ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বড় ইস্যু দ্রব্যমূল্য ও গাজা যুদ্ধ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বড় ইস্যু দ্রব্যমূল্য ও গাজা যুদ্ধ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স শহরের পশ্চিম পার্শ্বে লং আইলল্যান্ড সিটি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর এই নিউইয়র্কে বসবাস করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এই শহরের বাংলাদেশিদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। রাজনীতির মাঠে সবসময় সক্রিয়  থাকেন আহমেদ আলম। তিনি নিউইয়র্কের নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা শুধু বাংলাদেশিদের সমস্যা না বরং এটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর।’

কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসের রাইজ অব নিউইয়র্ক নামক সংগঠন কাজ করছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রার হতে আগ্রহী করার জন্য। তারা নিজেদেরকে মধ্যপন্থি অলাভজনক নিরপেক্ষ একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে। এর সভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা এদেশে থাকব। আমাদের ছেলেমেয়েরা এদেশে বড় হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করা এবং ভোট দেওয়া। আমরা যখন বেশি ভোট দেব তখন আমাদের রাজনীতিবিদরা কেয়ার করবেন। আমাদের যেসব প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো তারা পূরণ করবেন।’ 

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে- যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের মতো নিউইয়র্কও প্রস্তুতি নিয়েছে ৫ নভেম্বরের জন্য। জরিপে দেখা গেছে, যেসব বিষয় তাদের জন্য প্রধান বিষয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, পররাষ্ট্রনীতি, আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা ইত্যাদি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগও তাদের কাছে বড় বিষয়। এর বাইরেও অন্যান্য বিষয় রয়েছে যেমন- অভিবাসন, গর্ভপাতের অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ইস্যু। 

কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশিদের মতে, তাদের কাছে অন্যান্য বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। নিউইয়র্কে বেশির ভাগ বাংলাদেশি মুসলিম কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে আসেন নামাজ পড়তে বা আলোচনা করতে। অন্য মুসলিমদের মতো বাংলাদেশি মুসলিমরা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থক। কিন্তু গাজায় যুদ্ধ তাদেরকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটদেরকেই তারা ভোট দেবেন। তবে অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেবেন বা অন্যদের ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন। আবার একেবারেই ভোট না দেওয়ার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। 

এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মসজিদের ইমাম-মুসলমানদের ভোট কম যাবে। কারণ তাদেরকে কেউ খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারেননি। একজন ইমাম বলেন, ‘এ জন্য আমাদের মন্দের ভালো বেছে নিতে হবে। আমি মনে করি ভোট আমাদের অধিকার। ভোট না দিলে আমাকে কেউ গণ্য করবে না।’ 

গাজা যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলছে। সে কথাটি বলেছেন বামপন্থি এনজিও রাইজিং আপ অ্যান্ড মুভিং-এর পরিচালক কাজী ফাউজিয়া। তিনি বলেন, ‘এত লড়াইয়ের পরও যখন বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধবিরতি দিল না, যার কারণে বাংলাদেশি মানুষের প্রচণ্ড একটা আক্রোশ রয়েছে। এই নির্বাচনে বাইডেন সরে গিয়ে হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। তারপরও খুব একটা সন্তোষজনক অবস্থানে তারা যেতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় না। আমাদের কমিউনিটির মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়ে গেছে। সবার একই কথা, আমাদের দেওয়া ট্যাক্সে তারা যুদ্ধ চালাচ্ছে। মুসলিম ভাই-বোনদের তারা মারছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না ।’ 

তবে তাদের সবাই মনে করেন না- প্রতিবাদ বিপ্লব সব সমস্যার সমাধান। একটি প্রাইভেট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট খুররম খুরশীদ জুম্মা বলেন- ‘ আমি ভোট দেওয়ার বিষয়ে অনেক আগ্রহী ও উৎসাহী। ভোট দেওয়া শুধু আমার অধিকারই নয়, এটা আমার অধিকার আদায়ের একটা অস্ত্র। আপনি যদি শুধু কথাই বলেন, ভোট না দেন আপনাকে দেখাতে হবে আপনার শক্তি আছে আর শক্তিটা হচ্ছে আমার ভোটের অধিকার। আপনি যদি দেখেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক জায়গায় কিছু কমিউনিটি বেশ প্রভাব ফেলে। আমি মনে করি শুধু মুখে কথা না বলে আমরা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করি তাহলে রাজনীতিবিদরা আমাদের কথা শুনবেন।’

