
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় দুই দিনে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন , বলছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ও শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুই দিনে ঘটা এই হতাহতের ঘটনাগুলো নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা আল-জাজিরা।
কাতেরের মধ্যস্ত্বতায় দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনা চললেও আশাব্যঞ্জক আচরণ প্রকাশ পাচ্ছে না ইসরায়েলের সামরিক অবস্থান থেকে।
সাম্প্রতিক এই বিমান হামলাগুলোয় গাজায় হামাসের বেশ কিছু কার্যালয়কে উদ্দেশ্য করে করা বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, হামাসের নির্দেশনা কেন্দ্রগুলোতেই আক্রমণ করা হচ্ছে।
এদিকে এসব হামলায় বেসামরিক জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
এই দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই দ্বন্দ্বে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে।
বিপরীতে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে মারা গেছেন প্রায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। এ ছাড়া গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বসতভিটা ছেড়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার পৃথকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলেও কোনোবারই তা আলোর মুখ দেখেনি।
হামাস চাইছে সহিংসতা বন্ধ করে তৎক্ষণাৎ ইসরায়েলি সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হোক।
অন্যদিকে হামাস নিশ্চিহ্ন না করা অবধি সেনা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই, বলছে তেল আবিব।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
অঞ্চলটির চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাসিন্দারা চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এই সহিংসতা বন্ধ না বলে ‘গাজার বুকে প্রতিদিনই নতুন শোকগাঁথা লেখা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের গাজাভিত্তিক শরণার্থীকল্যাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান ফিলিপে লাজ্জারিনি। সূত্র: আল-জাজিরা
নাইমুর/