ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গুরুত্ব পাচ্ছে আরও যেসব বিষয়

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
গুরুত্ব পাচ্ছে আরও যেসব বিষয়
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নির্বাচনে ভোটারদের কাছে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হচ্ছে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন প্রার্থী কোন অবস্থানে আছেন সেটির পর্যালোচনা। এতে প্রার্থীদের অবস্থানের সঙ্গে ভোটারের স্বার্থ মিলে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন সহজ হয়ে যায়। প্রার্থীরাও ভোটারদের স্বার্থ মাথায় রেখেই নিজেদের আলোচ্যসূচি তৈরি করেন। বিশেষত ইস্যুগুলোয় প্রার্থীর জনমুখী অবস্থান নির্বাচনে আনডিসাইডেড তথা সুইং ভোটারদের কাছে টানতে সহায়তা করে।

অর্থনীতি ও অভিবাসন ছাড়াও এবারের নির্বাচনে যেসব বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে সেগুলো হলো- গর্ভপাতের অধিকার, পররাষ্ট্রনীতি, বাণিজ্য, জলবায়ু, স্বাস্থ্যসেবা, আইনশৃঙ্খলা, গাঁজা ও বন্দুক ব্যবহার। এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের নীতি কী, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভপাত: কমলা হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন এবং তিনি এ নিয়ে আইন প্রণয়নের পক্ষে যুক্তি দিয়ে চলেছেন, যা দেশব্যাপী নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প গর্ভপাতের বিষয়ে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছেন। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি যে তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করেছিলেন, তারা গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারকে বাতিল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পররাষ্ট্রনীতি: কমলা হ্যারিস ইউক্রেনকে ‘যতদিন প্রয়োজন’ সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে একবিংশ শতাব্দীর প্রতিযোগিতায় চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয় নিশ্চিত করবেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে ছিলেন এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের চিরায়ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ট্রাম্পের অবশ্য একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পররাষ্ট্রনীতি রয়েছে। তিনি চান, বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গার দ্বন্দ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূরে থাকুক। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করবেন। কিন্তু এমন পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আরও মরিয়া হয়ে উঠতে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প নিজেকে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে বারবার ঘোষণা করেছেন। তবে তিনি কীভাবে গাজা যুদ্ধ শেষ করবেন, সে সম্পর্কে খুব কমই বলেছেন। এ ছাড়া কমলা ক্ষমতায় আসলে ইসরায়েল রাষ্ট্র শেষ হয়ে যাবে বলেও সতর্ক করে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

জলবায়ু: কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন পাস করতে ভূমিকা পালন করেছিলেন। যা নবায়নযোগ্য শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ির ট্যাক্স ক্রেডিট ও রিবেট প্রোগ্রামে শত শত বিলিয়ন ডলারের প্রবাহ বাড়িয়েছে। গ্যাস ও তেল সংগ্রহে ফ্র্যাকিং (কঠিন শিলাস্তর থেকে গ্যাস ও তেল আহরণের কৌশল) কৌশলের বিরোধিতা করা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কমলা। পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছেন।

অন্যদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালে পরিবেশগত সুরক্ষার অনেকগুলো বিষয় পাল্টে দিয়েছিলেন, যার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও যানবাহন থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের সীমাও রয়েছে। এবারের প্রচারাভিযানে তিনি আর্কটিক ড্রিলিং (বরফাবৃত মেরু অঞ্চল থেকে তেল ও গ্যাস আহরণ) সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা: কমলা হ্যারিস একজন আইনজীবী হিসেবে তার জীবনাচারকে অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্পের বিপরীত বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির ভুয়া অভিযোগ তুলে ট্রাম্প তার সমর্থকদের উসকে দিয়ে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন তা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন কমলা। এ ছাড়া যৌন হেনস্তা অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প মাদকের কার্টেল ধ্বংস, গ্যাং সহিংসতা দমন করার পাশাপাশি অপরাধে আচ্ছন্ন শহরগুলোকে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করতে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিরোধীদের মোকাবিলা করতে সামরিক বা ন্যাশনাল গার্ড, রিজার্ভ ফোর্স ব্যবহার করবেন, যদি তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে। তাদের তিনি ‘অভ্যন্তরীণ শত্রু’ এবং ‘উগ্র বামপন্থি পাগল’ হিসেবে অভিহিত করেন। শিকাগোর মতো সহিংসতাপ্রবণ রাজ্যগুলোয় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের গণনির্বাসনে পাঠালে দেশে অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

বন্দুক: কমলা হ্যারিস বন্দুক সহিংসতা প্রতিরোধকে অন্যতম অঙ্গীকার হিসেবে তুলে ধরছেন এবং প্রায়শই এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনের পক্ষে কথা বলেছেন। যদিও তিনি ও তার রানিংমেট টিম ওয়ালজ উভয়েরই বন্দুক আছে। ট্রাম্প নিজেকে অস্ত্র বহনের সাংবিধানিক অধিকারের কট্টর রক্ষক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মে মাসে জাতীয় রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি তাদের সেরা বন্ধু।

গাঁজা: কমলা হ্যারিস বিনোদনের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে অপরাধ তালিকার বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গাঁজা বহনের জন্য অনেক লোককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনোদের সংখ্যাই বেশি।
ট্রাম্প তার সুর নরম করে বলেছেন, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অল্প পরিমাণ গাঁজা ব্যবহারের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের অপ্রয়োজনীয় গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো বন্ধ করার সময় এসেছে।

জেন্ডার ইস্যু: এলজিবিটিকিউ প্লাস ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটরা উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত। কমলা তাদের অধিকারের পক্ষে বেশ সরব। নির্বাচনি প্রচারে কমলা বলেছেন, ‘আপনি যাকে ভালোবাসেন খোলাখুলি বাসুন, গর্বের সঙ্গে বাসুন।’ যুক্তরাষ্ট্রে এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতাকে দমন করতে বেশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলবিষয়ক ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে ‘কেবল দুই জেন্ডার’ নীতি বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসকে আহ্বান করবেন।

এ ছাড়া তিনি রূপান্তরিত নারীদের ওপর সাধারণ নারীদের সঙ্গে খেলাধুলাসহ অন্য প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।

ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
ইতালির নাগরিকত্ব নিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনি। ছবি: সংগৃহীত

ইতালির নাগরিকত্ব নিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের হেরার্দো মিলেই। পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হওয়ায় তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

বিরোধী দলীয় নেতাদের দাবি, এই সিদ্ধান্তে ইতালির প্রেসিডেন্ট দ্বিমুখী নীতি বাস্তবায়ন করছেন।

পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক হলে সহজেই দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে ইতালিতে জন্ম নেওয়া অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল।

ইতালির অভিবাসন সমর্থনকারী সংস্থাগুলো নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া কিছুটা শিথিল করতে স্মারকলিপি জমা দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মিলেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে এক সূত্র জানায়, ইতালির সরকার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সরকার।

এই খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই।

এ প্রসঙ্গে দেশটির বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা রিকার্ডো ম্যাগি বলেন, ‘মিলেইকে নাগরিকত্ব দিয়ে হাজার হাজার ইতালির বাসিন্দার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালি সফরে এসে এক সাক্ষাৎকারে মিলেই জানিয়েছিলেন, তিনি জিনগতভাবে ‘৭৫ শতাংশ’ ইতালির নাগরিক। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/অমিয়/

কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় সংস্কার, নতুন আইন প্রবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

কুয়েতে ৬০ বছরের পুরনো অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার করে নতুন আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশটির অভিবাসন নীতিকে আধুনিকীকরণ এবং দীর্ঘকালীন সমস্যা যেমন- ভিসা ব্যবসা এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি অবিচার মোকাবিলা করতে এই সংস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। 

গত ২৮ নভেম্বর নতুন এই আইনটি আমিরি ডিক্রির মাধ্যমে জারি করা হয়। 

এই আইনটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- কুয়েতি নাগরিকত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত দেশটির নারীদের সন্তানরা ১০ বছরের জন্য আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ পাবে, যা ফি ছাড়াই নবায়নযোগ্য। এই সন্তানরা দেশ থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে বাইরে থাকলেও তাদের আবাসন হারাবে না।  

আইনটি ভিসা ব্যবসা ও শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া যারা অর্থের বিনিময়ে দেশটিতে প্রবেশ করবে, বাসস্থান বা ভিসা নবায়ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি আরোপ করা হবে।

নতুন আইনে নিয়োগকর্তাদের জন্যও শর্ত রয়েছে। অভিবাসীদের মূল নিয়োগের বাইরে অন্য কোনো কাজে নিয়োগ দিতে পারবে না এবং কর্মীরা যদি অন্যের জন্য কাজ করেন তবে তার জন্য সঠিক অনুমতি লাগবে।  

আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো পরিবারভিত্তিক ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিসার ফি নির্ধারণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া বিদেশি গৃহকর্মী আনার জন্য সময় ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আইনটি মানবপাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবে।

আইন ভঙ্গকারীদের জন্য জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বিশেষত যারা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবেন তাদের জন্য শাস্তি আরও কঠোর হবে।

এই নতুন আইনটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যকর হবে। কুয়েতকে আরও আধুনিকীকরণ করতে এই আইনটি সংস্কার করা হয়েছে।

কুয়েত সরকারের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব বিষয়ক সহকারী উপ-মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আলি আল আদওয়ানি সরকারের স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রতি প্রতিশ্রুতি জোরালো করেছেন। পাশাপাশি সব বাসিন্দার প্রতি সুষম আচরণ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।

আইনটি ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে কুয়েত ভিসা ওয়েবসাইটে আপডেট আনার পরিকল্পনাও করেছে, যা আবাসন আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করবে। সূত্র: গালফ নিউজ

তাওফিক/পপি/ 

ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড ন্যাশন’ (এমএফএন) সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি বৈধতা হারিয়েছে বলে জানায় তারা।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আয়কর চুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালে ভারতের আদালতে এমএফএন চুক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কারণেই ভারতের বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।

চুক্তি মোতাবেক সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ আয়কর দিতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের রায়ে ভারতীয় আদালত সুইস প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শতাংশ কর দাবি করে।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবারের রায়ে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, রায়টি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে সুইজারল্যান্ডে বিনিয়োগরত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে  ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। 

সুইজারল্যান্ডের এই ঘোষণায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। 

নাংগিয়া অ্যান্ডারসন প্রতিষ্ঠানের সন্দিপ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি কর সামলানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে একেএম গ্লোবালের অমিত মহেশ্বরী বলেন, ‘এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক। চুক্তি প্রত্যাহারও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে। এভাবে দুদেশই তাদের প্রাপ্য কর সংগ্রহ করতে পারবে।’ সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/অমিয়/

বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন: মাস্ক
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের সেরা ধনী ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক্সে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন মাস্ক।

সম্প্রতি গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের বাজারদরে নাটকীয় পতনের পর ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। 

এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠার পথেই আছে টেসলা। এই ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখতে পারলে গেটস আরও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক।

তিনি বলেন, ‘গেটস শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতি করছে, এটা তাকে বেশি দূর নিতে পারবে না। ইতোমধ্যেই বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে তার। এভাবে গেটস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন।’

সম্প্রতি বিল গেটস শেয়ার বাজারে ‘শর্ট পজিশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করে মাইক্রোসফটের মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
 
শর্ট পজিশন পদ্ধতিতে সাধারণত একজন বিনিয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধার নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। এরপর ওই শেয়ারই নিজে কম দামে কিনে মোটা অঙ্কের লাভ করেন।

কয়েক বছর আগে টেসলার আর্থিক টানাপোড়েনের সময় গেটস এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন মাস্ক।

তবে ২০২৩ সালে ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা মাস্কের জীবনী থেকে জানা যায়, এই পদ্ধতিতে গেটস উল্টো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

গেটসকে ‘ভন্ড’ আখ্যায়িত করে মাস্ক বলেন, ‘টেসলার সবচেয়ে দুর্বল সময়ে গেটস ক্ষতি করতে চেয়েছেন। আমার জানামতে তিনি এখনো আমাদের ক্ষতি করতে মুখিয়ে আছেন।’

একদিকে প্রকৃতি সংরক্ষণে অর্থ সহায়তা দিয়ে, অন্যদিকে টেসলার মতো জলবায়ু-সহায়ক প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গেটসের সমালোচনা করেন মাস্ক।

‘গেটস নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বলেই টেসলার সঙ্গে টক্কর নিতে চায়।’

২০২৪ সালে টেসলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর থেকে টেসলার শেয়ারে প্রায় ৫৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সম্প্রতি মাস্ক প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেফ বেজোসের সঙ্গে তার ব্যবধান প্রায় ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মূলত ব্যবসায়িক দর্শনের ভিন্নতার কারণেই মাস্ক ও গেটসের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। এ বিষয়ে মাস্ক খোলামেলা কথা বললেও গেটস কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নাইমুর/অমিয়/

দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করতে বিক্ষোভ করছে বিরোধীদলগুলো। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে চলেছেন। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইওলের দ্বিতীয় অভিশংসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই পদক্ষেপে সবাই চমকে যান। এমনকি তার দলের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বিরোধী দলগুলো। 

পরে তাদের আন্দোলনের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। 

গত সপ্তাহে ইউন প্রথম অভিশংসনের মুখোমুখি হন। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসনের ভোট বয়কট করায় কোরাম (সদস্য উপস্থিতি) পূর্ণ না হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। 

আজ (শনিবার) বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা এবং ভোটের আগে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। 

এদিকে পিপিপি নেতা হান ডং হুন এখন দলীয় সদস্যদের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি সদস্য জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন। 

বিরোধী দলের অভিযোগ, ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা সম্ভব নয়। পিপিপি সদস্যদের অভিশংসনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট ইউন তার ক্ষমতা হারাবেন। তবে তিনি অফিসে থেকে যাবেন যতক্ষণ না সাংবিধানিক আদালত তাকে সরিয়ে দেন বা পুনর্বহাল করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু কাজ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

তবে ইউন এই মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইন ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তিনি এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তবে তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেননি।

বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ইউন জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে সুরক্ষিত করতে তিনি সামরিক আইন প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন।

এদিকে সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অভিশংসনের পক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ইউনের সমর্থকরা সিউলের কেন্দ্রে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });