ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পপুলার ভোটে এগিয়ে ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
পপুলার ভোটে এগিয়ে ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প-কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। তবে কিছু অঙ্গরাজ্যে এখনো ভোট চলছে। এর মধ্যে পপুলার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

সিএনএনের তথ্যমতে, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত প্রায় ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কমলা পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ ভোট। 

এ নির্বাচনের নির্ধারণী সাতটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যেও নিজেদের প্রভাব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন কমলা ও ট্রাম্প। জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় পপুলার ভোটে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে কমলা পপুলার ভোট বেশি পেয়েছেন। 

অ্যারিজোনা ও নেভাডা অঙ্গরাজ্যের ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি।

দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে। তাই পপুলার ভোট বেশি পেয়েও ইলেকটোরাল ভোট কম পাওয়ায় ফলাফল বিপরীতে আসার ঘটনাও ঘটে।

তবে পপুলার ভোট দেশের জনমত বুঝতে সাহায্য করে। সর্বশেষ অবস্থা অনুযায়ী মনে হচ্ছে, ট্রাম্পেই ভরসা রাখছেন দেশটির বেশির ভাগ জনগণ।  

নাইমুর/অমিয়/

কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার ‘পরামর্শ’ দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার ‘পরামর্শ’ দিলেন ট্রাম্প
বিলাসবহুল রিসোর্ট মার-এ-লাগোয় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: ফক্স নিউজ

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে কানাডার অর্থনীতি যদি ধ্বংস হয়ে যায় তবে দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

অবৈধ অভিবাসী এবং মাদক প্রবাহ রোধে ব্যর্থ হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণের পরেই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা কানাডা ও মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুশিয়ারি দিয়েছেন।

এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপর তিনি গোপনে ফ্লোরিডায় পৌঁছান এবং শনিবার ট্রাম্পের বিলাসবহুল রিসোর্ট মার-এ-লাগোয় বৈঠকে  অংশ নেন। 

বৈঠক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।’

বৈঠকের পর নতুন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যেখান থেকে জানা যায়,  ট্রাম্প তার আলোচনায় বলেন, ‘কানাডা যদি সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তিনি কানাডার সব পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।’

এর প্রেক্ষিতে ট্রুডো ট্রাম্পকে জানান, শুল্ক আরোপ করলে কানাডার অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
এতে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘তাহলে কি আপনার (ট্রুডো) দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বাঁচে?’ যদি তাই হয়, তাহলে কানাডা ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক। প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা ভাল, তবে ট্রুডো চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যের গভর্নরও হতে পারেন।’

এই মন্তব্যটি উপস্থিতদের মধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি করে। 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি ট্রুডো তার দাবিগুলো পূরণ করতে না পারেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ঠিক করতে না পারেন তাহলে কানাডা হয়তো দুটি রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। এর একটি হবে কনজারভেটিভ এবং অপরটি হবে লিবারেল রাজ্য।’

এ আলোচনায় অনেক হাস্যরসের সৃষ্টি হলেও ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানান, তিনি ২০ জানুয়ারির মধ্যে পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন।

মোট তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে কানাডার অতিথিরা আলোচনাকে ‘খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক’ বলে অভিহিত করেন। 

তবে ৫১তম রাজ্য হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তারা।

এদিকে ফক্স নিউজ ডিজিটাল ট্রাম্প এবং ট্রুডোর দপ্তরের সঙ্গে এই মন্তব্যগুলো সম্পর্কে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সূত্র: ফক্স নিউজ 

তাওফিক/পপি/ 

সিরিয়া ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ এএম
সিরিয়া ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে বিদ্রোহীরা একের পর এক অঞ্চল দখল করে নিচ্ছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

জানা যায়, সিরিয়া সরকারের অনুরোধে এবং নিরাপত্তা পরিষদে আফ্রিকার তিনটি সদস্য দেশ মোজাম্বিক, সিয়েরা লিওন এবং আলজেরিয়ার সমর্থনে এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে আলেপ্পো শহর নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে। এখন ইদলিব প্রদেশ দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের প্রতিহত করতে সিরিয়া ও রাশিয়ার সম্মিলিত ভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরে ঢোকার পর সিরিয়ার সামরিক বাহিনী নিজদের দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় তাদের অন্তত ১২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার কড়া জবাব দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদ। 

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের ভাষা সহিংসতা। বিদ্রোহীদের তাদের ভাষায়ই জবাব দেওয়া হবে।’

এদিকে এক সম্মিলিত বিবৃতিতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে  যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।

তাওফিক/অমিয়/ 

মাস্কের ১০১ বিলিয়ন ডলার বেতনের আবেদন আবারও বাতিল

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ এএম
মাস্কের ১০১ বিলিয়ন ডলার বেতনের আবেদন আবারও বাতিল
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ১০১ বিলিয়ন ডলারের বেতনের আবেদনটি আবারও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা প্যাকেজটি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিলেও আদালত তা বাতিল করে দেয়।

সোমবার (২ নভেম্বর) ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের আদালতের বিচারক কাথালিন সেন্ট জুড ম্যাককরমিক এই আদেশ দেন।

আদালতের আগের রায় বহাল রেখে তিনি বলেন, টেসলার বোর্ড মাস্কের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষা করা হয়নি।

ম্যাককরমিক তার ১০৩ পৃষ্ঠার রায়ে বলেন, ‘টেসলার আইনজীবীরা আদালতে যে তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তা প্রাতিষ্ঠানিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের উপস্থাপিত তথ্য গ্রহণ করলে এই মামলা অনন্তকাল চলবে।’

ম্যাককরমিক আরও বলেন, মাস্কের বেতনের প্যাকেজ সম্পর্কে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ভুল তথ্য পেশ করায় টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তা বহাল রাখার জন্য ভোট দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

টেসলা এই রায়কে ‘ভুল’ উল্লেখ করে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে।

ইলন মাস্ক সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদেরই কোম্পানির ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, বিচারকদের নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাককরমিক নিজেকে একজন বিচারক হিসেবে দাবি করলেও আসলে তিনি বিচারক নন।’

২০১৮ সালে মাস্কের বেতনের চুক্তি অনুসারে, তিনি কোনো বেতন না নিয়ে টেসলার শেয়ার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শর্ত ছিল, কোম্পানি যখন তার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে তখন তিনি শেয়ার নিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে ইলন মাস্ক টেসলা কোম্পানিকে বিশ্বে অন্যতম মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন। আর তিনি নিজেও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

টেসলার শেয়ারের দাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। যদিও মাস্কের বেতন প্যাকেজ প্রথমে ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। তবে এখন এটি ১০১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সূত্র: আল-জাজিরা

তাওফিক/অমিয়/

কেরালায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৫ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
কেরালায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৫ শিক্ষার্থী
সংগৃহীত

ভারতের কেরালায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে বন্দনাম মেডিকেল কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুই বাসযাত্রী।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে আলাপুঝা জেলায় এর দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা বন্দনাম মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মহম্মদ, মুহাসিন, ইব্রাহিম, দেবানন্দ ও শ্রীদীপ। 

স্থানীয়রা জানায়, প্রাইভেটকারটি গুরুভায়ুর থেকে কায়মকুলামীগামী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় এ সংঘর্ষ হয়। 

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যুু হয়। এ ছাড়া আহতদের   আলাপ্পুঝা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাড়িটি এতটাই  ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে গাড়িটি কেটে আহতদের বের করতে হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সূত্র: এনডিটিভি

মেহেদী

গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের ব্যয় ১৭ শতাংশ বাড়িয়েছে সৌদি আরব

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের ব্যয় ১৭ শতাংশ বাড়িয়েছে সৌদি আরব
সৌদি আরবের মদিনার হেগরা অঞ্চলের একটি দর্শনীয় স্থান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন সৌদি রিয়ালে (৬০২ কোটি ডলারে) উন্নীত করেছে সৌদি আরব। সে হিসেবে এটি আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস (জিএস্ট্যাট) এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের। 

সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে ২০২৩ সালের শেষে ৪৯ হাজার ৩৩৭ জনে পৌঁছেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে গবেষকের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৮৩২ জন, যা তার আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

ভিশন ২০৩০ কৌশলের অংশ হিসেবে সৌদি আরব তাদের জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে জ্বালানি, প্রযুক্তি ও স্থায়িত্বসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ‘সৌদি আরবের রূপকল্প ২০৩০’ (আরবিতে একে বলা হয় রুইয়াতুস সৌদিয়্যাহ) মূলত, একটি কৌশলগত পরিকল্পনা। এই উদ্যোগটি জ্বালানি তেলের ওপর সৌদি আরবের নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, বিনোদন ও পর্যটনের মতো জনসেবা খাতের উন্নয়ন করবে। মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা। জালানি তেলের বাইরে গিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানো। সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ তৈরি করতে চায় দেশটি।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথম এই ঘোষণা দেন। তিনটি প্রধান থিমকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে এই রূপকল্পটি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অর্জনে সক্ষম হবে বলে মনে করা হয়।
জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, বিভিন্ন খাতে আরঅ্যান্ডডি ক্ষেত্রে কর্মীদের শতকরা বণ্টন থেকে দেখা যায়, উচ্চশিক্ষা খাতে কর্মীদের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫৪০ জনে পৌঁছেছে, যা মোট কর্মীর ৭৬ দশমিক ১০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এর পরে রয়েছে বেসরকারি খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৮ হাজার ৮১০, যা ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ২ হাজার ৯৮৭ জন কর্মী, যা মোট কর্মীর ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
সৌদি আরবের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে দেশটির উচ্চশিক্ষা খাতে গবেষক ছিলেন ৩২ হাজার ২০৯ জন। বেসরকারি ও সরকারি খাতে গবেষকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৭৯০ ও ১ হাজার ৮৮৩ জন।  

অর্থায়নের ক্ষেত্রে, ২০২৩ সালে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের সবচেয়ে বড় অংশটি ছিল সরকারি খাতের, যা ছিল ১২ দশমিক ১২ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা মোট ব্যয়ের ৫৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর বেসরকারি খাতের অবদান ছিল ৯ দশমিক ৩১ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা খাত পেয়েছে ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন রিয়াল।

আরঅ্যান্ডডিতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত ছিল শীর্ষে, যেখানে ব্যয় ছিল ৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন রিয়াল। এরপরেই সরকারি খাতের বিনিয়োগ ব্যয় ছিল ৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন রিয়াল। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে ব্য হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন রিয়াল।  

এদিকে গত আগস্ট মাসে জ্বালানি জায়ান্ট সৌদি আরামকো ঘোষণা করেছিল যে, তারা পরবর্তী দশকে কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে।

এ-সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য হলো সৌদি আরবে উদ্ভাবনের গতি ত্বরান্বিত করা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবর্তন ও স্থায়িত্ব লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন করে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর সমাধান তৈরি করা। এই চুক্তিটি বিশেষ করে জ্বালানি পরিবর্তন, স্থায়িত্ব, উপাদান বিজ্ঞান, আপস্ট্রিম প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সমাধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে।