ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করছেন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীরা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা প্রত্যাশা করছেন ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গাকারীরা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে ডেরিক ইভান্সের সন্তুষ্টিটা একটু বেশিই। তিনি আশা করছেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার কারণে অভিযুক্ত হওয়া থেকে তাকে ক্ষমা করবেন ট্রাম্প। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে তিনি এবং কমপক্ষে দুই হাজার সমর্থক যখন দাঙ্গা চালিয়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একজন আইনপ্রণেতা। এবার তার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় তিনি বলেছেন, ক্ষমার মধ্য দিয়ে জীবন পরিবর্তন হতে পারে। এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় ৬ জানুয়ারি ওই দাঙ্গা করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। সেই ফলকে তারা উল্টে দিয়ে ট্রাম্পকে জয়ী করতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে তিনি প্রসিকিউটরদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। তাতে বলা হয়, ইভান্স গণবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দায়ী এবং ২০২২ সালে ফেডারেল জেলে তিন মাস জেল খেটেছিলেন তিনি।

ওদিকে এবার নির্বাচনি প্রচারণাকালে ট্রাম্প বার বার বলেছেন, তিনি ২০২১ সালের দাঙ্গায় জড়িতদের সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন। এসব মানুষের সবাইকে তিনি ‘দেশপ্রেমিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন তারা ‘রাজনৈতিক বন্দি’। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে কে তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং কখন করছেন তা এখনো এক বড় প্রশ্ন। ওদিকে ইভান্স বিবিসিকে ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তিনি তার কথা রাখবেন।’

মার্চে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, আবার তিনি প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম কাজ হবে অন্যায়ভাবে ৬  জানুয়ারির ঘটনায় জিম্মিদের মুক্ত করা। জুলাইয়ে তিনি শিকাগোতে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্লাক জার্নালিস্ট ফোরামে বার বার এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইভান্স বলেন, অবশ্যই তিনি বলেছেন। তিনি বলেছেন যে, যদি তারা নিরপরাধ হয় তাহলে তাদেরকে আমি ক্ষমা করে দেব। কিন্তু তিনি গড়ে সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি তাদের অনেককে ক্ষমা করে দেব। আমি সবার কথা বলিনি। বলেছি তাদের কিছু সংখ্যকের কথা। সম্ভবত তাদের অনেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’

ট্রাম্পের প্রচারণা টিম এর আগে বলেছে, প্রতিটি আলাদা মামলার মেরিট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প প্রবেশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফেডারেল তদন্তের অন্যতম। পুলিশ কর্মকর্তাদের অপদস্থ, প্রতিরোধ ও তাদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে প্রায় ৬০০ মানুষকে। এসব মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যককে দীর্ঘ জেল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছেন ওথ কিপারস প্রতিষ্ঠাতা স্টেওয়ার্ট রোডস, প্রাউড বয়েসের এনরিক তারিও। তবে তারা ক্যাপিটল হিলের সহিংসতায় নিজেরা অংশগ্রহণ করেননি। পক্ষান্তরে তারা অভিযুক্ত হয়েছেন রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র ও অন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেছে নিলেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রার্থী বাছাই করে নিয়েছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওয়াল্টজ দীর্ঘদিনের ট্রাম্প সমর্থক। তিনি আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন ওয়াল্টজ। এর আগে বিভিন্ন সময় মাইকেল ওয়াল্টজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা কার্যকলাপের সমালোচনা করেছেন এবং এই অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন। তার এই পরামর্শ সিনেটে অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির প্রশংসা করেছিলেন ওয়াল্টজ। ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি ডোনাল্ড রামসফেল্ড এবং রবার্ট গেটসের জন্য প্রতিরক্ষানীতি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১৮ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। ওয়াল্টজ সামরিক রসদ তদারককারী প্রতিষ্ঠান হাউস আর্মড সার্ভিসেস উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং গোয়েন্দা নির্বাচন কমিটিতেও রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক মানবাধিকারে জোর দেয়: বেদান্ত প্যাটেল

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক মানবাধিকারে জোর দেয়: বেদান্ত প্যাটেল
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা দেশগুলোতে যাতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হয়, সে বিষয়টিতে জোর দেয় ওয়াশিংটন। আর এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বারোপ অব্যাহত থাকবে। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতা হচ্ছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ব্রিটিশ এমপি ব্যারি গার্ডিনার ও প্রীতি পাটেল উদ্বেগ জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কূটনৈতিক ও নীতিগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না।

সে প্রশ্নের উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘যেসব দেশের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, সেখানে আমরা মৌলিক স্বাধীনতাকে যে সম্মান জানাতে হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছি; ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার যে থাকতে হবে, তা জানিয়েছি। 

যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হতে হবে বলেও মনে করেন বেদান্ত প্যাটেল।

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে আবারও বলছি, আমরা এ ব্যাপারে বরাবরই জোর দিয়ে আসছি যে যারা আটক থাকবেন, তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে এবং তাদের মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩০

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩০
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৮৪ জন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ফিলিস্তিন এনজিও নেটওয়ার্কের পরিচালক আমজাদ শাওয়া বলেছেন, শীতকাল ঘনিয়ে আসায় গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র ও একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চার শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় সাত অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৫৩২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৮ জন আহত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

মেহেদী/এমএ/

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিল প্রস্তাব করেছেন আইনপ্রণেতারা এর আগে সামরিক আইন জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন পরে গণবিক্ষোভের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন তিনি সামরিক আইন জারির পদক্ষেপ ব্যর্থ করার পর এই অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করলেন আইনপ্রণেতারা

বুধবার ( নভেম্বর) বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের একটি জোট জানায়, তারা প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অভিশংসন বিল প্রস্তাব করবেন

জোটটি জানায়, বিরোধী ছয়টি রাজনৈতিক দল সংসদে অভিশংসন বিলটি প্রস্তাব করবেন সিদ্ধান্তের জন্য আগামী শুক্রবার অথবা শনিবার ভোট হবে

প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) ইউনের পদত্যাগের দাবি করেছে তা না হলে তাকে অভিশংসন মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে দলটি

ডিপির সিনিয়র সদস্য পার্ক চান ডে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত প্রেসিডেন্ট ইউন এখন দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম নন তাকে পদত্যাগ করতে হবে

প্রেসিডেন্ট ইউন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা এবং মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপ আরোপ করার জন্য মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সামরিক আইন জারি করেন যার ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘাতের সৃষ্টি হয়

ওই রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন দাবি করেন, সামরিক আইন দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করার জন্য প্রয়োজন তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট হুমকির কথা উল্লেখ করেননি 

ঘটনায় সিউলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সেনারা সংসদ ভবন দখল করার চেষ্টা করলে সংসদ সদস্যরা তাদের প্রতিরোধ করতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করেন এবং পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়

এদিকে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টিতে বড় ধরনের বিভাজন দেখা দিয়েছে

দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন উপস্থিত হয়ে সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস করেন যার মধ্যে ইউনের দলের ১৮ জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন পরে প্রেসিডেন্ট ইউন এক প্রজ্ঞাপনে সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন

আন্তর্জাতিক মহলও এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং রাজনৈতিক বিরোধ শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং আইনানুগভাবে সমাধান হবে বলে আশা করি

দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসন করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/অমিয়/

ইউক্রেনের শিশুদের পাচার করছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
ইউক্রেনের শিশুদের পাচার করছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেশটির শিশুঅধিকার কমিশনার মারিয়া বেলোভা। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন অধ্যুষিত এলাকা থেকে শিশু পাচার করে রাশিয়ায় আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রয়টার্সে প্রতাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েলস স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিন সমর্থিত প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিশুদের অপহরণ করে তাদের পরিচয় পাল্টে রাশিয়ার পরিবারগুলোতে পাচার করা হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমর্থিত এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের শুরুর দিকে প্রায় ৩১৪ শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃত শিশুদের ‘রুশকরণ’ করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

গবেষণাটির প্রধান গবেষক নাথানিয়াল র‌্যামন্ড বলেন, ক্রেমলিনের মদদে শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদেরকে রুশ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
পুতিনের বিরুদ্ধে মানবাধিকারবিরোধী অন্যান্য অভিযোগের তালিকায় এটি নতুন সংযোজন, জানান তিনি।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া বেলোভার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও শিশু অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মারিয়ার দাবি, শিশুদের অপহরণ নয়, বরং যুদ্ধের আগ্রাসন থেকে তাদের রক্ষা করতে এটি একটি মানবিক প্রচেষ্টা ছিল।
 
তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদন মারিয়ার দাবির বিরোধিতা করে জানায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রয়াস ছিল এটি।

এ বিষয়ে নিন্দা প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘ইউক্রেনের শিশুদের নিরাপদে ঘরে ফেরাতে চেষ্টার কোনো খামতি রাখছি না। যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করে ছাড়ব।’

এই প্রক্রিয়াকে ‘ক্রেমলিনের পরিকল্পিত যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রেই কস্টিন। 

রাশিয়ার তিনটি শিশু দত্তক ডাটাবেজের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘জাতীয়তাবাদী সামরিক যুদ্ধনীতি’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। অপহৃত শিশুদের নিজের পরিচয় ছিনিয়ে তাদের রুশ পরিচয়ে বড় করে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও দাবি গবেষণাটির।

অপহরণকাণ্ডে পুতিনের কার্যালয়ের নিজস্ব বিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহান্সক অঞ্চল থেকে শিশু পাচার করতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিমান ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা যায়।

এই গবেষণার প্রতিবেদন পুতিনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধাপরাধের তদন্তে সহায়তা করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইসিসি ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নান্দি নাদাইতওয়া

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নান্দি নাদাইতওয়া
নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া। ছবি: রয়টার্স

নামিবিয়ার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এসডব্লিউএপিওর সদস্য নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফলে এই তথ্য জানা যায়।

 ৭২ বছর বয়সী নান্দি নাদাইতওয়া বর্তমানে নামিবিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

 ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর ৩৪ বছর ধরে তার দল ক্ষমতায় রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায়, নির্বাচনে তিনি প্রায় ৫৭ শতাংশ বৈধ ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে ৫০ শতাংশ ভোটের প্রয়োজন হয়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নান্দি নাদাইতওয়া বলেন, ‘নামিবিয়ার জনগণ শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।’

তিনি ষাটের দশকে এসডব্লিউএপিও দলে যোগ দেন। সে সময় দলটি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছিল এবং স্বাধীনতাপ্রাপ্ত গণতান্ত্রিক যুগে তিনি বিদেশমন্ত্রীসহ বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ (আইপিসি) দলের সদস্য পেন্দুলেনি ইতুলা। নির্বাচনে তিনি ২৬ শতাংশ ভোট দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

নামিবিয়ায় আলাদাভাবে জাতীয় পরিষদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসডব্লিউএপিও ৯৬টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসন জয়লাভ করেছে।

অন্যদিকে আইপিসি ২০টি আসন পেয়ে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পরিষদে থাকবে।

আইপিসি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি, নির্বাচনি প্রক্রিয়া খুবই ত্রুটিপূর্ণ ছিল।

এদিকে গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটের সময় প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ ব্যালটের সংকট ছিল। যার ফলে ফলাফল প্রকাশে দেরি হয় এবং কিছু এলাকায় ভোটগ্রহণের সময়ও বাড়ানো হয়েছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাকেল আন্দ্রেয়াস বলেন, নান্দি নাদাইতওয়া এসডব্লিউএপিওর বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তিনি অন্যদের মতো দুর্নীতির অভিযোগে নিজেকে কলঙ্কিত করেননি।

তিনি আরও বলেন, ‘নান্দি একজন রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সিস্টেমকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন।’ সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/অমিয়/