ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
ভারতের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড ন্যাশন’ (এমএফএন) সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ড। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি বৈধতা হারিয়েছে বলে জানায় তারা।

এই ঘোষণার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক আয়কর চুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালে ভারতের আদালতে এমএফএন চুক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের কারণেই ভারতের বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।

চুক্তি মোতাবেক সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ শতাংশ আয়কর দিতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের রায়ে ভারতীয় আদালত সুইস প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ শতাংশ কর দাবি করে।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবারের রায়ে ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করেছে সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট।

এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, রায়টি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে সুইজারল্যান্ডে বিনিয়োগরত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে  ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে এমএফএন চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। 

সুইজারল্যান্ডের এই ঘোষণায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। 

নাংগিয়া অ্যান্ডারসন প্রতিষ্ঠানের সন্দিপ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি কর সামলানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে একেএম গ্লোবালের অমিত মহেশ্বরী বলেন, ‘এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক। চুক্তি প্রত্যাহারও সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে। এভাবে দুদেশই তাদের প্রাপ্য কর সংগ্রহ করতে পারবে।’ সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/অমিয়/

উচিত কথায় কুপোকাত ব্লিঙ্কেন, হেঁচড়ে বের করা হলো সাংবাদিককে

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
উচিত কথায় কুপোকাত ব্লিঙ্কেন, হেঁচড়ে বের করা হলো সাংবাদিককে
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা। গাজা গণহত্যায় ব্লিঙ্কেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর অস্থির হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার এক পর্যায়ে সাংবাদিক স্যাম হুসেইনিকে টেনে হেঁচড়ে বের করে নিরাপত্তারক্ষীরা।

শনিনার (১৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটে।

ব্লিঙ্কেন বাইডেন প্রশাসনের নীতিমালার আত্মপক্ষ সমর্থনের এক পর্যায়ে হুসেইনি বলেন, ‘অ্যাামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন বলছে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে আর আপনি চাইছেন আমরা ধৈর্য ধরি?’

পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়লে নিরাপত্তারক্ষীরা হুসেইনিকে টেনে বের করে নিয়ে যান।
 
এ সময় ব্লিঙ্কেনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই আপনাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা? আপনি একটা অপরাধী, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদলতের অধীনে আপনার বিচার হওয়া উচিত।’

আরেক সাংবাদিক ম্যাক্স ব্লুমেন্থাল ইসরায়েলের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আপনারা কেন নিয়ম নিয়ে ছেলেখেলা করলেন? এ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম এই বর্বরতাকে কীভাবে সমর্থন করতে পারলেন আপনারা!’

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ব্লিঙ্কেন বিদায়ী বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে ‘গণত্যার দোসর’ আখ্যায়িত করেন আরেক সাংবাদিক। জবাবে ব্লিঙ্কেন শান্ত আচরণ করলেও নিরাপত্তাবাহিনী এই সাংবাদিককেও টেনে বাইরে নিয়ে যায়।

বাইডেন প্রশাসনের গায়ে গণহত্যার দাগ লেগে গেছে। ছাড় পাচ্ছেন না কেউ। এরই ধারাবাহিকতায় সরাসরি উত্তপ্ত সমালোচনার শিকার হলেন ব্লিঙ্কেন। সূত্র: আল-জাজিরা

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত চিকিৎসক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত চিকিৎসক
চিকিৎসক ডেরিক টডকে মিডলসেক্স কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে হাজির করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ জনেরও বেশি রোগীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ডা. ডেরিক টডের নামে এক চিকিৎসককে অভিযুক্ত করেছে ম্যাসাচুসেটসের একটি গ্র্যান্ড জুরি। এ ঘটনায় তাকে চিকিৎসা পেশা থেকে অবসর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই নারীকে যৌন নিপীড়ন ও দুটি ধর্ষণের ঘটনায় টডকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে টডের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা তার বিরুদ্ধে মামলায় করেছেন। মামলায় টডের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে অপ্রয়োজনীয়ভাবে পেলভিক ফ্লোর থেরাপি, স্তন পরীক্ষা, টেস্টিকুলার পরীক্ষা এবং অন্যান্য অযৌক্তিক পদ্ধতি ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন রোগীরা।

যদিও শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ১০ হাজার ডলারের জামিনের শুনানির সময় টড নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

এদিকে বোস্টনের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুবিন অ্যান্ড মেয়ারের আইনজীবী উইলিয়াম থম্পসন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টডকে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, পাসপোর্ট ও সব মেডিকেল লাইসেন্স জমা দেওয়া, চিকিৎসা না দেওয়াসহ নতুন পাসপোর্ট বা লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এটি ডা. টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুরু মাত্র। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সম্ভবত বাড়বে। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

পপি/

ট্রাম্প ও শি’র ফোনালাপ: সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
ট্রাম্প ও শি’র ফোনালাপ: সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তাদের বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত লক্ষ্য করা গেছে।   

