ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

তামিলনাড়ুর হাসপাতালে আগুন, শিশুসহ নিহত ৬

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পিএম
তামিলনাড়ুর হাসপাতালে আগুন, শিশুসহ নিহত ৬
ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উদ্ধারকৃতদের। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ুর দিন্দিগুল শহরের ত্রিচি রোডে অবস্থিত সিটি হাসপাতালে আগুন লেগে শিশুসহ ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দমকল বাহিনী হাসপাতালে আটকে পড়া ৩০ জন রোগীকে নিরাপদে উদ্ধার করে সরকারি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন লিফটে আটকে থাকা ছয়জনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু ঘটেছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে দিন্দিগুলের জেলা প্রশাসক এমএন পুঙ্গোডি বলেন, ‘উদ্ধার করা রোগীদের নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।’

এ ছাড়া চিকিৎসা সহায়তা দিতে ঘটনাস্থলে মাদুরাই থেকে চিকিৎসকদের একটি দল এসে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। 

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ি, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, জানালা দিয়ে আগুন ও কালো ধোঁয়া বের হয়ে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ছে।

ভারতে হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা এইবারই প্রথম নয়। গত নভেম্বরে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির মহারানী লক্ষ্মীবাঈ মেডিকেল কলেজে নিওন্যাটাল আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন লেগে ১১ নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। 

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সুত্র: দ্য হিন্দু

নাইমুর/অমিয়/

যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৫ এএম
যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন
ছবি: সংগৃহীত

নিজের প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অদ্ভুত এক কূটনীতি সামনে নিয়ে এসেছিলেন। প্রকাশ্যেই তিনি উষ্ণ হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দিকে। অন্যদিকে পৃথকভাবে চাপ তৈরি করেছিলেন ইরান ও চীনের ওপর। 

কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে এসে ওই একই কূটনীতি অনুসরণ করা হয়তো সম্ভব হবে না ট্রাম্পের পক্ষে। এবার তার জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা রাষ্ট্রগুলো এখন আরও ঐক্যবদ্ধ। ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ তাদেরকে এই পরিস্থিতিতে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। 

ট্রাম্প গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকেই ঘোষণা দিয়ে এসেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার সময়টিতে চীনকে জবাব দেওয়া হবে।  

কিন্তু গত কয়েক বছরে সম্পর্কের সমীকরণ অনেকটাই বদলে গেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গড়ে তুলেছেন ‘সীমাহীন অংশীদারত্ব’। রাশিয়াকে সরাসরি অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করছে চীন, যা দেশটির ইউক্রেন যুদ্ধে টিকে থাকার পেছনে ভূমিকা রাখছে।

ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার পর গত মঙ্গলবারও পুতিন ও শি নিজেদের কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও সুদৃঢ় করা নিয়ে দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২০২৪ সালের জুনে কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া। ইরানের সঙ্গেও গত শুক্রবার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণকারী এই চার দেশের এভাবে একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাকে চীনে নিযুক্ত বাইডেন প্রশাসনের দূত সম্প্রতি ‘অপবিত্র জোট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিশ্লেষণকারীরাও বলছেন, ওই চার দেশের একত্র হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদারদের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছু বয়ে আনবে না।  

ওয়াশিংটনভিত্তিক এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, ‘ট্রাম্পের মূল দ্বিধা হলো রাশিয়ার সঙ্গে তিনি তাল মেলাতে চান, আবার বাণিজ্যেও তিনি চীনকে চাপে ফেলতে চান। যেখানে মস্কো ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক রাশিয়াকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেভাবে জড়াতে দেবে না। আবার চীনও মার্কিন চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না।’  

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর পশ্চিম যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, তা অনেকটাই তারা পাশ কাটাতে পেরেছে চীনের সহায়তায়। চীন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনেছে। এ ছাড়া মস্কোর প্রতিরক্ষা শক্তিকে বলিষ্ঠ করতে পারে এমন কিছু রসদ বেইজিং সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে সেনাসদস্য ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। পাশাপাশি দ্রুতগতিতে নিজেদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আঞ্চলিকভাবে ইসরায়েলের হামলায় দুর্বল হয়ে গেলেও ইরান তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা পুনরায় শুরু করতে পারে। 
ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যরাও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি জানেন এবং তারা এই বাস্তবতাকে এরই মধ্যে স্বীকারও করে নিয়েছেন। 
শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব নেবেন মাইক ওয়াল্টজ। তিনি নভেম্বরেই ফক্স নিউজকে বলেছেন, চীন ইরানের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে তেল কিনছে। ইরান তা ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাঠাচ্ছে রাশিয়ায়। সেগুলো পরে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হানতে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিটাই হলো চীন। এ ছাড়া রুবিও ‘বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতার’ জন্য মস্কো, তেহরান ও পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করেন। 

