দেশের সব মন্দির-মসজিদ-গির্জার সমীক্ষার বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই বিষয়ে নতুন মামলা না করতেও নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, এখন থেকে ভারতে মন্দির, মসজিদসহ উপাসনাস্থল নিয়ে চলমান মামলা-সমীক্ষা আপাতত স্থগিতই থাকবে। একইসঙ্গে দেশের সব নিম্ন আদালত এমনকি উচ্চ আদালতও এ বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা বা আদেশ দিতে পারবে না। উপাসনাস্থল বিষয়ক আইন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
শুনানিতে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়।
মূলত ১৯৯১ সালে ভারতে প্রণীত উপাসনালয়স্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, দেশটির কোনো মন্দির-মসজিদ এবং গির্জার আকার পাল্টানো যাবে না। ’৪৭ এর দেশভাগের আগে যেমন অবস্থা ছিল, সেভাবেই রাখতে হবে। কিন্তু এ আইনের পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দেশটির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের ভাষ্যমতে, এ আইনের মারপ্যাঁচের কারণে দেশভাগের আগে ‘দখলকৃত’ মন্দিরগুলোর অবয়ব পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী, মথুরার শাহী ঈদগাহ এবং সাম্ভালের জামে মসজিদের ব্যাপারেও এখনই কোনো আদেশ না দিতে রাজ্যটির সব নিম্ন আদালত এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: এনডিটিভি
নাবিল/এমএ/