ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ মাসের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রধান এডমিরাল স্যার টনি রাদাকিন বলেছেন, অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার রাশিয়ার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৭ লাখ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করে না রাশিয়া; তবে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবর মাসে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।
গতকাল রবিবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি ওয়ানের ‘সানডে উইথ লরা কুয়েনসবর্গ’ প্রোগ্রামে একটি সাক্ষাৎকারে স্যার টনি বলেন, রুশ জনগণ পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক আক্রমণের জন্য চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। সামন্য ভূমির জন্য এই ক্ষয়ক্ষতি। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া কৌশলগত ও আঞ্চলিক সাফল্য লাভ করছে এবং তা ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া তার সরকারি ব্যয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি অর্থ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় ব্যয় করছে। দেশটির জন্য এটি বিরাট বোঝা।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হয়তো সংঘর্ষ শেষ করতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হতে পারেন। তবে স্যার টনি বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা যত সময় প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত দৃঢ় অবস্থানে থাকবে। এই বার্তাটি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রহণ করতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জন্য এটি আস্থার বার্তা।
৩৪ ড্রোন দিয়ে মস্কোতে হামলা ইউক্রেনের
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গতকাল অন্তত ৩৪টি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার ফলে মস্কোর প্রধান তিনটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং একজন আহত হয়েছেন।
একই দিনে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তিন ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় আরও ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য কিয়েভের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: বিবিসি