
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের মুখোমুখি হতে চলেছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইওলের দ্বিতীয় অভিশংসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেছিলেন। এই পদক্ষেপে সবাই চমকে যান। এমনকি তার দলের মধ্যেও বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় দেশ একটি সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাকে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করে বিরোধী দলগুলো।
পরে তাদের আন্দোলনের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি।
গত সপ্তাহে ইউন প্রথম অভিশংসনের মুখোমুখি হন। তার দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসনের ভোট বয়কট করায় কোরাম (সদস্য উপস্থিতি) পূর্ণ না হওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হয়নি।
আজ (শনিবার) বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা এবং ভোটের আগে বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে।
এদিকে পিপিপি নেতা হান ডং হুন এখন দলীয় সদস্যদের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি সদস্য জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন।
বিরোধী দলের অভিযোগ, ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা সম্ভব নয়। পিপিপি সদস্যদের অভিশংসনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
অভিশংসিত হলে প্রেসিডেন্ট ইউন তার ক্ষমতা হারাবেন। তবে তিনি অফিসে থেকে যাবেন যতক্ষণ না সাংবিধানিক আদালত তাকে সরিয়ে দেন বা পুনর্বহাল করেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু কাজ করবেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
তবে ইউন এই মুহূর্তে সেনা অভ্যুত্থান ও সামরিক আইন ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তিনি এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেননি।
বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ইউন জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে দেশকে সুরক্ষিত করতে তিনি সামরিক আইন প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন।
এদিকে সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে অভিশংসনের পক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে ইউনের সমর্থকরা সিউলের কেন্দ্রে সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স
তাওফিক/পপি/