যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে এই আমন্ত্রণ অপ্রত্যাশিত ছিল বিশ্লেষকদের কাছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ও বাগবিতণ্ডার মধ্যেও এই আমন্ত্রণ আশা করেননি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ক্যারোলিন বলেন, ‘শুধু মিত্ররাষ্ট্র নয়, যাদের সঙ্গে খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই, তাদের সঙ্গেও আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প বদ্ধপরিকর।’
তবে এই আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট সাড়া দেবেন কি না তা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চীন বিশেষজ্ঞ স্কট কেনেডি বলেন, ‘এটা কূটনৈতিক নাট্যমঞ্চের একটা দৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। চীনা প্রেসিডেন্টের কথা বাদই দিলাম, ট্রাম্পের আহ্বানে আগেরবার অন্য দেশের প্রধানরাই আসেননি।’
এই আমন্ত্রণের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি।
তবে শি যদি ট্রাম্পের ডাকে সাড়া দেন, সেটা ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে গত মেয়াদে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন। বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
কোভিড মহামারির সময় করোনা ভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ আখ্যায়িত করে বেইজিংকে মহামারির দায় নিতে বলার পর ট্রাম্প-শি সম্পর্ক আরও বিদ্বেষপূর্ণ হয়।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব আবারও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমতায় আসার আগেই চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এসবের পরও ট্রাম্পের আমন্ত্রণ আলোচনার বিষয়ে তার সদিচ্ছাকে স্পষ্ট করে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এখন ভালো সম্পর্ক আছে। কোভিডের সময় আমার দিক থেকে রেষারেষির সূত্রপাত হয়েছিল এটা সত্যি।’
এদিকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিলকে পাঠানো এক চিঠিতে সহাবস্থানের আশা প্রকাশ করেন শি জিন পিং। সূত্র: আল-জাজিরা
নাইমুর/অমিয়/