ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে এসেছে কাতার। উভয় পক্ষ রক্তপাত বন্ধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলেই কাতার সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর।
তবে এখন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো আশা দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে হামাস নেতারা সাড়া দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনো দেশের রাজধানীতে তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।
এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা। ইসরায়েল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালেই তারা আবার মধ্যস্থতা করবে। তার আগে না।
মন্ত্রণালয় জানায়, এর আগে বলা হয়েছিল, ১০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত না হলে কাতার নিজের ভূমিকা থেকে সাময়িক বিরতি নেবে।
২০১২ সাল থেকেই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি রয়েছে।
গত শনিবার বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, একটি চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার কারণে দেশটি থেকে হামাসের ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে কাতার।
তবে এসব তথ্য ভুল বলে নিশ্চিত করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ।
কাতার কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েল-হামাস মীমাংসার ক্ষেত্রে এ ঘাঁটি অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
হামাসের রাজনৈতিক ঘাঁটি কাতার থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলে সেটা কোথায় হবে এ বিষয়েও আলোচনা চলছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
অনেকে ইরানের কথা চিন্তা করলেও সম্প্রতি ইরানে হামাসের নেতা হত্যাকাণ্ডের পর তেহরান কাতারের মতো সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হবে না বলে মত বিশ্লেষকদের।
তুর্কিকে একটি বিকল্প হিসেবে ভাবছেন অনেকেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেশটিতে হামাসের বেশ কিছু নেতা বসবাসও করছেন।
এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান এবং অঞ্চলটিতে মানবিক সংকটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিরক্তি প্রকাশ করেছে। সূত্র: বিবিসি
নাইমুর/পপি/