দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মাদ আল-বশিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আসাদবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন। খবর বিবিসি, আল-জাজিরার।
মোহাম্মাদ আল-বশির ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদ পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।
মোহাম্মদ আল-বশিরের জন্ম ১৯৮৩ সালে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে ইদলিবে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের (এসএসজি) প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়। এর আগে তিনি এসএসজির উন্নয়ন ও মানবিকবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সিরিয়ার গ্যাস কোম্পানির সাবেক কর্মী বশির ইঞ্জিনিয়ারিং, শরিয়াহ ও আইনে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
বিদ্রোহীদের ১২ দিনের এক ঝটিকা অভিযানে গত রবিবার পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের। এরপর প্রথমেই সামনে আসে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি। আল-বশিরকে যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে, তা সোমবার থেকেই শোনা যাচ্ছিল।
বাশার আল-আসাদের পতনের আগে থেকেই ইদলিব বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) নিয়ন্ত্রণে ছিল। সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট তাদেরই সরকার। বাশারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্বে ছিল এই এইচটিএস। গত সোমবার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে বাশার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি ও আল-বশিরের সঙ্গে বৈঠক হয়। পরে সংবাদমাধ্যমে আল-জালালি জানিয়েছিলেন, তিনি সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি আছেন।