যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিউনিকেশনস অ্যাডভাইজার জন কিরবি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন।
হোয়াইট হাউজ জানায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের নজর রয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা আদায়ের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসন তাদের কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে জন কিরবি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই পরস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা নিশ্চিত করতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করছি।’
এর আগে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতি বাধার মুখে পড়ে।
দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কিছু। এই পরস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে কয়েক দফা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দিল্লি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারে রাজনৈতিক অস্থরিতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
হাসিনা পালানোর পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে। দিল্লি হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কারণে এই বিদ্বেষ আরও তীব্র হচ্ছে।
ভারতে অবস্থান করে হাসিনা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।
এদিকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, বাংলাদেশকে সমালোচনা করে দেওয়া হাসিনার বক্তব্যে দিল্লির সমর্থন নেই।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে জন কিরবি বলেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।’ সূত্র: দ্য গ্লোবাল কাশ্মির
নাইমুর/অমিয়/