ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
দ্বিতীয় অভিশংসনের পথে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন করতে বিক্ষোভ করছে বিরোধীদলগুলো। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে চলেছেন। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইওলের দ্বিতীয় অভিশংসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই পদক্ষেপে সবাই চমকে যান। এমনকি তার দলের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বিরোধী দলগুলো। 

পরে তাদের আন্দোলনের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। 

গত সপ্তাহে ইউন প্রথম অভিশংসনের মুখোমুখি হন। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসনের ভোট বয়কট করায় কোরাম (সদস্য উপস্থিতি) পূর্ণ না হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। 

আজ (শনিবার) বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা এবং ভোটের আগে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। 

এদিকে পিপিপি নেতা হান ডং হুন এখন দলীয় সদস্যদের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি সদস্য জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন। 

বিরোধী দলের অভিযোগ, ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা সম্ভব নয়। পিপিপি সদস্যদের অভিশংসনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট ইউন তার ক্ষমতা হারাবেন। তবে তিনি অফিসে থেকে যাবেন যতক্ষণ না সাংবিধানিক আদালত তাকে সরিয়ে দেন বা পুনর্বহাল করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু কাজ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

তবে ইউন এই মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইন ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তিনি এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তবে তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেননি।

বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ইউন জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে সুরক্ষিত করতে তিনি সামরিক আইন প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন।

এদিকে সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অভিশংসনের পক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ইউনের সমর্থকরা সিউলের কেন্দ্রে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/পপি/ 

ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পল কাপুর

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পল কাপুর
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে পদ থেকে সরে গেছেন ডোনাল্ড লু। তার স্থানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সিনেটের অনুমোদন এখনো বাকি। ওই অনুমোদন পেলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত বুধবার সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পল কাপুর সম্পর্কিত ওই তথ্য জানানো হয়। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড লু জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।

পল কাপুর ভারত ও পাকিস্তানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের প্রথম দফায়ও দায়িত্ব পালন করেছেন পল কাপুর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নীতি পরিকল্পনা বিভাগে যুক্ত ছিলেন। বেশ কিছু বই লিখেছেন পল কাপুর। তার লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’, ‘ডেঞ্জারাস ডিটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইপন্স প্রলিফারেশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া’।

এ ছাড়া সহ-লেখক হিসেবে লিখেছেন ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে নিজ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক করেছেন কাশ প্যাটেলকে। শ্রীরাম কৃষ্ণানকে করেছেন হোয়াইট হাউসের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-বিষয়ক নীতি উপদেষ্টা। সূত্র: বিবিসি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিতে চায় না হামাস

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিতে চায় না হামাস
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ুক-চায় না হামাস। আগামী শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকির বিপরীতে নরম সুরে কথা বলছে এই সশস্ত্র সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে যুদ্ধবিরতির অধীনে শনিবারে আরও তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির ঘোষণা দিলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দেশটির কাছে বন্দি-হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান হামাস সদস্যরা।

জবাবে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ‘জাহান্নামের আগুন’ দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে, বন্দিবিনিময় না করলে হামাসের বিরুদ্ধে ফের তীব্র যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

এ পরিস্থিতিতে নমনীয় অবস্থান প্রকাশ করে হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানুয়া বলেন, ‘গাজায় বিদ্যমান ভেস্তে যাক-চাই না আমরা। বরং যুদ্ধবিরতি প্রলম্বিত করতে ইসরায়েল প্রশাসনের প্রতি চাপ বজায় রাখতে চাই।’

ট্রাম্প ও নেহানিয়াহুর ‘আক্রমণাত্মক মন্তব্য’ যুদ্ধবিরতির পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে মিসরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের এক প্রতিনিধি। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গিয়ে আবার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করতে চায় না হামাস, জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিনিধি।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি বহালের লক্ষ্যে তৎপর ভূমিকা পালন করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।

এদিকে সংকটাপন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংরক্ষিত সামরিক সদস্যদেরও প্রস্তুত করছে তেল আবিব।

গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ পরিস্থিতিতে শনিবারের অপেক্ষায় আছেন বিশ্লেষকরা। পুনরায় যুদ্ধ শুরু হলে বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে চীনের ক্ষতি কী?

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে চীনের ক্ষতি কী?
ছবি: সংগৃহীত

অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ইউরোপকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশি নজর রাখছেন এশিয়ায়। এই মহাদেশে মার্কিন আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একক অংশীদারত্ব স্থাপন করতে চান ক্ষ্যাপাটে এই নেতা। তাই ভূরাজনীতিতে চীনের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির এই বিশেষ দিক প্রতিফলিত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার সপ্রতিভ অংশগ্রহণে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আপাত মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়ার বেশিরভাগ দাবি মেনে নিয়ে মস্কোর সঙ্গে একটি সমঝোতার কূটনীতি স্থাপন করতে চান ট্রাম্প। এতে ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি মস্কোর মনোভাব কিছুটা তরল হবে বলে ধারণা তাদের।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে কিয়েভের ন্যাটোতে সদস্যপদের আবেদন বাতিল চায় মস্কো। এ ছাড়া ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত অধিকৃত ইউক্রেনীয় জমিতে নিজেদের দখল হারাতে চান না পুতিন। রাশিয়ার এসব দাবি মেনে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করেছন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভূরাজনীতিতে বিবর্তনের কারণে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ইউরোপের একাধিপত্য কমেছে।’ এ সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

চলতি মাসেই চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিংয়ের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাংসাসূচক মন্তব্য করলেও তিনি চীনবিরোধী বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়ন করায় বেইজিং বেশ চিন্তিত। এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বাড়াতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সখ্যতাও বেইজিংয়ের মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক পুরোনো। ২০২২ সালে চীনের প্রতি ‘সীমাহীন’ সহাবস্থান ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্রেমলিনকে বিপুল পরিমান অর্থসহায়তা দিয়েছে শি প্রশাসন।

এতদসত্ত্বেও, বেইজিংয়ের শঙ্কা- রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের নরম সুরে ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকতে পারে মস্কো।
   
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও আদতে বেইজিং বেশ সতর্ক অবস্থান ধরে রেখেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার ফলাফলের আশায় বসে আছে বিশ্ববাসী। এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যেতে পারে এশিয়ায় চীনের কূটনৈতিক প্রভাব। সূত্র: সিএনএন

নাইমুর/

ফ্রান্সের পানশালায় গ্রেনেড হামলা, আহত ১২

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
ফ্রান্সের পানশালায় গ্রেনেড হামলা, আহত ১২
গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ফ্রান্সের গ্রেনোবল শহরের একটি পানশালায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১২ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ঘটা এই ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

হামলার পর থেকে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া টুরেট-ডি-কোর্সি গ্রেনোবলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ একজন পানশালার ভেতরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে গ্রেনেডটি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ভীড় ছিল।’

আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানান তিনি।

তদন্তকারীরা এখনও হামলার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। তবে এই সংগঠিত ঘটনা সন্ত্রাসবাদ নয় বলে ধারণা তদের।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, দুর্বৃত্তের কাছে কালাশিনকোভ রাইফেল ছিল। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ারিক নিউডার আহতদের দেখতে গেনোবল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যাবেন বলে জানা গেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, দায় স্বীকার আইএসের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, দায় স্বীকার আইএসের
আফগানিস্তানের কুন্দুজে বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছেন একজন পথচারী। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি ব্যাংকে সংঘটিত আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইএসের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সরকারি ব্যাংকের সামনে বেতন নিতে জমায়েত ‘তালেবান মিলিশিয়া’দের উদ্দেশ করে এই হামলা পরিচালনা করা হয়। 

২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকে দেশটিতে সংঘাতের ঘটনা কমেছে। তবে, বিরোধী সংগঠন আইএস তালেবান সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আফগানিস্তানে প্রায়ই বন্দুক ও বোমা হামলা চালায়।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুন্দুজে একটা ব্যাংকের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এই হামলায় বুধবার সংগৃহীত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আটজন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মতে, এই ঘটনায় ১০জন নিহত হয়েছেন।

দায়ও স্বীকার করে আইএস। এই হামলাও একটি ব্যাংকের বাইরে সংঘটিত হয়।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর কান্দাহারে বোমা হামলার পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবান সরকারের উদ্বাস্তু বিষয়ক মন্ত্রী খলিল-উর-রহমান হাক্কানি নিহতের দায়ও স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/