ঢাকা ৮ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
গাজা-সিরিয়ার সংকট নিরসনে মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান। ছবি: সংগৃহীত

গাজা ও সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে কার্যকরী আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সালিভান মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন।

এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পথ কিছুটা মসৃণ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরিতি প্রস্তাবের আলোচনার অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  
জর্ডান সফর শেষে ব্লিঙ্কেন তুর্কি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। অন্যদিকে ইসরায়েল, মিশর ও কাতারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন সালিভান। 

২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের কিছুটা কার্যকর প্রভাব রেখে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পায় সিরিয়া। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) আক্রমণের মুখে পালিয়ে সপরিবারে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
  
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পাশাপাশি খোদ যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে আসাদের পতনের পর এইচটিএসকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় মসৃণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে সচেষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এ বিষয়ে সফর শুরুর আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারব্যবস্থার পক্ষে। সিরিয়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ 

এদিকে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা বাস্তবায়নের বিষয়টিও এই সফরের আলোচ্য বিষয়।

এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও যুদ্ধে আটক হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তির উদ্দেশ্যে কাতার ও মিশরের সাহায্য চাইবে বলেন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অতীতে এ ধরনের আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ না হলেও এবারের সফর কার্যকর সমাধান নিয়ে আসবে বলে আশা করেছে বাইডেন প্রশাসন। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘বিশ্ব হামাসকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না, এটা তাদের বোঝোর সময় হয়েছে।’

আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি খুব কাছে- এ কথা বলছি না। তবে প্রত্যেক পদক্ষেপই আমাদেরকে শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প
মেক্সিকো উপসাগেরর নাম পরিবর্তনের নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখা হয়েছে। উপসাগেরর ছবি, ম্যাপ ও ডাটাবেজও প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিরাল কেভিন লান্ডে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, নতুন নামের সঙ্গে উপসাগরীয় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার ও শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম রোধে নতুন নিরাপত্তা অপারেশন চালু হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিষেকের আগেই এই পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণেও মেক্সিকো উপসাগরের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা উপসাগর নামটি জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং এ নামটি আরও আকর্ষণীয় শোনায়।’

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ফেডারেল সংস্থাকেও এখন থেকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বা আমেরিকান উপসাগর নামটি ব্যবহার করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অবরি জিয়েট বলেন, এটা খুবই নজিরবিহীন বিষয় যে একজন প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছেমতো সকল ফেডারেল এজেন্সির জন্য কোনো কিছুর নাম পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এধরনের নাম পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই তার (প্রেসিডেন্টের), সেটা মেক্সিকো কিংবা বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক।

গালফ অব মেক্সিকো। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে এ উপসাগেরর নাম পরিবর্তন করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী ক্লাউজিয়া শিনবাম মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেন, আমরা একে মেক্সিকো উপসাগরই বলব। সারা বিশ্বের মানুষও একে মেক্সিকো উপসাগর বলবে।

কেন নাম পরিবর্তন

ট্রাম্প বলেন, নাম পরিবর্তনের পেছনে উপসাগরটির কৌশলগত গুরুত্ব অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী সাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণ, বিলিয়ন ডলারের ট্যুরিজম, জ্বালানি তেল উৎপাদনসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের গৌরব জড়িত এ উপসাগরের সঙ্গে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গ্লোবাল স্টাডিজের অধ্যাপক রব মেলেন জানান, এ উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে যা দেশের শিল্প কারখানার জন্য বড় যোগান হবে। তিনি আরও জানান, এখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম জ্বালানির ১৫ শতাংশ মজুত রয়েছে।

ক্ষমতাগ্রহণের আগে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনমার্ক থেকে গ্রীনল্যান্ড দখল করার হুমকি দিয়েছেন। পানামার কাছ থেকে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা তিনি বার বার বলছেন। তার ফেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানচিত্রের ছবি একত্রে করে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা জুড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে বার বার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান দিয়েছেন। তাহলে গ্রীনল্যান্ড, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা খাল দখল করেই কি তিনি বৃহত্তর গ্রেট আমেরিকার স্বপ্ন দেখেন? সূত্র: ফক্স১৩, পিপল ডট কম

মাহফুজ/এমএ/

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ
ছবি: সংগৃহীত

পানামা খালের দখলদারিত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পানামা প্রশাসন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এসময় পানামা  বন্দর কর্তৃপক্ষ বার্ষিক হিসেবের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ট্রাম্পের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করে সংকটের দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করে পানামা। 

পানামার সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্মান রক্ষার্থে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সহায়তা চেয়েছে দেশটির প্রশাসন।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ট্রাম্প পানামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার দাবি, এই খালের প্রশাসনিক কার্যক্রমে চীনা প্রভাব রয়েছে।
 
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাতো চীনকে এই খালের দখল দেইনি। পানামাকে দিয়েছিলাম। এখন ফিরিয়েও নেওয়া হবে।’

পানামা খালের দখল ফিরে পেতে প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা নেওয়া হবে, জানান তিনি।

তবে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখান করে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেন, ‘খাল পানামার ছিল। পানামারই থাকবে।’
পানামা খালের আয়-ব্যয় বিষয়ক বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্র অঞ্চলের কর্মপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পানামা খাল দিয়ে মোট যাতায়তের প্রায় ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। ২০০০ সালের পর এই খাল থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে পানামা।

সর্বশেষ অর্থবছরে আয়ের পরিমান আড়াই বিলিয়ন ডলার।

এই পরিস্থিতিতে পানামা খালের দখল নিয়ে ট্রাম্প ও পানামা প্রশাসনের দ্বন্দ্ব বেশ জটিল পর্যায়ে অবস্থান করেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে কথা বলছেন একজন আইনজীবী। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন সেটার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি ডেমোক্র্যাট ক্ষমতাসীন রাজ্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মামলা করেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই মামলা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রধান্য ২২টি রাজ্য, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং সিটি অফ সানফ্রান্সিককো বোস্টনের ফেডারেল কোর্টে এই মামলা করে। তাদের দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। 

এ ছাড়া আমেরিকান সিভিল লিবারেটিস ইউনিয়ন, বিভিন্ন অভিবাসী সংস্থা এবং একজন নাগরিকত্ব প্রত্যাশী মা একইসঙ্গে ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। 

এর আগে সোমবার ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে জানিয়েছিলেন, কোনো সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ সত্ত্বেও তার বাবা বা মা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হন, তবে সেই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে না। 

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো শিশু, তার বাবা বা মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হোক বা না হোক যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে, সে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে। 

ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রা জয় ক্যাম্পবেল এ বিষয়ে বলেন, ‘ ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ১,৫০,০০০ শিশুদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করবে। ট্রাম্পের কোনো অধিকার নেই যে, তিনি এই শিশুদের নাগরিকত্বের অধিকার খর্ব।’

এ বিষয়ে নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন বলেন, ‘ ট্রাম্প প্রশাসনের হটকারী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা প্রমাণ করে যে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষার পক্ষে আছি। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করা হলেও সেখানকার কোনো কর্মকর্তা কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সূত্র: রয়টার্স

সুমন/

ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের
ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত

যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান, তা হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি না হন তা হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কি না- জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে তাই’ হবে। 

গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) তার শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, কিয়েভকে রাশিয়ার প্রতি ছাড় দিতে বাধ্য করার জন্য চাপ দেবেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে।

পুতিনের অস্বাভাবিক সমালোচনামূলক মন্তব্যের জবাবে ট্রাম্প সোমবার বলেছেন, পুতিনকে ‘একটি চুক্তি করা উচিত। আমি মনে করি তিনি চুক্তি না করে রাশিয়াকে ধ্বংস করছেন।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি শান্তি চুক্তি চান।

বাসস/তাওফিক/ 

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প
ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় ১৫ মাসের সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই সমঝোতা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য আসীন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতায় পৌঁছে দুইপক্ষ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর জানান গাজায় কর্মরত চিকিৎসকরা।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের যুদ্ধ না, হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ।’

অভিষেকের আগে তড়িঘড়ি করে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে দোহায় বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠান ট্রাম্প। গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কায়েমের পর এই ঐতিহাসিক ফলাফলের নেপথ্যে নিজেই নায়ক বলে দাবি করেন।

তবে ক্ষমতাগ্রহণের পর ট্রাম্পের উদাসীন সুর ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় মুখথুবড়ে পড়তে পারে- এই আশঙ্কা থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি কমিউনিকেশন হাব তৈরি করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের স্থায়িত্ব ছয় মাস। ফেব্রুয়ারিতে দুইপক্ষ আরও জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবে। আলোচনার একপর্যায়ে এই সমঝোতা থেকে কোনো একপক্ষ সরে আসার সম্ভাবনা প্রবল, মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কায়রোতে স্থাপিত হাবের মাধ্যমে সৃষ্ট দাঙ্গা মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে দোহা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মজিদ আল-আনসারি বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টা যাবৎ আমরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর পেয়েছি। অনেক কল এসেছে এ বিষয়ে। তবে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন সমস্যা আমরা সহজেই সমাধান করেছি।’

এদিকে রবিবারের পর থেকে গাজায় ৯০০টির বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক ও ১২ হাজার ৫০০ লিটার জ্বালানি পাঠিয়েছে কাতার। গাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনের কথাও ভাবছে দেশটি।

তবে ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে অবকাঠামো পুননির্মাণের প্রস্তাব দিলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে কাতার। সূত্র: গার্ডিয়ান

নাইমুর/