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ জ্যাক কুপার ধারণা করছেন, ট্রাম্পের টিম চীনের বলয় থেকে অন্যান্য দেশকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।

কুপার বলেন, ‘তারা হয়তো রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে চীনের কাছ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’

তিনি আরও বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে একটি এবং মস্কোর সঙ্গে আরেকটি চুক্তির চেষ্টা করা যেতে পারে বলে মনে করি আমি। 

ওবামা প্রশাসনে বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মাইকেল ফ্রোম্যান মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ নেই।

তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন বলে মনে করলেও উত্তর কোরিয়া এখন তাদের সঙ্গে জড়াবে কি না, তা অস্পষ্ট। কারণ দেশটি এখন রাশিয়া ও চীনের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে।  

রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, দেশগুলোর সম্পর্কে কিছুটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের আমলে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড প্রশ্ন রেখেছেন, তেহরান মস্কোর ওপর সহায়তার জন্য নির্ভর করতে পারবে কি না? রাশিয়া যে মিত্রদের সেভাবে সহায়তা দিতে পারে না, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ হলো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার। রাশিয়া সেভাবে শেষ মুহূর্তে তাকে সমর্থন দিতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে উড বলেন, আমি যদি ইরান হতাম, তা হলে দেখতাম রাশিয়া আসাদকে কীভাবে পরিত্যাগ করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হতাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের ক্ষেত্রে ট্রাম্প আবার আগের মেয়াদের নীতি ফেরত নিয়ে আসতে পারেন। চেষ্টা করতে পারেন তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কর্মকাণ্ডের লাগাম টানতে।   

উডের মতে, নতুন প্রশাসনের জন্য অনেক কিছুই সহজ হবে, যদি নতুন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হয়, যে মার্কিন সম্পদকে প্রথম মেয়াদে সে রকমভাবে মূল্যায়ন করেননি ট্রাম্প।

এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য পুতিন আলোচনায় বসতে রাজি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মোটা দাগে ট্রাম্পের কাছ থেকে যেসব আভাস মিলছে, তাতে তিনি পুতিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সব মিটিয়ে ফেলার পক্ষে। সূত্র: রয়টার্স 

 

নিউইয়র্কে চার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৫ এএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে এখন থেকে গির্জা ও স্কুলে অভিযান চালাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। তাদের সে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতদিন গির্জা, স্কুল ও হাসপাতালের মতো অবকাঠামোতে অভিযান চালাতে পারত না তারা। গত সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অ্যাক্টিং (ভারপ্রাপ্ত) সেক্রেটারি বেঞ্জামিন হাফম্যান দুটি নির্দেশনা দেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস এক প্রতিবেদনে একথা জানায়। হাফম্যান প্রথম নির্দেশনায় বাইডেন আমলের এক নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। ওই আদেশে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে (আইস) স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে অভিযান চালাতে নিষেধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় নির্দেশনায় মানবিক প্যারোল কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা খতিয়ে দেখে তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত জার হিসেবে খ্যাত টম হম্যান গত মঙ্গলবার উপস্থিত হয়েছিলেন ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি নিশ্চিত করেন, আইস কর্মকর্তারা এরই মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন। যেসব শহর নথিপত্রবিহীন মানুষকে আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের প্রতিও সতর্কবার্তা জানান তিনি।

হম্যান বহু আগে থেকেই গণহারে অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পক্ষে কথা বলে আসছেন। তিনি মঙ্গলবার জানান, আইসের একাধিক টিম এই লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করছে। তিনি বলেন, ‘আইস টিম আজ থেকেই দায়িত্ব পালন করছে। আমরা তাদেরকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে এমন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে বলেছি। আমরা সেটিই করতে চাচ্ছি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র জানান, এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) ও আইস এজেন্টদের অভিবাসী আইন প্রয়োগের এবং অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, এসব অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে হত্যাকারী এবং ধর্ষকও আছে। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে আর যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ও গির্জায় লুকিয়ে থাকতে পারবে না। ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের সাহসী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বেঁধে রাখবে না। বরং তারা বিচার-বিবেচনার সঙ্গে কাজ করবে।

মুখপাত্র বলেন, বাইডেন প্রশাসন মানবিক প্যারোল কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে নির্বিচারে ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দিয়েছে। এগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিনেই বন্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ (নির্দেশনা জারি) মানবিক প্যারোল কর্মসূচিকে মূল অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে- যেখানে প্রতিটি ঘটনা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইস। নিউইয়র্কে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা আইন কর্মকর্তা খাদিজা মুনতাহা রুবা বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় নথিপত্রহীন চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইস। এ সময় তারা সাদাপোশাকে ছিলেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এসব ঘটনায় দেশটিতে অবস্থানরত নথিপত্রবিহীন বাংলাদেশিরা আতঙ্কে দিন পার করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, ফুলটন এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ সাদাপোশাকে কয়েকজন কর্মকর্তা এসে তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। এ সময় একজন প্রতিবাদী হয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। এ কথা বলায় তাকে গ্রেপ্তার করে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুটা দূরে একই এলাকায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্রাম্পের নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে ২৪ অঙ্গরাজ্য ও দুই শহরের মামলা

জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ বাতিলের ব্যাপারে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করার এক দিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে ২৪টি অঙ্গরাজ্য ও দুটি শহরে মামলা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত এই অঙ্গরাজ্য ও শহরগুলো ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে মার্কিন সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার দিনই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। 

এই আদেশের বিরুদ্ধে বোস্টনের ফেডারেল আদালতে মামলা করে ২২টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকো কর্তৃপক্ষ। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এই আদেশ আমেরিকান সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী লঙ্ঘন করেছে। প্রেসিডেন্টের এ ধরনের আদেশ দেওয়ার কোনো আইনগত ক্ষমতা নেই। 

এই মামলায় আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং অভিবাসনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানও জোটবদ্ধ হয়েছে। এমনকি একটি অন্তঃসত্ত্বা নারীও একই ধরনের মামলা করেছেন। তারা বলেছেন, এটি শুধু আইনি লঙ্ঘন নয়, বরং মানবাধিকারের জন্যও একটি বড় আঘাত।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে এটি তার প্রশাসনের প্রথম বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ  গ্রহণের পরপরই নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সূত্র: সিবিএস, দ্য গার্ডিয়ানং

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প
মেক্সিকো উপসাগেরর নাম পরিবর্তনের নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখা হয়েছে। উপসাগেরর ছবি, ম্যাপ ও ডাটাবেজও প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিরাল কেভিন লান্ডে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, নতুন নামের সঙ্গে উপসাগরীয় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার ও শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম রোধে নতুন নিরাপত্তা অপারেশন চালু হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিষেকের আগেই এই পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণেও মেক্সিকো উপসাগরের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা উপসাগর নামটি জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং এ নামটি আরও আকর্ষণীয় শোনায়।’

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ফেডারেল সংস্থাকেও এখন থেকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বা আমেরিকান উপসাগর নামটি ব্যবহার করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অবরি জিয়েট বলেন, এটা খুবই নজিরবিহীন বিষয় যে একজন প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছেমতো সকল ফেডারেল এজেন্সির জন্য কোনো কিছুর নাম পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এধরনের নাম পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই তার (প্রেসিডেন্টের), সেটা মেক্সিকো কিংবা বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক।

গালফ অব মেক্সিকো। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে এ উপসাগেরর নাম পরিবর্তন করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী ক্লাউজিয়া শিনবাম মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেন, আমরা একে মেক্সিকো উপসাগরই বলব। সারা বিশ্বের মানুষও একে মেক্সিকো উপসাগর বলবে।

কেন নাম পরিবর্তন

ট্রাম্প বলেন, নাম পরিবর্তনের পেছনে উপসাগরটির কৌশলগত গুরুত্ব অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী সাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণ, বিলিয়ন ডলারের ট্যুরিজম, জ্বালানি তেল উৎপাদনসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের গৌরব জড়িত এ উপসাগরের সঙ্গে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গ্লোবাল স্টাডিজের অধ্যাপক রব মেলেন জানান, এ উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে যা দেশের শিল্প কারখানার জন্য বড় যোগান হবে। তিনি আরও জানান, এখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম জ্বালানির ১৫ শতাংশ মজুত রয়েছে।

ক্ষমতাগ্রহণের আগে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনমার্ক থেকে গ্রীনল্যান্ড দখল করার হুমকি দিয়েছেন। পানামার কাছ থেকে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা তিনি বার বার বলছেন। তার ফেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানচিত্রের ছবি একত্রে করে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা জুড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে বার বার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান দিয়েছেন। তাহলে গ্রীনল্যান্ড, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা খাল দখল করেই কি তিনি বৃহত্তর গ্রেট আমেরিকার স্বপ্ন দেখেন? সূত্র: ফক্স১৩, পিপল ডট কম

মাহফুজ/এমএ/

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পানামার নালিশ
ছবি: সংগৃহীত

পানামা খালের দখলদারিত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পানামা প্রশাসন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এসময় পানামা  বন্দর কর্তৃপক্ষ বার্ষিক হিসেবের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ট্রাম্পের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করে সংকটের দ্রুত নিষ্পত্তি দাবি করে পানামা। 

পানামার সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সম্মান রক্ষার্থে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সহায়তা চেয়েছে দেশটির প্রশাসন।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ট্রাম্প পানামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার দাবি, এই খালের প্রশাসনিক কার্যক্রমে চীনা প্রভাব রয়েছে।
 
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরাতো চীনকে এই খালের দখল দেইনি। পানামাকে দিয়েছিলাম। এখন ফিরিয়েও নেওয়া হবে।’

পানামা খালের দখল ফিরে পেতে প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা নেওয়া হবে, জানান তিনি।

তবে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রত্যাখান করে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেন, ‘খাল পানামার ছিল। পানামারই থাকবে।’
পানামা খালের আয়-ব্যয় বিষয়ক বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্র অঞ্চলের কর্মপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

পানামা খাল দিয়ে মোট যাতায়তের প্রায় ৪০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। ২০০০ সালের পর এই খাল থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে পানামা।

সর্বশেষ অর্থবছরে আয়ের পরিমান আড়াই বিলিয়ন ডলার।

এই পরিস্থিতিতে পানামা খালের দখল নিয়ে ট্রাম্প ও পানামা প্রশাসনের দ্বন্দ্ব বেশ জটিল পর্যায়ে অবস্থান করেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিধান বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে কথা বলছেন একজন আইনজীবী। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন সেটার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি ডেমোক্র্যাট ক্ষমতাসীন রাজ্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মামলা করেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই মামলা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক প্রধান্য ২২টি রাজ্য, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং সিটি অফ সানফ্রান্সিককো বোস্টনের ফেডারেল কোর্টে এই মামলা করে। তাদের দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। 

এ ছাড়া আমেরিকান সিভিল লিবারেটিস ইউনিয়ন, বিভিন্ন অভিবাসী সংস্থা এবং একজন নাগরিকত্ব প্রত্যাশী মা একইসঙ্গে ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ডেমোক্র্যাটদের দাবি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। 

এর আগে সোমবার ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে জানিয়েছিলেন, কোনো সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ সত্ত্বেও তার বাবা বা মা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হন, তবে সেই সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে না। 

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো শিশু, তার বাবা বা মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হোক বা না হোক যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে, সে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাবে। 

ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রা জয় ক্যাম্পবেল এ বিষয়ে বলেন, ‘ ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ১,৫০,০০০ শিশুদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করবে। ট্রাম্পের কোনো অধিকার নেই যে, তিনি এই শিশুদের নাগরিকত্বের অধিকার খর্ব।’

এ বিষয়ে নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন বলেন, ‘ ট্রাম্প প্রশাসনের হটকারী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা প্রমাণ করে যে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার রক্ষার পক্ষে আছি। 

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করা হলেও সেখানকার কোনো কর্মকর্তা কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সূত্র: রয়টার্স

সুমন/