন আইনে নিয়োগকর্তাদের জন্যও শর্ত রয়েছে। অভিবাসীদের মূল নিয়োগের বাইরে অন্য কোনো কাজে নিয়োগ দিতে পারবে না এবং কর্মীরা যদি অন্যের জন্য কাজ করেন তবে তার জন্য সঠিক অনুমতি লাগবে।  

আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো পরিবারভিত্তিক ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিসার ফি নির্ধারণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া বিদেশি গৃহকর্মী আনার জন্য সময় ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আইনটি মানবপাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবে।

আইন ভঙ্গকারীদের জন্য জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিশেষত যারা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবেন তাদের জন্য শাস্তি আরও কঠোর হবে।

এই নতুন আইনটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যকর হবে। কুয়েতকে আরও আধুনিকীকরণ করতে এই আইনটি সংস্কার করা হয়েছে।

কুয়েত সরকারের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব বিষয়ক সহকারী উপ-মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আলি আল আদওয়ানি সরকারের স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রতি প্রতিশ্রুতি জোরালো করেছেন। পাশাপাশি সব বাসিন্দার প্রতি সুষম আচরণ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

আইনটি ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে কুয়েত ভিসা ওয়েবসাইটে আপডেট আনার পরিকল্পনাও করেছে, যা আবাসন আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করবে। সূত্র: গালফ নিউজ

তাওফিক/পপি/ 

ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড ন্যাশন’ (এমএফএন) সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি বৈধতা হারিয়েছে বলে জানায় তারা।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আয়কর চুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালে ভারতের আদালতে এমএফএন চুক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কারণেই ভারতের বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।

চুক্তি মোতাবেক সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ আয়কর দিতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের রায়ে ভারতীয় আদালত সুইস প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শতাংশ কর দাবি করে।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবারের রায়ে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, রায়টি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে সুইজারল্যান্ডে বিনিয়োগরত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে  ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। 

সুইজারল্যান্ডের এই ঘোষণায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। 

নাংগিয়া অ্যান্ডারসন প্রতিষ্ঠানের সন্দিপ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি কর সামলানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে একেএম গ্লোবালের অমিত মহেশ্বরী বলেন, ‘এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক। চুক্তি প্রত্যাহারও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে। এভাবে দুদেশই তাদের প্রাপ্য কর সংগ্রহ করতে পারবে।’ সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/অমিয়/

বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের সেরা ধনী ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক্সে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন মাস্ক।

সম্প্রতি গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের বাজারদরে নাটকীয় পতনের পর ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। 

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠার পথেই আছে টেসলা। এই ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখতে পারলে গেটস আরও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক।

তিনি বলেন, ‘গেটস শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতি করছে, এটা তাকে বেশি দূর নিতে পারবে না। ইতোমধ্যেই বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে তার। এভাবে গেটস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন।’

সম্প্রতি বিল গেটস শেয়ার বাজারে ‘শর্ট পজিশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করে মাইক্রোসফটের মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
 
শর্ট পজিশন পদ্ধতিতে সাধারণত একজন বিনিয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধার নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। এরপর ওই শেয়ারই নিজে কম দামে কিনে মোটা অঙ্কের লাভ করেন।

কয়েক বছর আগে টেসলার আর্থিক টানাপোড়েনের সময় গেটস এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন মাস্ক।

তবে ২০২৩ সালে ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা মাস্কের জীবনী থেকে জানা যায়, এই পদ্ধতিতে গেটস উল্টো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

গেটসকে ‘ভন্ড’ আখ্যায়িত করে মাস্ক বলেন, ‘টেসলার সবচেয়ে দুর্বল সময়ে গেটস ক্ষতি করতে চেয়েছেন। আমার জানামতে তিনি এখনো আমাদের ক্ষতি করতে মুখিয়ে আছেন।’

একদিকে প্রকৃতি সংরক্ষণে অর্থ সহায়তা দিয়ে, অন্যদিকে টেসলার মতো জলবায়ু-সহায়ক প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গেটসের সমালোচনা করেন মাস্ক।

‘গেটস নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বলেই টেসলার সঙ্গে টক্কর নিতে চায়।’

২০২৪ সালে টেসলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর থেকে টেসলার শেয়ারে প্রায় ৫৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সম্প্রতি মাস্ক প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেফ বেজোসের সঙ্গে তার ব্যবধান প্রায় ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মূলত ব্যবসায়িক দর্শনের ভিন্নতার কারণেই মাস্ক ও গেটসের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। এ বিষয়ে মাস্ক খোলামেলা কথা বললেও গেটস কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নাইমুর/অমিয়/

দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করতে বিক্ষোভ করছে বিরোধীদলগুলো। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে চলেছেন। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইওলের দ্বিতীয় অভিশংসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই পদক্ষেপে সবাই চমকে যান। এমনকি তার দলের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বিরোধী দলগুলো। 

পরে তাদের আন্দোলনের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। 

গত সপ্তাহে ইউন প্রথম অভিশংসনের মুখোমুখি হন। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসনের ভোট বয়কট করায় কোরাম (সদস্য উপস্থিতি) পূর্ণ না হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। 

আজ (শনিবার) বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা এবং ভোটের আগে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। 

এদিকে পিপিপি নেতা হান ডং হুন এখন দলীয় সদস্যদের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি সদস্য জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন। 

বিরোধী দলের অভিযোগ, ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা সম্ভব নয়। পিপিপি সদস্যদের অভিশংসনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট ইউন তার ক্ষমতা হারাবেন। তবে তিনি অফিসে থেকে যাবেন যতক্ষণ না সাংবিধানিক আদালত তাকে সরিয়ে দেন বা পুনর্বহাল করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু কাজ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

তবে ইউন এই মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইন ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তিনি এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তবে তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেননি।

বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ইউন জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে সুরক্ষিত করতে তিনি সামরিক আইন প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন।

এদিকে সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অভিশংসনের পক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ইউনের সমর্থকরা সিউলের কেন্দ্রে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

লোকসভায় এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রত্যাশা করে ভারত

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রত্যাশা করে ভারত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল এবং পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্কে স্থির হবে, ভারত সেটাই আশা করে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির লোকসভায় (পার্লামেন্ট) প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে এদিন লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তার উত্তরে এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। নতুন সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

লোকসভায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সম্প্রতি পররাষ্ট্রসচিব (বিক্রম মিশ্রি) ঢাকা সফর করেন। তার বৈঠকে উঠে আসে এই প্রসঙ্গ। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেবে।’

জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে ভালো অতীত রয়েছে’ বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের ভালো অতীত রয়েছে। অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো বাংলাদেশেও একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত ভারত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত আশা করছে, দুই দেশের সম্পর্ক অটুট থাকবে।’ বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও চীন প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন জয়শঙ্কর। পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের জন্য প্রতিবেশী দেশকে দেখাতে হবে যে তারা সন্ত্রাসবাদমুক্ত।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });