
সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। গত মাসে দেশটির একটি রেলস্টেশনের ছাদধসে ১৫ জন নিহত হন। বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছাদধসের দায়িত্ব সরকারের নেতৃস্থানীয়দের নিতে হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, বেলগ্রেডের কেন্দ্রে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক ও তার ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির (এসএনএস) বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।
যে রেলস্টেশনের ছাদধসে পড়েছিল, সেটি সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভি সাদে অবস্থিত। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও তদারকির অভিযোগ এনেছেন।
গত রবিবারের বিক্ষোভে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অংশ নিয়েছেন। ছাত্ররা নিহতদের স্মরণে ১৫ মিনিট নীরবতা পালন করেন।
নীরবতার পর বিক্ষোভকারীরা ‘শিস ও ভুভুজেলা’ বাজিয়ে স্লাভিজা স্কয়ার দখল করেন। সে সময় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় জানায়, বিক্ষোভে ২৯ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীদের হাতে এ সময় ‘রাষ্ট্র হলো শিশুদের সম্পত্তি’ এবং ‘বিক্ষোভ হলো পরীক্ষা’ লেখাসংবলিত ব্যানার দেখা গেছে। তারা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লাজার (২৪) বলেছেন, ‘ছাত্রদের সব কয়েকটি দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে।’ ছাত্রদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কৃষক, অভিনেতা ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।
পেনশনভোগী নেনাদ রাদোভানোভিচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সমর্থন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের শান্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। সরকার শুক্রবার শীতকালীন ছুটি ঘোষণা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।সূত্র: রয়টার্স।