দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তা হলে দক্ষিণ কোরীয়রা ‘বড় ধরনের বিপদের’ মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান দুং-হুন। তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) এই নেতা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের ‘রাষ্ট্রবিরোধিতার’ অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে হান বলেছিলেন, তারা বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাব আটকে দেবেন। কিন্তু সে অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে এসে তিনি এখন বলছেন ভিন্নকথা। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে। তবে সে প্রস্তাব পাস করতে অন্তত আটজন শাসক দলের সংসদ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন পড়বে।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসাধারণ হতবাক হয়ে যায়। তারা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পরে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।
শুক্রবার নিজ বক্তব্যে হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে প্রেসিডেন্ট ইউন ক্ষমতায় থাকলে আবারও সামরিক আইন জারি করার মতো ‘চরম পদক্ষেপ’ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।’
হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে যে গ্রেপ্তার করার পর বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে এখন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।
বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারও সামরিক আইন জারির চেষ্টা হতে পারে। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, তারা পার্লামেন্ট ভবনের কাছাকাছি থাকছেন, যাতে সে রকম কোনো ঘোষণা এলে দ্রুত সেখানে গিয়ে সেই ঘোষণা বাতিল করার জন্য ভোট দিতে পারেন। সূত্র: বিবিসি