যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের সেরা ধনী ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক্সে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন মাস্ক।
সম্প্রতি গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের বাজারদরে নাটকীয় পতনের পর ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে।
এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠার পথেই আছে টেসলা। এই ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখতে পারলে গেটস আরও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক।
তিনি বলেন, ‘গেটস শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতি করছে, এটা তাকে বেশি দূর নিতে পারবে না। ইতোমধ্যেই বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে তার। এভাবে গেটস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন।’
সম্প্রতি বিল গেটস শেয়ার বাজারে ‘শর্ট পজিশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করে মাইক্রোসফটের মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
শর্ট পজিশন পদ্ধতিতে সাধারণত একজন বিনিয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধার নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেন। এরপর ওই শেয়ারই নিজে কম দামে কিনে মোটা অঙ্কের লাভ করেন।
কয়েক বছর আগে টেসলার আর্থিক টানাপোড়েনের সময় গেটস এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন মাস্ক।
তবে ২০২৩ সালে ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা মাস্কের জীবনী থেকে জানা যায়, এই পদ্ধতিতে গেটস উল্টো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
গেটসকে ‘ভন্ড’ আখ্যায়িত করে মাস্ক বলেন, ‘টেসলার সবচেয়ে দুর্বল সময়ে গেটস ক্ষতি করতে চেয়েছেন। আমার জানামতে তিনি এখনো আমাদের ক্ষতি করতে মুখিয়ে আছেন।’
একদিকে প্রকৃতি সংরক্ষণে অর্থ সহায়তা দিয়ে, অন্যদিকে টেসলার মতো জলবায়ু-সহায়ক প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গেটসের সমালোচনা করেন মাস্ক।
‘গেটস নিজের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বলেই টেসলার সঙ্গে টক্কর নিতে চায়।’
২০২৪ সালে টেসলার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জেতার পর থেকে টেসলার শেয়ারে প্রায় ৫৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সম্প্রতি মাস্ক প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেফ বেজোসের সঙ্গে তার ব্যবধান প্রায় ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মূলত ব্যবসায়িক দর্শনের ভিন্নতার কারণেই মাস্ক ও গেটসের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। এ বিষয়ে মাস্ক খোলামেলা কথা বললেও গেটস কোনো মন্তব্য করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নাইমুর/অমিয়/