গাজার অধিবাসীরা দুঃসহ যন্ত্রণার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ইয়ান এগেলান্ড।
গাজা অঞ্চলে সাম্প্রতিক পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন।
যুদ্ধ আক্রান্ত এ অঞ্চলটিকে যন্ত্রণার বিরান ভূমি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার অজুহাতে ইসরায়েল যেভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র-সহায়তা নিয়ে নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারেনা।’
যুদ্ধ আক্রান্ত এলাকার পরিবার, শিশু ও বিধবা নারীদের দুর্দশার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন অমানবিক অত্যাচারের নজির আর নেই। এসবের কোনো অজুহাত থাকতেই পারেনা। জনাকীর্ণ গাজা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’
ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘের ত্রাণ সংসস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর তথ্যমতে, গাজার অভ্যন্তরে প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা ভিটেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনই অসংখ্য পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গার বাসিন্দাই ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চাপে। পুরো অঞ্চলের মাত্র ২০ শতাংশ এলাকায় সব ফিলিস্তিনি থাকছেন। এতে খাবার ও ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইয়ান বলেন, ‘ত্রাণের সুষ্ঠ বিতরণ না হওয়ায় উত্তর গাজা অঞ্চলের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দিনের পর দিন না খেয়েও থাকছেন অনেকে।’
এদিকে ফিলিস্তিনেদের নিজের ঘরে ফিরতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
মানবাধিকার আইনের বিশ্লেষকদের মতে ইসরায়েলের বর্বরতা যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে।
এ ছাড়া যুদ্ধাক্রান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিকল্প নেই জানিয়ে ইয়ান বলেন, ‘ক্ষমতা যাদের হাতে তারা স্বেচ্ছাচারিতা করছে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।’ সূত্র: দা গার্ডিয়ান
নাইমুর/সাদিয়া নাহার/