ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার রুশ সৈন্যকে দমিয়ে রাখছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার শত শত বর্গমাইল এলাকা নিজদের দখল বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৪ সালের ৬ আগস্ট অতর্কিত হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। এর পর থেকেই অঞ্চলটি পুনরায় নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে মস্কো।
অন্যদিকে কুরস্ককে ‘বাফার জোন’ বানিয়ে রাশিয়ার আক্রমণ সামলানোর উদ্দেশ্যে এলাকাটি থেকে নিজেদের দখল হারাতে চায় না ইউক্রেন।
এদিকে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা রাশিয়া পুনররুদ্ধার করলেও ইউক্রেন নিজের প্রতিপত্তি বহাল রেখেছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধের সূচনা করার পর কুরস্ক অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ দেখাতে পেরেছে ইউক্রেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের মতে, ইউক্রেনে বড় আকারের হামলার উদ্দেশ্যে প্রায় ১০ হাজার রুশ সৈন্য ও উত্তর কোরিয়ার সেনা সহায়তা নিয়ে শক্তিশালী বাহিনী প্রস্তুত করেছে মস্কো।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সেনা সহায়তাবিষয়ক চুক্তির কথা জানালেও কুরস্ক অঞ্চলে আসা সেনাবাহিনীর উপস্থিতির বিষয়ে মস্কো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে জেলেনস্কির দাবি, কুরস্ক অঞ্চলের পাশাপাশি বেলগ্রেডেও রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা।
নিজেরদের অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের দখল সরাতে রাশিয়া কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। চলমান এই যুদ্ধে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকায় দ্রুতই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মত তাদের।
নাইমুর/অমিয়/