ম্যানহাটনের গ্রেনিচ এলাকায় অবস্থিত নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাণকেন্দ্র ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্ক। এখানে নারীবাদ এবং নৃবিজ্ঞান পড়ান অধ্যাপক দিনা সিদ্দিকী। তিনি তরুণ বাংলাদেশিদের মধ্যে হতাশার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা এখানে বড় হয়েছেন। ওদের মা বাবারা আসেন অনেক প্রত্যাশা নিয়ে। তারা অনেক ত্যাগ করতে রাজি। কিন্তু এখানে যারা বড় হয়েছেন, ওদের জন্য আমেরিকায় থাকা কিছু না। খুবই সাধারণ জীবন যাপন ওদের কাছে। বিশেষ করে চার বছরে ওরা দেখেছেন বাইডেন ওদের জন্য কিছু করছে না। বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা ওদের কিছুই দিচ্ছে না।’

জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় কর্মরত সামসুল হক বলেছেন, ‘আমরা চাই আমাদের তরুণরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট ব্যাংক ক্রিয়েট করবে। এর মাধ্যমে আমরা চাই পরবর্তী প্রজন্ম যখন আসবে তারা ইলেকটর হতে পারবে।’

আজকের নির্বাচনের  ফলাফল যেদিকেই যাক না কেন, নিউইয়র্কের বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই । 

ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনি। ছবি: সংগৃহীত

ইতালির নাগরিকত্ব নিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই। পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হওয়ায় তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

বিরোধী দলীয় নেতাদের দাবি, এই সিদ্ধান্তে ইতালির প্রেসিডেন্ট দ্বিমুখী নীতি বাস্তবায়ন করছেন।

পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হলে সহজেই দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে ইতালিতে জন্ম নেওয়া অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল।

ইতালির অভিবাসন সমর্থনকারী সংস্থাগুলো নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল করতে স্মারকলিপি জমা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিলেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে এক সূত্র জানায়, ইতালির সরকার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সরকার।

এই খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা রিকার্ডো ম্যাগি বলেন, ‘মিলেইকে নাগরিকত্ব দিয়ে হাজার হাজার ইতালির বাসিন্দার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালি সফরে এসে এক সাক্ষাৎকারে মিলেই জানিয়েছিলেন, তিনি জিনগতভাবে ‘৭৫ শতাংশ’ ইতালির নাগরিক। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/অমিয়/

কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতে ৬০ বছরের পুরনো অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার করে নতুন আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশটির অভিবাসন নীতিকে আধুনিকীকরণ এবং দীর্ঘকালীন সমস্যা যেমন- ভিসা ব্যবসা এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি অবিচার মোকাবিলা করতে এই সংস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। 

গত ২৮ নভেম্বর নতুন এই আইনটি আমিরি ডিক্রির মাধ্যমে জারি করা হয়। 

এই আইনটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কুয়েতি নাগরিকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত দেশটির নারীদের সন্তানরা ১০ বছরের জন্য আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ পাবে, যা ফি ছাড়াই নবায়নযোগ্য। এই সন্তানরা দেশ থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাইরে থাকলেও তাদের আবাসন হারাবে না।  

আইনটি ভিসা ব্যবসা ও শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া যারা অর্থের বিনিময়ে দেশটিতে প্রবেশ করবে, বাসস্থান বা ভিসা নবায়ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আরোপ করা হবে।

নতুন আইনে নিয়োগকর্তাদের জন্যও শর্ত রয়েছে। অভিবাসীদের মূল নিয়োগের বাইরে অন্য কোনো কাজে নিয়োগ দিতে পারবে না এবং কর্মীরা যদি অন্যের জন্য কাজ করেন তবে তার জন্য সঠিক অনুমতি লাগবে।  

আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো পরিবারভিত্তিক ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিসার ফি নির্ধারণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া বিদেশি গৃহকর্মী আনার জন্য সময় ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আইনটি মানবপাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবে।

আইন ভঙ্গকারীদের জন্য জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিশেষত যারা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবেন তাদের জন্য শাস্তি আরও কঠোর হবে।

এই নতুন আইনটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যকর হবে। কুয়েতকে আরও আধুনিকীকরণ করতে এই আইনটি সংস্কার করা হয়েছে।

কুয়েত সরকারের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব বিষয়ক সহকারী উপ-মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আলি আল আদওয়ানি সরকারের স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রতি প্রতিশ্রুতি জোরালো করেছেন। পাশাপাশি সব বাসিন্দার প্রতি সুষম আচরণ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

আইনটি ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে কুয়েত ভিসা ওয়েবসাইটে আপডেট আনার পরিকল্পনাও করেছে, যা আবাসন আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করবে। সূত্র: গালফ নিউজ