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেইজিং থেকে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিসিটিভির বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘১৭ জানুয়ারির সন্ধ্যায় এ ফোনলাপ হয়েছে।’

এ সময় শি জিনপিং ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ‘ভালো সূচন’ আশা করেন।

সিসিটিভির বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, শি বলেছেন,  ‘আমরা দুজনেই পারস্পরিক কার্যক্রমের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করি এবং আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।’

এদিকে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক জোরদার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘এই ফোনালাপটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই ভালো ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এটি আমার প্রত্যাশা যে আমরা একসঙ্গে অনেক সমস্যা সমাধান করব এবং তা অবিলম্বে শুরু হবে। আমরা বাণিজ্য ভারসাম্য, ফেন্টানাইল, টিকটক এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে যা কিছু সম্ভব, তা করব!’

বাসস/তাওফিক 

প্রথম ধাপে ৭৩৭ বন্দি হস্তান্তর করবে ইসরায়েল

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
প্রথম ধাপে ৭৩৭ বন্দি হস্তান্তর করবে ইসরায়েল
মুক্তির বাতাস বইছে গাজায়। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পর প্রথম ধাপে ৭৩৭ জন বন্দি ফিলিস্তিনের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই দিনে ৩৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এই চুক্তি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।

যুদ্ধবিরতির অধীনে উত্তর গাজাবাসীরা ঘরে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন। তবে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু আক্রমণের কারণে অঞ্চলটির বেশিরভাগ স্থাপনাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অনুদান দিয়ে কিছু অস্থায়ী বসতি তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।

যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের আবাসন নিশ্চিত করা হবে।

গাজায় ত্রান সংস্থাগুলোর উপস্থিতিতে বাধা না দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে তেল আবিব। প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক খাদ্য সহায়তার অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

এ ছাড়া রাস্তাঘাট, স্কুল ও হাসপাতালের সংস্কার কাজও রবিবার থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের ভূমিকায় মিশ্রিত অভিব্যক্ত লক্ষ্য করা যায়। গাজার বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় উল্লাস করলেও ইসরায়েলের ভিন্নমতাদর্শীদের মিছিল দেখা গেছে দেশটির রাজপথে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় উগ্র ডানপন্থিরা নেতানিয়াহুর সমালোচনা করছেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রায় দেড় হাজার মানুষের একটি মিছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। নেতানিয়াহু হামাসের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে বলে অভিযোগ তাদের।

অন্যদিকে হামাসের কাছে ইসরায়েলিদের স্বজনরা এই খবরে স্বস্তি অনুভব করছেন।

এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। অভ্যন্তরীণ চাপে নেতানিয়াহু এই চুক্তি লঙ্ঘন করেন কি না তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

টানা তৃতীয় বছরের মতো কমল চীনের জনসংখ্যা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
টানা তৃতীয় বছরের মতো কমল চীনের জনসংখ্যা
কমছে চীনের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেইজিং প্রশাসনের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এর আগে ছয় দশকেরও বেশি সময় নিয়মিত বেড়েছে দেশটির জনসংখ্যা।

তবে ইদানীং জনসংখ্যায় নিম্নগতির কারণে দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে বয়স্কের সংখ্যা বাড়ছে , জানায় প্রশাসন। 

এ পরিস্থিতিতে জন্মহার বাড়াতে বেইজিং ভর্তুকি এবং প্রজনন সহায়ক প্রচারণা চালাচ্ছে।

এএফপি জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকায় দীর্ঘদিন শীর্ষ স্থান দখলে রাখলেও ২০২৩ সালে ভারতের পেছনে পড়ে চীন।

২০২৪ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৪০৮ বিলিয়নে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ০.০০২ বিলিয়ন কম।

এবার জনসংখ্যা হ্রাসের গতি গেল বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। তবে ২০২৩ সালে জনসংখ্যা হ্রাসের হার ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল।

এর আগে ১৯৮০ সালে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে ‘এক সন্তান নীতির’ ব্যাপক প্রচারণা চালায়। ২০১৬ সালে এসে এই নীতি প্রত্যাহার করে দেশটির প্রশাসন। তবে চার যুগের সাংস্কৃতিক অভ্যাসের কারণে জনসংখ্যার নিম্নগতি ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

জীবনযাত্রার ব্যয়, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে বাধা এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের কারণের দেশের জন্মহার কমছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ ছাড়া অর্থনৈতিক মন্দা এবং নারীদের শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে জনসংখ্যা হ্রাসের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেও ধারণা তাদের। 

দেশের এই সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কয়েকধাপে কর্মজীবনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং সরকার।

আগে দেশটিতে ৬০ বছর হলেই অবসর গ্রহণ করতে হতো কর্মীদের। সূত্র: এএফপি, বাসস। 

নাইমুর/