অবশেষে ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে চূড়ান্তভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এতদিন কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট গ্রহণ চললেও মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পেনসিলভানিয়া, অ্যালাবামা, আইওয়া, নর্থ ডেকোটা, ওকলাহামা, জর্জিয়াসহ প্রায় ২০টি প্রদেশে ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। অনেক ভোট কেন্দ্র খোলার আগেই সেখানে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগাম ভোটে ট্রাম্প ও কমলা সমান ভোট পেয়েছেন। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ওপর ভোটের ফলাফল নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে। কোনো একজন প্রার্থীকে এককভাবে ২৭০টি কলেজ পেতে হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে।
জনমত জরিপে জানা যাচ্ছে, কমলার সঙ্গে তুমুল লড়াই হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে এখন পর্যন্ত ট্রাম্প এগিয়ে। পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা, মিনেসোটা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, উইসকনসিন—এই দোদুল্যমান রাজ্যগুলোই ঠিক করবে হোয়াইট হাউসে কে ফিরছেন।
একজন প্রার্থী শতকরা বেশি ভোট পেয়েও তিনি হেরে যেতে পারেন। কারণ মোট ভোটের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা গুরত্বপূর্ণ। তার অন্যতম উদাহরণ হলো ২০১৬ সালের নির্বাচন। কারণ মোট ভোটের ৪৮.২ শতাংশ পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন আর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৪৬.১ শতাংশ ভোট। কিন্তু ইলেকটোরাল কলেজ বেশি জিতেছিলেন ট্রাম্প। তাই তিনি প্রসিডেন্ট হয়েছিলেন।
এবারের নির্বাচনে বারবার যে বিষয়গুলো নিয়ে উঠে এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার, অভিবাসন, ট্যাক্স, আবাসন, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কাঙ্ক্ষিত ২৭০ আসন পেয়ে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনিই আগামী চার বছরের জন্য বিশ্বের রাজনীতির অনেক সমীকরণের হর্তাকর্তা। সূত্র: আল জাজিরা
মাহফুজ/এমএ/