ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

সিরিয়ার কুর্দিদের এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
সিরিয়ার কুর্দিদের এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের (ওয়াইপিজি) কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জ্যাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

হুশিয়ারিবার্তায় এরদোয়ান জানান, আত্মসম্পর্ন না করলে কুর্দিদের ‘কবর দেওয়া হবে।’

৮ ডিসেম্বর তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এরদোয়ানের এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা হয় আত্মসম্পর্ণ করবে , নয়তো সিরিয়ার জমিনেই তাদের গেড়ে ফেলব।’

ওয়াইপিজি মিলিশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) অঙ্গসংগঠন।

তুর্কি ও কুর্দি ‘সহদোরদের’ মধ্যে ওয়াইপিজি ‘রক্তের দেয়াল’ তৈরি করছে মন্তব্য করে এই সশস্ত্র সংগঠনকে ‘চিরতরে মুছে’ ফেলার ঘোষণা দেন তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান।

ওয়াইপিজিকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক স্বীকৃত ‘জঙ্গী’ সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সমতুল্য বলেই মনে করে আঙ্কারা।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সামপ্রতিক বিবৃতি অনুযায়ী, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকে পরিচালিত অভিযানে ওয়াইপিজি ও পিকেকের ২১ জন সদস্য মারা গেছেন।

এসডিএফের কমান্ডার মজলুম আবদি সিরিয়ায় পিকেকে সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করেন।

তুরস্কের সঙ্গে এসডিফের যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হলে সদস্যরা ঘরে ফিরবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আসাদ সরকারের পতন ঘটায় সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে তুরস্কের দূতাবাস পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান। সূত্র: আল-জাজিরা

নাইমুর/

কাশ্মীরে আটক ১৫০০, ৬ সন্ত্রাসী শনাক্ত, খোঁজ দিলেই পুরস্কার!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
কাশ্মীরে আটক ১৫০০, ৬ সন্ত্রাসী শনাক্ত, খোঁজ দিলেই পুরস্কার!
ছবি:সংগৃহীত

পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে বা জঙ্গি নিধন অভিযানে সাহায্য করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
 
কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর নির্বিচারে হত্যালীলা চালানো জঙ্গিদের মধ্যে চারজনের ছবি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এবার জঙ্গিদের খোঁজে পুরস্কারও ঘোষণা করা হল।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদসংস্থার দেওয়া খবর অনুসারে, জম্মু এবং কাশ্মীরের অনন্তনাগ পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে বা জঙ্গি নিধন অভিযানে সাহায্য করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। 

এখন পর্যন্ত জানা গেছে, অন্তত ৬ জন সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, একে-৫৭ এবং এম৪ কারবাইন  ছিল। ভারতীয় কতৃপক্ষের অভিযোগ, পর্যটকদের আইডি কার্ড চেক করে, হিন্দু পর্যটকদের আলাদা করে চিহ্নিত করে, রীতিমতো বেছে বেছে গুলি চালায় তারা। 

ভারতীয় কতৃপক্ষের সন্দেহ, এই জঙ্গিরা পীরপঞ্জাল পাহাড়ি পথ দিয়ে পাহালগামের বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছায় অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কিছু জঙ্গি খাকি ইউনিফর্ম পরে, যুদ্ধের সাজে ছিল, আবার কেউ কেউ সাধারণ পাঞ্জাবি-পাজামায় ছিল।

নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, এই ছ'জনের মধ্যে দু'জন কাশ্মীরি, যারা ২০১৭ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল এবং সম্প্রতি অন্যান্য বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে অনুপ্রবেশ করে ভারতে প্রবেশ করে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লস্কর-ই-তইবারও সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সূত্র বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৬০ জন সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে, যার মধ্যে শুধু লস্করের সদস্যই ৩৫ জন এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য ২১ জন।

মঙ্গলবার ( ২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের অনন্তনাগের পাহালগামে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। সেনাবাহিনীর পোশাকে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিদের দল। 

ভারতের অভিযোগ, এই হামলায় বেছে বেছে খুন করা হয়েছে হিন্দুদের। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয় এই পর্যটকদের। এছাড়া এই হামলায় আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।

ঘটনার পর থেকেই উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সেনা। চলছে ধরপাকড়ও। জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সন্দেহে ইতোমধ্যে দেড় হাজার আটক করা হয়। দফায় দফায় চলছে তাদের জেরা করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা


ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে হঠাৎ করে বৈধতা হারানো এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন। এখন তিনি সেখানেই থেকে আবারও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন।

২৩ বছর বয়সী অঞ্জন রায় ২০২৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স শুরু করেন। গত ডিসেম্বরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জানুয়ারিতে মাস্টার্সে ভর্তি হন। ২০২৬ সালের মে মাসে তার মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা।

তবে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল তিনি একটি ইমেইল পান, যেখানে বলা হয়- তার শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধতা বাতিল হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও সতর্কবার্তা আসে যে, যেকোনো সময় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, কিংবা তৃতীয় কোনো দেশে।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আইনজীবীর সাহায্য নেন এবং নিরাপত্তার কারণে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। কিছুদিন ক্লাসে না গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারও বন্ধ রাখেন। তবে শিক্ষকরা তার অবস্থান বুঝতে পেরে সহানুভূতি দেখান।

শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জয়ী হন অঞ্জন। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। এই ঘটনার মাধ্যমে অঞ্জনের সাহস ও দৃঢ় মনোবল উঠে এসেছে- যা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে অনেক শিক্ষার্থীর জন্য।

ভারতের কঠোর পদক্ষেপের বিপরীতে কী জবাব দেবে পাকিস্তান?

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ভারতের কঠোর পদক্ষেপের বিপরীতে কী জবাব দেবে পাকিস্তান?
ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পাহালগাম হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কোনো প্রমাণ না দিয়েই এই হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পেছনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে ভারত। 

এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- ভারত-পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া, দুই দেশের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ভারতে অবস্থারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও দুই দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ।

ভারত স্পষ্টভাবে দাবি করছে, পাকিস্তান ‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে সহায়তা’ করেছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে।
তবে পাকিস্তান ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে ‘তড়িঘড়ি’ ও ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই’ দোষারোপ করার মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে।

বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) সকালে বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকেই নির্ধারিত হবে ভারতকে কী উপায়ে কঠোর জবাব দেয়া হবে। অর্থাৎ এসময় ভারতের‘আগ্রাসী পদক্ষেপগুলোর’ বিষয়ে নীতিগত প্রতিক্রিয়া ঠিক করা হবে। 

এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে ততক্ষণে এই বৈঠক শুরু হয়ে গেছে। এখান থেকেই ভারত সরকারের বিবৃতির জবাব নির্ধারিত হতে যাচ্ছে।’

ভারতের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা। এটি এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। ১৯৬০ সালের বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তিটি দুই দেশের কয়েক দশকের বৈরিতা সত্ত্বেও চুক্তিটি টিকে ছিল। তাই এর স্থগিতাদেশ পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। 

এছাড়া ভারত-পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ করেছে নয়া দিল্লি। ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি এসব পদক্ষেপের জন্য ইসলামাবাদকেই দায়ী করেছে। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ‘সীমান্ত-সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেয়।

তবে ইসলামাবাদ এ ধরণের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে বলে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন।

গত বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। এটিকে ‘অপরিপক্ব’ ও ’তড়িঘড়ি’ বলে অভিহিত করেন তিনি। দার বলেন, ‘ভারত কোনো প্রমাণ দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়ায় কোনো পরিপক্বতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনমনীয় মনোভাব। ঘটনার পরপরই তারা হইচই শুরু করেছে।’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক বিবৃতিতে এই প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় যাতে বলা হয়, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হামলায় পর্যটকদের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’

এদিকে, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা সতর্ক করেন যে, ভারতের জবাব ও পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা-বালাকোট সংকট থেকে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া শীতলতা আরও তীব্র হতে পারে। সুত্র : ডন
দিনা/

পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১০ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৭ এএম
পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
প্রতীকী ছবি

সার্ক ভিসায় ভারতে অবস্থান করা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া আগে ইস্যু করা ভিসাও এখন থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানানো হয়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এই ঘোষণা দেন।

ভারতের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হলো ‘ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি’ (সিসিএস)। পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, গতকাল পাহালগামের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের ‘সীমান্ত-সংশ্লিষ্টতার’ প্রমাণ পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সার্ক ভিসা অব্যাহতি স্কিমের (এসভিইএস) অধীনে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। অতীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের দেওয়া যে কোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত যেকোনো পাকিস্তানি নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে হবে।’

সার্ক ভিসা অব্যাহতি স্কিমের অধীনে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির বিশিষ্ট ব্যক্তি- যেমন উচ্চ আদালতের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদসহ মোট ২৪ শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশেষ ভ্রমণ নথি জারি করা হয়। এই বিশেষ নথি তাদের ভিসা এবং অন্যান্য ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা দেয়। সূত্র: এনডিটিভি

দিনা/অমিয়/

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হুতিদের হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বিষয়টি জানিয়েছে। তারা দাবি করে যে, হুতিদের ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোর ৪টার কিছু পরে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে সতর্কতা সংকেত বেজে উঠে ইসরায়েলের হাইফা, ক্রায়ট এবং অন্যান্য এলাকায়।

আল-জাজিরার খবর বলছে, গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হুতিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং বিভিন্ন সময় ড্রোন হামলাও চালিয়েছে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশেই তারা কাজটি করেছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইয়েমেনের বড় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ইসরায়েল ওই দেশটির ভেতরে বেশ কয়েকবার হুতিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এমনকি দেশটির রাজধানী সানাতেও হামলা হয়েছে।

হুতিরা তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলে হামলার কথা নিশ্চিত করেনি। তবে তারা সাধারণত হামলার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন পর সেগুলো সম্পর্কে অবহিত করে।