তাওফিক/পপি/ 

ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড ন্যাশন’ (এমএফএন) সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি বৈধতা হারিয়েছে বলে জানায় তারা।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আয়কর চুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালে ভারতের আদালতে এমএফএন চুক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কারণেই ভারতের বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।

চুক্তি মোতাবেক সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ আয়কর দিতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের রায়ে ভারতীয় আদালত সুইস প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শতাংশ কর দাবি করে।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবারের রায়ে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, রায়টি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে সুইজারল্যান্ডে বিনিয়োগরত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে  ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। 

সুইজারল্যান্ডের এই ঘোষণায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। 

নাংগিয়া অ্যান্ডারসন প্রতিষ্ঠানের সন্দিপ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি কর সামলানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে একেএম গ্লোবালের অমিত মহেশ্বরী বলেন, ‘এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক। চুক্তি প্রত্যাহারও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে। এভাবে দুদেশই তাদের প্রাপ্য কর সংগ্রহ করতে পারবে।’ সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/অমিয়/

বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের সেরা ধনী ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক্সে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন মাস্ক।

সম্প্রতি গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের বাজারদরে নাটকীয় পতনের পর ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। 

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠার পথেই আছে টেসলা। এই ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখতে পারলে গেটস আরও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক।

তিনি বলেন, ‘গেটস শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতি করছে, এটা তাকে বেশি দূর নিতে পারবে না। ইতোমধ্যেই বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে তার। এভাবে গেটস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন।’

সম্প্রতি বিল গেটস শেয়ার বাজারে ‘শর্ট পজিশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করে মাইক্রোসফটের মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
 
শর্ট পজিশন পদ্ধতিতে সাধারণত একজন বিনিয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধার নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। এরপর ওই শেয়ারই নিজে কম দামে কিনে মোটা অঙ্কের লাভ করেন।

কয়েক বছর আগে টেসলার আর্থিক টানাপোড়েনের সময় গেটস এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন মাস্ক।

তবে ২০২৩ সালে ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা মাস্কের জীবনী থেকে জানা যায়, এই পদ্ধতিতে গেটস উল্টো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

গেটসকে ‘ভন্ড’ আখ্যায়িত করে মাস্ক বলেন, ‘টেসলার সবচেয়ে দুর্বল সময়ে গেটস ক্ষতি করতে চেয়েছেন। আমার জানামতে তিনি এখনো আমাদের ক্ষতি করতে মুখিয়ে আছেন।’

একদিকে প্রকৃতি সংরক্ষণে অর্থ সহায়তা দিয়ে, অন্যদিকে টেসলার মতো জলবায়ু-সহায়ক প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গেটসের সমালোচনা করেন মাস্ক।

‘গেটস নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বলেই টেসলার সঙ্গে টক্কর নিতে চায়।’

২০২৪ সালে টেসলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর থেকে টেসলার শেয়ারে প্রায় ৫৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সম্প্রতি মাস্ক প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেফ বেজোসের সঙ্গে তার ব্যবধান প্রায় ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মূলত ব্যবসায়িক দর্শনের ভিন্নতার কারণেই মাস্ক ও গেটসের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। এ বিষয়ে মাস্ক খোলামেলা কথা বললেও গেটস কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নাইমুর/অমিয়/

দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করতে বিক্ষোভ করছে বিরোধীদলগুলো। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে চলেছেন। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইওলের দ্বিতীয় অভিশংসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই পদক্ষেপে সবাই চমকে যান। এমনকি তার দলের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বিরোধী দলগুলো। 

পরে তাদের আন্দোলনের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। 

গত সপ্তাহে ইউন প্রথম অভিশংসনের মুখোমুখি হন। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসনের ভোট বয়কট করায় কোরাম (সদস্য উপস্থিতি) পূর্ণ না হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। 

আজ (শনিবার) বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা এবং ভোটের আগে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। 

এদিকে পিপিপি নেতা হান ডং হুন এখন দলীয় সদস্যদের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি সদস্য জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন। 

বিরোধী দলের অভিযোগ, ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা সম্ভব নয়। পিপিপি সদস্যদের অভিশংসনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট ইউন তার ক্ষমতা হারাবেন। তবে তিনি অফিসে থেকে যাবেন যতক্ষণ না সাংবিধানিক আদালত তাকে সরিয়ে দেন বা পুনর্বহাল করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু কাজ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

তবে ইউন এই মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইন ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তিনি এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তবে তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেননি।

বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ইউন জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে সুরক্ষিত করতে তিনি সামরিক আইন প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন।

এদিকে সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অভিশংসনের পক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ইউনের সমর্থকরা সিউলের কেন্দ্রে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });