যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সংকটে আক্রান্ত বলে মনে করেন সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ ভোটার।
মঙ্গলবারে (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটাররা দেশটিতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
গবেষণা সংস্থা এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী ৭৩ শতাংশ ভোটারের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। এর বিপরীতে মাত্র ২৭ শতাংশ ভোটার গণতন্ত্র ঠিক আছে বলে মনে করেন।
প্রচারণায় ট্রাম্পের ওপর গুলি ও নির্বাচন থেকে বাইডেনের অপ্রত্যাশিত প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও তড়িঘড়ি করে কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীতা দেওয়ার মতো বেশ কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছে এবারের নির্বাচন। এসব কারণেই দেশটির নাগরিকদের মধ্যে শঙ্কা জন্ম নিয়েছে।
পেনসিলভেনিয়ার এক ভোটার বলেন, ‘অভিবাসন ও গর্ভপাতের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো প্রার্থীই সন্তোষজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি। দেশের ভবিষ্যতের জন্য গণতন্ত্র বাস্তবায়ন কতটুকু সম্ভব সেটা এখন দেখার বিষয়।’
কমলা আর ট্রাম্পের মধ্যে যেই জিতুক, যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে। কমলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি হবেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
এদিকে এক মেয়াদ বিরতির পর দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার নজির এর আগে দেখা যায়নি দেশটিতে। তাই অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও বড় মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে দাঁঁড়িয়ে ট্রাম্প।
নাইমুর/অমিয়/