
রাশিয়া প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উত্তর কোরিয়ার সেনা ব্যবহার শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি বলেছেন, ‘আজ (শনিবার) আমরা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি রাশিয়া হামলা পরিচালনায় উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ব্যবহার শুরু করেছে। তাদের সংখ্যা অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা বর্তমানে কেবল কারস্ক ফ্রন্টে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধ করছেন। তবে তারা ফ্রন্টলাইনের অন্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এখনো উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে লড়াই শুরু করেনি। তবে ইউক্রেনে ইতোমধ্যে অনেক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। জেলেনস্কি বলেছেন, এসব সৈন্যের সক্রিয় অংশগ্রহণ নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। তিনি এই উত্তেজনা মোকবিলায় বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরের সপ্তাহে তিনি এই বিষয়ে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
তবে রাশিয়া এখনো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কিয়েভ সামরিক বাহিনী রবিবার(১৫ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, রাতভর হামলায় রাশিয়া ১০৮টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
এর মধ্যে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫৬টি ধ্বংস করেছে। বাকি ৪৯টি ড্রোন ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে হারিয়ে যায়। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কিছু ভবন ও পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ১৩টি ব্ল্যাক সি অঞ্চলে এবং কারস্ক ও বেলগোরোদ সীমান্ত অঞ্চলে দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে, কারস্ক ফ্রন্টে রাশিয়ার আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আক্রমণে বিমান হামলা, গ্লাইড বোমা আক্রমণ এবং ২০০টিরও বেশি আর্টিলারি হামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান