যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় অভিষেকে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের অনেক বিলিয়নিয়ার, বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র্রপ্রধান, কূটনৈতিক ও সেলিব্রিটিরা আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নাম। কিন্তু নাম নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০২০ সালে ভারতে এসেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রতিপক্ষ চীনের প্রেসিডেন্টের নাম আছে কিন্তু মোদির নাম না থাকার বিষয়টা ব্যতিক্রম।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র রণধীর জয়সয়াল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে কূটনৈতিক ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ট্রাম্প সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম। তিনি প্রচলিত নীতির ধার ধারেন না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
তিনি চীনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে তার অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, চীনের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেশটি কঠোর নিয়মনীতি অনুসরণ করে। কিন্তু শি উপস্থিত না থাকলেও এই অনুষ্ঠানে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাবেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোস।
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে আরও উপস্থিত থাকবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
এছাড়া ট্রাম্পের মতো জাতীয়তাবাদী ও কট্টর ডানপন্থী অনেক ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশের নেতা ও কূটনৈতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত নিয়মে অনুসারে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে বাইডেন ও কমলা হেরিস তাদের ফার্স্ট লেডি ও সেকেন্ড জেন্টেলম্যান নিয়ে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক অনুষ্ঠানে। তবে ২০২১ এর জানুয়ারির নির্বাচনে হেরে বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে সোজা ফ্লোরিডা চলে যান ট্রাম্প। তার অভিযোগ ছিল তিনি নির্বাচনে হারেননি। তাকে ভোট জালিয়াতি করে হারোনো হয়েছিল। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন
মাহফুজ/এমএ/