যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতির আশা দেখছে না চীনের সাধারণ নাগরিকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক অবস্থা নির্ভর করছে। তবে চীনে এ নির্বাচনের খবর বিধিনিষেধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
যে প্রার্থীই নির্বাচিত হোক দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানান চীনের বাসিন্দারা।
বেইজিংয়ের অধিবাসী লি শুও বলেন, কমলা জিতুক আর ট্রাম্প, তাতে আশাব্যঞ্জক কিছু ঘটার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
চীনের সাধারণ মানুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখা যায়। বিশ্বের আর্থ-সামাজিক ও রাজনতিক প্রেক্ষাপটে চীনের ক্রমেই শক্তিশালী অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়তই বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। গত দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনের কেউই চীনের প্রতি বন্ধুসুলভ কূটনৈতিক অবস্থান দেখায়নি বলেও মত তাদের।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকতে দেননি। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে তিনি চীনের নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে বিরূপ মন্তব্য করেন।
এ দিকে, বাইডেন তার আমলে চীনের সঙ্গে তুলনামূলক স্থির কুটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষপাতি হলেও চীনা পণ্যের ওপর বাণিজ্যিক শুল্ক টিকিয়ের রেখেছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে চীনের বিরোধিতা করার কারনে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক দুরত্ব আরও বেড়েছে।
এদিকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানপোড়েনের কারনেও এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শি ইনহং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যত বড় পরিবর্তনই আসুক, চীনের প্রতি তাদের বিরূপ কূটনৈতিক নীতির ব্যতয় ঘটবে বলে আশা করতে পারছি না।
চীনে ক্ষমতায় থাকা কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির গণযোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে চায়না ডেইলি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কার্টুনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা ব্যাঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সুত্র: সিএনএন
নাইমুর/অমিয়/