ঢাকা ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
English

গাজার বাসিন্দাদের দুর্দশার শেষ নেই: ত্রাণ সংস্থা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
গাজার বাসিন্দাদের দুর্দশার শেষ নেই: ত্রাণ সংস্থা
ছবি: সংগৃহীত

গাজার অধিবাসীরা দুঃসহ যন্ত্রণার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ইয়ান এগেলান্ড।

গাজা অঞ্চলে সাম্প্রতিক পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন। 

যুদ্ধ আক্রান্ত এ অঞ্চলটিকে যন্ত্রণার বিরান ভূমি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার অজুহাতে ইসরায়েল যেভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র-সহায়তা নিয়ে নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারেনা।’

যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকার পরিবার, শিশু ও বিধবা নারীদের দুর্দশার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন অমানবিক অত্যাচারের নজির আর নেই। এসবের কোনো অজুহাত থাকতেই পারেনা। জনাকীর্ণ গাজা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’

ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘের ত্রাণ সংসস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর তথ্যমতে, গাজার অভ্যন্তরে প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা ভিটেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনই অসংখ্য পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। 

গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গার বাসিন্দাই ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চাপে। পুরো অঞ্চলের মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় সব ফিলিস্তিনি থাকছেন। এতে খাবার ও ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ইয়ান বলেন, ‘ত্রাণের সুষ্ঠ বিতরণ না হওয়ায় উত্তর গাজা অঞ্চলের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দিনের পর দিন না খেয়েও থাকছেন অনেকে।’

এদিকে ফিলিস্তিনেদের নিজের ঘরে ফিরতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।

মানবাধিকার আইনের বিশ্লেষকদের মতে ইসরায়েলের বর্বরতা যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে। 

এ ছাড়া যুদ্ধাক্রান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিকল্প নেই জানিয়ে ইয়ান বলেন, ‘ক্ষমতা যাদের হাতে তারা স্বেচ্ছাচারিতা করছে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।’ সূত্র: দা গার্ডিয়ান

নাইমুর/সাদিয়া নাহার/

বিশ্বে এ বছর নিহত হয়েছেন ১০৪ সাংবাদিক: আইএফজে

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
বিশ্বে এ বছর নিহত হয়েছেন ১০৪ সাংবাদিক: আইএফজে
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর সারা বিশ্বে ১০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অর্ধেক নিহত হয়েছেন গাজায়। তাছাড়া এই মুহূর্তে বিশ্বে ৫২০ জন সাংবদিক জেলে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফেডারেশন (আইএফজে) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএফজের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এ বছর ৫৫ জন ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।

আইএফজের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যান্থনি বেলাঞ্জার এএফপিকে বলেন ‘গেল বছর সারা বিশ্বে ১২৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন। যদিও এ বছর আগের বছরের তুলনায় কম নিহত হয়েছেন, তবুও এই বছরটি ছিল একটি দুর্বিষহ বছর।’

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা অভিযান শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

বিশ্বের সম্মূখে গাজায় যে গণহত্যা চলছে তার নিন্দা জানান অ্যান্থনি বেলাঞ্জার।

তিনি বলেন, গাজায় সাংবাদিকদের টার্গেট করে মারা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের পর সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এশিয়ার অন্যান্য দেশে। এরমধ্যে পাকিস্তানে ছয়জন, বাংলাদেশে পাঁচজন এবং ভারতে তিনজন নিহত হয়েছেন।

ইউরোপের ক্ষেত্রে ইউক্রেনে ২০২৪ সালে চার সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

এছাড়া চীনে ১৩৫ জন সাংবাদিক এখনো বন্দি রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএফজে। সূত্র- দ্য ডন

সুমন/অমিয়/

সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স-জার্মানি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
সিরিয়ায় নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করবে ফ্রান্স-জার্মানি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় ফ্রান্স ও জার্মানি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক ফোনালাপে এ কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।

ফোনালাপের বিষয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, দুই নেতা ফোনালাপে দেশটির নতুন সরকারের কাছে মানুষের মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।

এ ছাড়া দুই নেতা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দেশত্যাগের বিষয়েও আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফোনালাপে দুই নেতা সিরিয়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তাছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সহযোগিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও কথা বলেন। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাবিল/এমএ/

সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহী জোট

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহী জোট
সিরিয়ায় নতুন সরকার গঠনের পথে বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন দেশটির জনগণ ও বিশ্ব মোড়লদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিদ্রোহী জোট এখন নতুন সরকার গঠনের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে।
 
ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন স্যালভেশন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সম্মত হয়েছেন। 

তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জালালি।

এদিকে বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান আহমদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল-গোলানি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা করতে জালালি ও উপরাষ্ট্রপতি ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। 

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরা জানায়, বিদ্রোহী নেতৃত্বাধীন ট্রানজিশনাল অথরিটির প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ আল-বাশিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আগে স্যালভেশন সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন।

বিদ্রোহী জোটের অন্যতম প্রধান অংশ হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। যেটি সিরিয়ার যুদ্ধকে একটি নতুন মোড় দিয়েছে। 

২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত শত হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে এবং দেশের অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

তবে বিদ্রোহী জোটের পক্ষ থেকে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা জানানো হয়নি।  
এদিকে দামেস্কে কিছু বিদ্রোহী যোদ্ধা জানান, তারা আশা করেন, শীঘ্রই একটি বেসামরিক প্রশাসন দায়িত্ব নেবে এবং দেশটি শান্তির পথে এগিয়ে যাবে।

ফেরদৌস ওমর নামে এক বিদ্রোহী যোদ্ধা বলেন, ‘আমরা চাই রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষমতায় আসুক।’ 

এইচটিএস ঘোষণা করেছে, তারা দেশের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা এবং সেনা সদস্যদের শাস্তি দেবে। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাল কাতার

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাল কাতার
ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় রোধে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে কাতার।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত  করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহর হয়ে এ সহায়তা দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সহায়তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, চিকিৎসাসামগ্রী ও অস্থায়ী তাঁবু।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রতিষ্ঠিত কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (কিউএফএফডি) পক্ষ থেকে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে পাঠানো একটি পোস্টে জানানো হয়। সূত্র: আল-জাজিরা

নাবিল/এমএ/

ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ভারতীয় সেনার মৃত্যু

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ভারতীয় সেনার মৃত্যু
নিহত সুব্বাইয়া বারিকুন্টা। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিয়মিত টহলের সময় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সুব্বাইয়া বারিকুন্টা নামে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সাবজিয়ান সেক্টরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সেনাসদস্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৫ আরআর ব্রিগেডের হাবিলদার এবং চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন।

জানা গেছে, সীমান্তে টহলদারির সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনে পা পড়ে যায় সুব্বাইয়ার। এতে বিস্ফোরণ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) অব হোয়াইট নাইট কর্পসের পক্স থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া 

মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });