ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের স্বপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের স্বপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।ছবি: সংগৃহীত

সামরিক শাসন জারির স্বপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
 
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক টেলিভিশন বিবৃতিতে জাতির উদ্দশ্যে ৪ ডিসেম্বর সামরিক শাসন জারির সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তিনি।

এই বিবৃতিতে চলমান অভিশংসন প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আইনি প্রক্রিয়ায় এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানান ইওল।

তিনি বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। সরকার ও দেশের সাংবিধানিক কার্যক্রম স্থবির করতে বিরোধীপক্ষ যে পায়তারা করছে এসব নসাৎ করে দেওয়া হবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দেশটিতে অপ্রত্যাশিতভাবেই সামরিক আইন জারি করেন ইওল। তৎক্ষণাৎ রাজধানীজুড়ে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন তিনি। 

এই ঘটনার জেরে দেশটির পার্লামেন্টে ইওলের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব করা হয়। প্রথম দফার ভোটে পদত্যাগ এড়াতে পারলেও কার্যত তার কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা অবশিষ্ট নেই।

এদিকে ইওল সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার সব দায় স্বীকার করার পর গ্রেপ্তার হন। সিউলের এক ডিটেনশন সেন্টারে আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রস্তাবে পার্লামেন্টে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।

এই পরিস্থিতিতে জাতির কাছে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করতেই ইওল ভাষণ দিয়েছেন।
 
ইউন তার ভাষণে জানান, দেশের প্রগতিশীল গণতন্ত্রকে বিরোধীদলের হুমকির মুখ থেকে রক্ষা করতেই সেনাশাসন জারি করা হয়েছিল।

দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি দেশদ্রোহী নই, আমার বিপক্ষে চলমান তদন্তের কোনো বৈধতা নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধীদল এখন নৈরাজ্যের ছুরি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

এদিকে ইওলের বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরেই বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তার বিরুদ্ধে অভিসংশনের দ্বিতীয় দফার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পার্লামেন্টে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রস্তাবে ভোট হবে।
  
এদিকে প্রেসিডেন্টের দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতাই তার পদত্যাগের পক্ষে মন্তব্য করেছেন। 

এ পরিস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় আছে দেশটির জনগণ। সামরিক শাসনের অতীত অভিজ্ঞতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করায় জনমত প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

এমপক্সের কারণে সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
এমপক্সের কারণে সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি
এম পক্স। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটি এই জরুরি অবস্থা জারি করে বলে জানায় বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস(এপি)।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের কেউই সম্প্রতি সংক্রমিত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার রেকর্ড নেই। প্রথমে যে ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে, তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় পোর্ট লোকো জেলার একটি বিমানবন্দর শহর লুঙ্গিতে ভ্রমণ করেছিলেন।

এখন পর্যন্ত আক্রান্ত দুই রোগীকেই রাজধানীর ফ্রিটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমপক্স ভাইরাসটিকে মাঙ্কিপক্সও বলা হয়। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে ‘পক্সের মতো’ রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় বেশিরভাগ মানব শরীরে এসব সংক্রমণ হয়েছে। সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোকদের মধ্যে এটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।

তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর ফলে ৭০ টিরও বেশি দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এর আগে আগে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার কঙ্গোতে। এই বছর আফ্রিকায় আনুমানিক ৪৩ হাজার মানুষের শরীরে সন্দেহভাজন ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একহাজার মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে আফ্রিকাতে।

সিরেয়ার লিওনে ২০১৪ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। মূলত পশ্চিম আফ্রিকাকে প্রভাবিত করা এই প্রাদুর্ভাবটি। সারা বিশ্বের মোট ১১ হাজার মৃত্যুর মধ্যে সিয়েরা লিওনেই ৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ভাইরাসটি। ওই মহামারিতে দেশটি তার ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হারিয়েছে।

ইউএনবি/তাওফিক/

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ২৭ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা এপি।

বার্তাসংস্থা জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বেলুচিস্তান প্রদেশের কাচ্চি জেলায় এই অভিযানটি চালায়।

সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিরীহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। এ কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের উপর নজর রাখছিল।

বিবৃতিতে নিহতদের সম্পর্কে তেমন কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।

তবে বেলুচিস্তানে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে। এ ছাড়াও পাকিস্তানি তালেবানদের শক্ত অবস্থান রয়েছে এই অঞ্চলে।

দীর্ঘকাল ধরে বেলুচিস্তানকে পাকিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীরা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সে কারণে  একাধিক স্বাধীনতা পন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী এসব গোষ্ঠী পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। সূত্র: এপি

তাওফিক/ 

দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে ১০০ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে ১০০ শ্রমিকের মৃত্যু
খাঁচার সাহয্যে খনির ভূগর্ভ থেকে খনি শ্রমিকদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি থেকে ১০০ জনেরও বেশি অবৈধ খনি শ্রমিকের মরহেদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খনিশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অনেক লোক এখনও আটকা রয়েছে। 

সোমবার এক ব্রিফিংয়ে খনিজ মন্ত্রণালয় ও পুলিশ জানিয়েছে, খাঁচার মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জন জীবিত খনি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি ৯ জনের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শতাধিক খনি শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেনি। 

এদিকে গত কয়েকমাস ধরে হাজারের বেশি খনি শ্রমিক এখানে বাস করে আসছিল। সেখানে এখনও অনেক শ্রমিক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সামাজিকমাধ্যমে পরিত্যক্ত খনির দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মৃতদেহগুলোকে অস্থায়ী ব্যাগে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে এবং অন্যটিতে দুর্বল অবস্থায় কয়েকজন জীবিত খনি শ্রমিককে দেখা গেছে। 

একটি ভিডিওতে একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, ক্ষুধার কারণে এসব খনি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯৬ জন হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। 

এই শ্রমিকরা গত বছর দেশব্যাপী অবৈধ খনির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে অবস্থান করছেন বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছে।

সে সময় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছিল, যে সব শ্রমিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে খনির ভূগর্ভে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/ 

ভারত-বাংলাদেশের বিদ্বেষ ভালো ফল আনবে না

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
ভারত-বাংলাদেশের বিদ্বেষ ভালো ফল আনবে না
জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী

ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্বেষ কোনো পক্ষের জন্যই ভালো ফল আনবে না। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনী পর্যায়ে সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই। আর রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করা যাবে তখনই, যখন ‘নির্বাচিত সরকার’ থাকবে।

গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছর শাসনের অবসান হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশের। সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন।

জবাবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘তিনি (বাংলাদেশের সেনাপ্রধান) বলেছেন কৌশলগত কারণে ভারত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দিক দিয়েও বিষয়টা একই। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ আমাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’

দুই দেশের সীমান্তের কথা বলতে গিয়ে মানচিত্রে ভারতের পাশে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র অবস্থানের কথা তুলে ধরেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো আরেকটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে। আপনারা যদি দেখেন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছোট একটা অংশ, যার বড় অংশ ভারত দ্বারা বেষ্টিত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশে মায়ানমার। আমরা প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, পরস্পরকে বুঝতে হবে। কোনো ধরনের বিদ্বেষ আমাদের কারও স্বার্থের জন্যই ভালো হবে না।’

দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো ‘সমস্যা নেই’ দাবি করে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘যখন পরিবর্তনটা হলো (ক্ষমতার পালাবদল) তখন থেকেই আমি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এমনকি গত ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সেও আমাদের কথা হয়েছে।’ 

আন্তঃবাহিনী সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে যদি বলতে হয়, সেটা আগের মতোই চলছে। আমাদের অফিসাররা সেখানে এনডিসিতে যোগ দিয়েছেন। ওই পক্ষ থেকেও কোনো সমস্যা নেই। শুধু একটা বিষয়, যৌথ মহড়া যেটা হতো, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেটা সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। যখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, আমাদের মহড়াও হবে।’

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
জাপানে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের কিউশু অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। ভূমিকম্পের পরপরই ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) টোকিও থেকে এই খবর জানায় এএফপি।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৯ মিনিটে দক্ষিণ জাপানের কিউশু অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুবুত হয়। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের পর মিয়াজাকি ও কোচির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রিফেকচারে এক মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের বিষয়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এক্সে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে বা উপকুলের দিকে না যাওয়ার পরমর্শ দিয়েছে। 

জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়াজাকি শহরে ইতোমধ্যে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাদেশিক এই রাজধানীতে প্রায় চারলাখ মানুষ বসবাস করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর পশ্চিম জাপানের ইকাতা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কারণ ভূমিকম্প যে অঞ্চলে আঘাত হেনেছে তার কাছাকাছি এলাকায় দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রু চালু রয়েছে।

বাসস/তাওফিক/