ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন পরিকল্পনাকে ঘিরে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন সিনেটররা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় এ বিষয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

অভিবাসন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য, ট্রাম্পের পরিকল্পনা দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। 

তবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি বলছে, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে চাচ্ছেন তিনি।

আলোচনায় প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীরা দেশে ফিরে যেতে প্রস্তুত থাকুন। আর যারা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের কোনো নিস্তার নেই।’

এ ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা নীতির অধীনে অপরাধ পুনর্বাসন কেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি ইমিগ্রেশন অফিসার বাড়িয়ে সীমান্তের পূর্ণ নিরাপত্তা বাস্তবায়নে ট্রাম্প বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন এই সিনেটর।

জাতীয় সংকট ঘোষণা করে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে ফেরত পাঠানোর কথা চিন্তা করছেন ট্রাম্প। নিজ দেশের সহিংসতা থেকে পালিয়ে যারা যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়ে আছেন, তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। 

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। 

এ বিষয়ে আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের কর্মকর্তা অ্যারন মেলনিক বলেন, ‘ট্রাম্পের অভিবাসন পরিকল্পনা দেশের অর্থনীতিকে বিরাট হুমকির মুখে দাঁড় করাবে। অনেক পরিবার ভেঙ্গে যাবে। এমনকি মার্কিন সমাজের মূল ভিত্তি নড়ে যেতে পারে।’

মেলনিকের মতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এই ব্যয় দেশের বার্ষিক জিডিপির ৬ দশমিক ৮ শতাংশের সমান। এভাবে দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে। 

এ ছাড়া অতীতে সংঘটিত অভিবাসন বিরোধী অভিযানের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে টেনেসির মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলোতে এ ধরণের অভিযানের কারণে মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছিল।’ 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল দেশের সামরিক বাহিনীকে অভিবাসন বিরোধী অভিযানে কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনী এ ধরনের কাজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। এ অভিযানে অংশ নিলে তারা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন।’ 

এ বিষয়ে অভিবাসী ফুডে তুরেই বলেন, ‘আমার বৈধ কাগজপত্র নেই। এখন আমাকে দেশে পাঠিয়ে দিলে স্ত্রী-সন্তান না খেয়ে মরবে।এ ধরণের আগ্রাসী নীতি অনেক পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’

২০২৩ সালের আগস্টে হাইকিং ট্রিপের সময় র‌্যাচেল মরিনকে মারধর, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অবৈধ অভিবাসী জড়িত থাকার উদাহরণ টেনে রিপাবলিকানরা জানান, নিয়ম মেনে চলতেই হবে। আপোষ করলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/পপি/

১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম
১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ ১০ হাজার পূর্ণকালীন কর্মীকে ছাঁটাই করবে। খবরটি প্রথমে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বেচ্ছায় ১০ হাজার কর্মীকে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ‘সেপারেশন প্যাকেজ’ দেওয়া হয়। 

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, নতুন করে আরও ১০ হাজার ছাঁটাই হলে মোট জনশক্তির ১ চতুর্থাংশ কমে আসবে। এতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা নেমে আসবে ৬২ হাজারে। ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের সংস্থাটি টিকা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো, মহামারির প্রস্তুতি, খাদ্য ও তামাকজাত পণ্য এবং সরকারি তহবিলে চলমান স্বাস্থ্যসেবার দেখভাল করে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে। অতীতে এনআইএইচ, এফডিএ ও সিডিসির জনশক্তি ঢেলে সাজানোর কথা একাধিকবার বলেছেন রবার্ট এফ কেনেডি। গত বছরও তিনি এনআইএইচের ৬০০ কর্মীকে বরখাস্ত করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। এনআইএইচ যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিক্যাল গবেষণার বৃহত্তম অর্থদাতা।

কেনেডি গত শরতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে এফডিএর প্রতিও সতর্কবার্তা জানান। তিনি সে সময় বলেছিলেন, জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হতে চলেছে। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফক্স নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন, প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন, প্রতিবেদন প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অপরাধী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সৃষ্টি হওয়া নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সারসংক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

মঙ্গলবার ( ২৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন উদ্বেগের কথা জানানো হয়। 

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড গত মঙ্গলবার এক সিনেট শুনানিতে উল্লেখ করেন, ‘বিদ্যমান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত প্রতিযোগী হচ্ছে চীন।‘

এই প্রতিবেদনে বলা হয়,বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন। বিশেষ করে তাইওয়ানের উপর বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক চাপ’ এবং ‘মার্কিন লক্ষ্যবস্তুর উপর সাইবার অভিযানের’ মতো বিষয়গুলোকে উদ্বেগজনক হিসেব উল্লেখ করা হয়।

এই ধরনের কর্মকাণ্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়টিকেই নির্দেশ করে। 

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বেইজিং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করার জন্য তার ‘জবরদস্তিমূলক ও ধ্বংসাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব’ আরও সম্প্রসারিত করবে। তাদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়াশিংটন তাদের অবদমিত করার চেষ্টা করছে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে উৎখাতের জন্য কাজ করছে। এমন চিন্তাভাবনা থেকে তারা এর পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে।

সেখানে বলা হয়, এমনকী প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে চীন। এছাড়া  তাইওয়ান দখলের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই বেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে চীন। তাই নিজেদের মূল স্বার্থ রক্ষা এবং নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃশ্যমান উত্তেজনা কমাতে চাইবে দেশটি। 

আবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেকে ‘অত্যধিক আক্রমণাত্মক’ হিসেবে দেখানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের তুলনায় চীন অনেক বেশি সতর্ক ছিল।

অন্যদিকে গত বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলার সময় চীনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এই মার্কিন প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘চীনের হুমকিকে অতিরঞ্জিত’ করে দেখানোর অভিযোগ করেন।

তার ভাষায়, আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। কাউকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বা কারও স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কোনো ধরনের ইচ্ছা বেইজিংয়ের নেই। সূত্র: এএফপি

দিনা/

এবার তুর্কি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
এবার তুর্কি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প
ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর কারণে এবার তুর্কি শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্কের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্টের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর কারণে এবার তুর্কি শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্কের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্টের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষার্থীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে সোমারভিলে ইফতার করতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ওজতুর্ককে আটক করা হয়।   

বুধবার (২৬ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।

৩০ বছর বয়সী ওজতুর্ক বোস্টন অঙ্গরাজ্যের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল পর্যায়ে অধ্যয়নরত আছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় , মুখোশ পরিহিত সাদা পোশাক পরিহিত সরকারি কর্মীরা এই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিভিন্ন সময় ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। ট্রাম্প প্রশাসন এসব আন্দোলনে জড়িত একাধিক শিক্ষার্থীকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কর্মীরা। 
তবে নিজেদের কর্মকাণ্ডের সাফাই গেয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের এসব আন্দোলন ইহুদীবিদ্বেষী যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওজতুর্ক হামাসের মতো একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে কাজ করছিলেন, যে সংগঠনটি মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করাকে উপভোগ করে। সবার মনে রাখা উচিত, মার্কিন ভিসা পাওয়া একটি সুযোগ, এটি কারও অধিকার নয়।

তবে হামাসের সমর্থনে ঠিক কী কাজ করেছেন ওজতুর্ক, সেটা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।

এছাড়া ওজতুর্ককে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে মর্মে আদালতে সেই রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করেন এই শিক্ষার্থীর আইনজীবী। তার মামলার ভিত্তিতে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে বিচারক ইন্দিরা তালওয়ানি নির্দেশ দেন, অন্তত ৪৮ ঘণ্টার নোটিশ ছাড়া ওজতুর্ককে ম্যাসাচুসেটস থেকে সরানো যাবে না।

তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে তুর্কি শিক্ষার্থীকে লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যে স্থানান্তর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। 
সূত্র: রয়টার্স 
দিনা/

পরাজয়ের পথে হামাস? আরও এক শীর্ষ নেতা নিহত

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
পরাজয়ের পথে হামাস? আরও এক শীর্ষ নেতা নিহত
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আইডিএফের হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত

একদিকে অবরুদ্ধ গাজায় শুরু হয়েছে হামাসবিরোধী বিক্ষোভ আরেকদিকে আইডিএফের হামলায় নিহত হচ্ছেন গোষ্ঠীটির একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতা । এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে ,তবে কি এবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধে হামাস পরাজিত হতে বসেছে? 

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)ভোরে আইডিএফের হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠটির মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হন। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় তার তাঁবুতে হামলা চালালে তিনি প্রাণ হারান।

এই সপ্তাহের শুরু্তেই ইসরায়েল হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে। বারহুম এবং সালাহ আল-বারহুম দুইজনই ২০ সদস্যের হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা 'রাজনৈতিক কার্যালয়ের' সদস্য ছিলেন।

হামাসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংস্থার ১১ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে নিজের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হন বলে জানান আল জাজিরা মুবাশ্বেরের সংবাদদাতা।

অন্যদিকে কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হামাসের এই মুখপাত্রের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কানৌয়ার লাশের একটি ছবিও প্রকাশ করে।

পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হন। ইসরায়েল গাজাইয় আবার অভিযান শুরু করার পর থেকে হামাসের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই প্রাণ হারান।

একই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হন বলে মেডিকেল সূত্র জানায়।

গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১৮০০ জন আহত হন। ইসরায়েল বর্বর এই হামলার ভেতর দিয়ে  চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দেয়।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয় ইসরায়েল।সূত্র: আল-জাজিরা এবং রয়টার্স

দিনা/

 

ট্রাম্প-তালেবানের মধ্যে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী কে এই জালমে খলিলজাদ?

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৩১ এএম
ট্রাম্প-তালেবানের মধ্যে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী কে এই জালমে খলিলজাদ?
কাবুলে (আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বৈঠকের আগে তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির (বামে) সাথে করমর্দন করছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমে খলিলজাদ (মাঝে)। মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাডাম বোহলার তা দেখছেন। ছবি: সংগৃহীত

ধারণা করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও জালমায় খলিলজাদকে আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেবেন। তবে কিছু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া জালমায় খলিলজাদ একজন প্রভাবশালী মার্কিন কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ। তিনিই ২০২০ সালের দোহা চুক্তির প্রধান স্থপতি ছিলেন।এই চুক্তির পরই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী। ফলে তালেবানের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

গত সপ্তাহে তিনি তালেবানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জর্জ গ্লেজম্যান নামের এক মার্কিন বন্দীকে মুক্ত করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে আসেন। যদিও এবিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি চুক্তির আওতায় গ্লেজম্যান মুক্তি পায়।

কিন্তু গত সপ্তাহে গ্লেজম্যানের সাথে খলিলজাদকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে আসলে খলিলজাদ নিজেই কাবুলে গিয়ে তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গ্লেজম্যানকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনেন। এমনকী পরে তিনি টুইটারে এই মুক্তির খবর নিশ্চিত করে বলেন, আজকের দিনটি ভালো।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আবারও খলিলজাদকে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার জন্য ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে, আবারও কাবুলে মার্কিন দূতাবাস চালুর সম্ভাব্য আলোচনায় খলিলজাদকেই দায়িত্ব দেয়া হবে। আর যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হবে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে খলিলজাদকে আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে সমঝোতায় মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দোহা চুক্তি ছাড়া তালেবান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আফগান নেতাদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির কোনো  ফলপ্রসূ সমাধান করতে পারেননি।
 
এদিকে বাইডেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, খলিলজাদের চুক্তি তাদের দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। আর একারণেই তালেবানরা খুব সহজে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়।

খলিলজাদকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। সেসময়ে তিনি ছিলেন মার্কিন প্রশাসনে সর্বোচ্চ পদধারী মুসলিম-আমেরিকান।

এর আগে, প্রথমে তিনি আফগানিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এবং ইরাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

কাবুলে বেড়ে উঠা খলিলজাদ হাইস্কুল এক্সচেঞ্জ ছাত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। রিগ্যান প্রশাসনের সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কাজ করেন এবং সে সময় সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিনি আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করেন। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সময়ও তিনি যুক্ত ছিলেন।

২০১৪ সালে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থী হননি। এমনকী ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে খলিলজাদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদেও বিবেচনা করেন। সূত্র: এওএলডটকম

দিনা