ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার ইরানের

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার ইরানের
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি

সদ্য নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তেহরানকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ সামনে এনেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তেহরান এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় দাবি করে আরাকচি দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখন… নতুন একটি বানোয়াট দৃশ্যপট সামনে আনা হয়েছে… বাস্তব অস্তিত্ব নেই এমন একজনকে হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, থার্ড ক্লাস কমেডি তৈরি করার জন্য স্ক্রিপ্টরাইটারদের আনা হয়েছে।’

তিনি ওই কথিত অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেছেন যেখানে ওয়াশিংটন বলেছে, ট্রাম্পকে হত্যা করার জন্য ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড এক আফগান নাগরিককে নির্দেশ দিয়েছে।

জানুয়ারিতে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। আরাকচি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাদের পছন্দমতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অধিকারকে ইরান শ্রদ্ধা করে। সামনে এগোনোর পথটিও একটি পছন্দের বিষয়। এটি শ্রদ্ধা দিয়ে শুরু হয়।’ সূত্র: রয়টার্স

মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ এএম
মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই বিষয়ে নতুন মামলা না করতেও নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের শুনানিতে এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, এখন থেকে ভারতে মন্দির, মসজিদসহ উপাসনাস্থল নিয়ে চলমান মামলা-সমীক্ষা আপাতত স্থগিতই থাকবে। একইসঙ্গে দেশের সব নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালতও এ বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারবে না। উপাসনাস্থল বিষয়ক আইন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।

শুনানিতে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়।

মূলত ভারতে প্রণীত ১৯৯১ সালের উপাসনালয়স্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো মন্দির-মসজিদ এবং গির্জার আকার পাল্টানো যাবে না। ’৪৭ এর দেশভাগের আগে যেমন অবস্থা ছিল, সেভাবেই রাখতে হবে। কিন্তু এ আইনের পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দেশটির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের ভাষ্যমতে, এ আইনের মারপ্যাঁচের কারণে দেশভাগের আগে ‘দখলকৃত’ মন্দিরগুলোর অবয়ব পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না।

এ ছাড়া, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী, মথুরার শাহী ঈদগাহ এবং সাম্ভালের জামে মসজিদের ব্যাপারেও এখনই কোনো আদেশ না দিতে রাজ্যটির নিম্ন এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: এনডিটিভি 

নাবিল/এমএ/

অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই লড়াই চালিয়ে যাব: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই লড়াই চালিয়ে যাব: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আগামী শনিবার তার বিরুদ্ধে আবার অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হবে। এবিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল বলেন, ‘আমি অভিশংসিত হই বা তদন্তের মুখোমুখি হই, আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দীর্ঘ ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

ইউন বলেন, ‘সামরিক আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা ছিল গণতন্ত্রের পতন রোধ এবং বিরোধী দলের সংসদীয় একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি আইনগত সিদ্ধান্ত।’

সামরিক শাসন জারি নিয়ে গত ভাষণগুলোতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেও এবারই প্রথম তিনি জোরালোভাবে নিজেকে সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন এবং তার সিদ্ধান্তে অটল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে পদত্যাগ করাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিশংসনের আযোজন করছে কিন্তু আমি এতে হার মানব না।’

এর আগে বিরোধী দল গত শনিবার অভিশংসনের আয়োজন করে কিন্তু ক্ষমতাসীন দল (পিপল পাওয়ার পার্টি, পিপিপি) ভোট বর্জন করায় প্রেসিডেন্ট অভিশংসন থেকে মুক্তি পান।

যদি পার্লামেন্টে অভিশংসনের বিলটি পাস হয় তাহলে সেটি যাবে সংবিধানের কোর্টে। সেখানে দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পাস হলে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্টসহ তার অনেক সহকর্মী জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং কয়েকজনের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/এমএ/

 

 

সিরিয়ায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: গোলানি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
সিরিয়ায় অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: গোলানি
আবু মোহাম্মেদ আল-গোলানি। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের নেপথ্যের নায়ক ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীর কমান্ডার আবু মোহাম্মেদ আল-গোলানি অত্যাচারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিরিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টিভি চ্যানেলে বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।

আসাদ শাসনের অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে জোলানি বলেন, ‘কোনায় লুকিয়ে থাকলেও অপরাধীদের খুঁজে বের করব। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

এদিকে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালানোর মাধ্যমে সিরিয়ায় ১৩ বছর চলমান গৃহযুদ্ধ থামলেও বেশকিছু রাজনৈতিক জটিলতার মুখে পড়েছেন বিদ্রোহী নেতারা।

পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে আসাদ পরিবারের শাসনের কারণে দেশে ব্যাপক অনিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ধারণা বিশ্লেষকদের।

এই পরিস্থিতিতে দেশে স্থির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের।
 
গোলানির সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) আগে আল-কায়দার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তবে বর্তমান সঙ্কট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হলে অতীতের সব ভুলে তাদের অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠনে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
   
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির।

ভঙ্গুর আর্থ-সামাজিক পরিবেশ সামলাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
বশির বলেন, ‘রাজকোষে অল্প কিছু সিরিয়ান পাউন্ড অবশিষ্ট আছে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই অর্থ প্রায় শূন্যের সমান।’

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থসহায়তার বিষয়ে আলোচনা চলছে, জানান বশির।

১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক মিলিয়ন বাসিন্দা। 

এ অবস্থায় সিরিয়ায় স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে প্রায় সবক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন।

তবে এইচটিএস যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশিরভাগ দেশের কাছে ‘জঙ্গী’ সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত বলে দুইপক্ষের মধ্যে কতটুকু যোগসংযোগ ঘটবে এ বিষয়ে আশঙ্কার জায়গা রয়েছে।

সিরিয়া থেকে জঙ্গিবাদ প্রত্যাহার করে নতুন নেতৃত্বের কাছে সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণ ও মানবিক সহাবস্থান বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
 
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।’ সূত্র: দ্য ডন

নাইমুর/অমিয়/

শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে শেখ হাসিনার সমালোচনায় ভারতের সমর্থন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশের প্রতি দিল্লি নিরপেক্ষ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে এসব কথা বলেন বিক্রম। 

তিনি জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যগুলোতে দিল্লির সমর্থন নেই। 

নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি দিল্লির সহানূভুতি আছে এমন বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা বলেও জানান তিনি। 

এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনার ভিডিও মেসেজগুলো তার ‘ব্যক্তিগত ডিভাইসের’ মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিশ্রি। 

শেখ হাসিনা ভারতে বসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার কোনো সুযোগ পাবে না জানিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে বাংলাদেশে ‘দুঃখজনক ঘটনার’ বিষয়ে দিল্লির দুশ্চিন্তার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বিক্রম। 

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশই ভারতের সবচেয়ে কাছে বন্ধু বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

বুধবারের আলোচনায় মিশ্রি বলেন, ‘মন্দির ও সংখ্যালঘুর ওপর হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’ 

এদিকে তবে বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু ভারতীয় সংবাদসংস্থার গুজব প্রচার মোকাবিলা করতে অন্তর্বর্তী সরকার ‘ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন’ চালু করেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু

নাইমুর/অমিয়/

গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান। ছবি: সংগৃহীত

গাজা ও সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন।

এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পথ কিছুটা মসৃণ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরিতি প্রস্তাবের আলোচনার অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  
জর্ডান সফর শেষে ব্লিঙ্কেন তুর্কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে ইসরায়েল, মিশর ও কাতারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন সালিভান। 

২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের কিছুটা কার্যকর প্রভাব রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পায় সিরিয়া। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে পালিয়ে সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
  
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পাশাপাশি খোদ যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে আসাদের পতনের পর এইচটিএসকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এ বিষয়ে সফর শুরুর আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারব্যবস্থার পক্ষে। সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ 

এদিকে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়টিও এই সফরের আলোচ্য বিষয়।

এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও যুদ্ধে আটক হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির উদ্দেশ্যে কাতার ও মিশরের সাহায্য চাইবে বলেন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অতীতে এ ধরনের আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও এবারের সফর কার্যকর সমাধান নিয়ে আসবে বলে আশা করেছে বাইডেন প্রশাসন। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘বিশ্ব হামাসকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না, এটা তাদের বোঝোর সময় হয়েছে।’

আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি খুব কাছে- এ কথা বলছি না। তবে প্রত্যেক পদক্ষেপই আমাদেরকে শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });