ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

যুদ্ধে কঠিনতম মাস পার করল রাশিয়া

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ এএম
যুদ্ধে কঠিনতম মাস পার করল রাশিয়া
যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া যানবাহন ও ট্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ মাসের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রধান এডমিরাল স্যার টনি রাদাকিন বলেছেন, অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার রাশিয়ার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৭ লাখ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করে না রাশিয়া; তবে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবর মাসে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।

গতকাল রবিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ানের ‘সানডে উইথ লরা কুয়েনসবর্গ’ প্রোগ্রামে একটি সাক্ষাৎকারে স্যার টনি বলেন, রুশ জনগণ পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক আক্রমণের জন্য চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। সামন্য ভূমির জন্য এই ক্ষয়ক্ষতি। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া কৌশলগত ও আঞ্চলিক সাফল্য লাভ করছে এবং তা ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া তার সরকারি ব্যয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি অর্থ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় ব্যয় করছে। দেশটির জন্য এটি বিরাট বোঝা।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হয়তো সংঘর্ষ শেষ করতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হতে পারেন। তবে স্যার টনি বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা যত সময় প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। এই বার্তাটি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রহণ করতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জন্য এটি আস্থার বার্তা।

৩৪ ড্রোন দিয়ে মস্কোতে হামলা ইউক্রেনের
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গতকাল অন্তত ৩৪টি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার ফলে মস্কোর প্রধান তিনটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং একজন আহত হয়েছেন। 

একই দিনে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তিন ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় আরও ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য কিয়েভের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
ছবি : সংগৃহীত

এক বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে। গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধের এক প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৮টিদেশ।

বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনাসহ ৮ দেশ। 

বিপক্ষে ভোট দেওয়া অন্য দেশগুলো হলো ইসরায়েল, হাঙ্গেরি, প্যারাগুয়ে, টোঙ্গা, পাপুয়া নিউ গিনি, নাউরু এবং চেক প্রজাতন্ত্র। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ১২ দেশ। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসের মধ্যে অবিলম্বে শর্তহীন ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবিও করা হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলো মানতে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এসব প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়।

এদিকে গাজা উপত্যকায় গতকাল ইসরায়েলের চালানো হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮০৫ জনে।

লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লেবানন থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

সেন্টকম জানায়, কমান্ড প্রধান জেনারেল এরিক কুরিলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতিস্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন।

কুরিলার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থায়ীভাবে সংঘাতের অবসান ঘটাতে এটি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংঘাত বন্ধে এটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সপ্তম ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে তাদের অভিযান শেষ করেছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিতে লেবাননের সেনাদের খিয়াম এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ইউনিফিল) সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই বিষয়ে নতুন মামলা না করতেও নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের শুনানিতে এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, এখন থেকে ভারতে মন্দির, মসজিদসহ উপাসনাস্থল নিয়ে চলমান মামলা-সমীক্ষা আপাতত স্থগিতই থাকবে। একইসঙ্গে দেশের সব নিম্ন আদালত এমনকি উচ্চ আদালতও এ বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারবে না। উপাসনাস্থল বিষয়ক আইন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।

শুনানিতে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়।

মূলত ১৯৯১ সালে ভারতে প্রণীত  উপাসনালয়স্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো মন্দির-মসজিদ এবং গির্জার আকার পাল্টানো যাবে না। ’৪৭ এর দেশভাগের আগে যেমন অবস্থা ছিল, সেভাবেই রাখতে হবে। কিন্তু এ আইনের পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দেশটির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের ভাষ্যমতে, এ আইনের মারপ্যাঁচের কারণে দেশভাগের আগে ‘দখলকৃত’ মন্দিরগুলোর অবয়ব পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী, মথুরার শাহী ঈদগাহ এবং সাম্ভালের জামে মসজিদের ব্যাপারেও এখনই কোনো আদেশ না দিতে রাজ্যটির সব নিম্ন আদালত এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: এনডিটিভি 

নাবিল/এমএ/

অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই লড়াই চালিয়ে যাব: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই লড়াই চালিয়ে যাব: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী শনিবার তার বিরুদ্ধে আবার অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হবে। এবিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল বলেন, ‘আমি অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দীর্ঘ ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

ইউন বলেন, ‘সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্রের পতন রোধ এবং বিরোধী দলের সংসদীয় একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি আইনগত সিদ্ধান্ত।’

সামরিক শাসন জারি নিয়ে গত ভাষণগুলোতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেও এবারই প্রথম তিনি জোরালোভাবে নিজেকে সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন এবং তার সিদ্ধান্তে অটল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে পদত্যাগ করাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিশংসনের আযোজন করছে কিন্তু আমি এতে হার মানব না।’

এর আগে বিরোধী দল গত শনিবার অভিশংসনের আয়োজন করে কিন্তু ক্ষমতাসীন দল (পিপল পাওয়ার পার্টি, পিপিপি) ভোট বর্জন করায় প্রেসিডেন্ট অভিশংসন থেকে মুক্তি পান।

যদি পার্লামেন্টে অভিশংসনের বিলটি পাস হয় তাহলে সেটি যাবে সংবিধানের কোর্টে। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্টসহ তার অনেক সহকর্মী জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং কয়েকজনের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/এমএ/

 

 

সিরিয়ায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: গোলানি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
সিরিয়ায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: গোলানি
আবু মোহাম্মেদ আল-গোলানি। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের নেপথ্যের নায়ক ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীর কমান্ডার আবু মোহাম্মেদ আল-গোলানি অত্যাচারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিরিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টিভি চ্যানেলে বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।

আসাদ শাসনের অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে জোলানি বলেন, ‘কোনায় লুকিয়ে থাকলেও অপরাধীদের খুঁজে বের করব। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

এদিকে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালানোর মাধ্যমে সিরিয়ায় ১৩ বছর চলমান গৃহযুদ্ধ থামলেও বেশকিছু রাজনৈতিক জটিলতার মুখে পড়েছেন বিদ্রোহী নেতারা।

পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে আসাদ পরিবারের শাসনের কারণে দেশে ব্যাপক অনিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ধারণা বিশ্লেষকদের।

এই পরিস্থিতিতে দেশে স্থির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের।
 
গোলানির সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) আগে আল-কায়দার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তবে বর্তমান সঙ্কট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হলে অতীতের সব ভুলে তাদের অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠনে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
   
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির।

ভঙ্গুর আর্থ-সামাজিক পরিবেশ সামলাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
বশির বলেন, ‘রাজকোষে অল্প কিছু সিরিয়ান পাউন্ড অবশিষ্ট আছে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই অর্থ প্রায় শূন্যের সমান।’

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থসহায়তার বিষয়ে আলোচনা চলছে, জানান বশির।

১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক মিলিয়ন বাসিন্দা। 

এ অবস্থায় সিরিয়ায় স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে প্রায় সবক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন।

তবে এইচটিএস যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশিরভাগ দেশের কাছে ‘জঙ্গী’ সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত বলে দুইপক্ষের মধ্যে কতটুকু যোগসংযোগ ঘটবে এ বিষয়ে আশঙ্কার জায়গা রয়েছে।

সিরিয়া থেকে জঙ্গিবাদ প্রত্যাহার করে নতুন নেতৃত্বের কাছে সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণ ও মানবিক সহাবস্থান বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
 
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।’ সূত্র: দ্য ডন

নাইমুর/অমিয়/

শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে শেখ হাসিনার সমালোচনায় ভারতের সমর্থন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশের প্রতি দিল্লি নিরপেক্ষ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে এসব কথা বলেন বিক্রম। 

তিনি জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যগুলোতে দিল্লির সমর্থন নেই। 

নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি দিল্লির সহানূভুতি আছে এমন বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা বলেও জানান তিনি। 

এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনার ভিডিও মেসেজগুলো তার ‘ব্যক্তিগত ডিভাইসের’ মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিশ্রি। 

শেখ হাসিনা ভারতে বসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার কোনো সুযোগ পাবে না জানিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে বাংলাদেশে ‘দুঃখজনক ঘটনার’ বিষয়ে দিল্লির দুশ্চিন্তার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বিক্রম। 

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশই ভারতের সবচেয়ে কাছে বন্ধু বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

বুধবারের আলোচনায় মিশ্রি বলেন, ‘মন্দির ও সংখ্যালঘুর ওপর হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’ 

এদিকে তবে বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু ভারতীয় সংবাদসংস্থার গুজব প্রচার মোকাবিলা করতে অন্তর্বর্তী সরকার ‘ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন’ চালু করেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু

নাইমুর/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });