গাজা ও সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন।
এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পথ কিছুটা মসৃণ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরিতি প্রস্তাবের আলোচনার অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জর্ডান সফর শেষে ব্লিঙ্কেন তুর্কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে ইসরায়েল, মিশর ও কাতারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন সালিভান।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের কিছুটা কার্যকর প্রভাব রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পায় সিরিয়া। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে পালিয়ে সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পাশাপাশি খোদ যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে আসাদের পতনের পর এইচটিএসকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এ বিষয়ে সফর শুরুর আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারব্যবস্থার পক্ষে। সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
এদিকে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়টিও এই সফরের আলোচ্য বিষয়।
এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও যুদ্ধে আটক হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির উদ্দেশ্যে কাতার ও মিশরের সাহায্য চাইবে বলেন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অতীতে এ ধরনের আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও এবারের সফর কার্যকর সমাধান নিয়ে আসবে বলে আশা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘বিশ্ব হামাসকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না, এটা তাদের বোঝোর সময় হয়েছে।’
আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি খুব কাছে- এ কথা বলছি না। তবে প্রত্যেক পদক্ষেপই আমাদেরকে শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/অমিয়/