
এ বছরের ২০ জানুয়ারিতে ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। ক্ষমতার আর ১৫ দিন বাকি থাকলেও ইসরায়েলকে সন্তুষ্ট করতে আরও ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিমান ও হেলিকপ্টারের মিসাইল, গোলা ও বোমা। এর আগে ২০২৪ এর আগস্টে যুদ্ধ বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এক্সিওস’কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন অনুসারে ইসরায়েলের অস্ত্রভাণ্ডারের মজুদ বাড়াতে সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী যেকোনো প্রকার আগ্রাসন থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের। ইরান ও তার প্রক্সি গ্রুপগুলোর আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে আমরা সবসময় ইসরায়েলকে প্রয়োজনমতো সহায়তা করে যাব।’
৮ বিলিয়ন ডলারের এ অস্ত্র সহায়তার মধ্যে রয়েছে বিমান ও মিসাইল বিধ্বংসী আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য AIM-120C-8 মিসাইল, ১৫৫ মিলিমিটারের কামানের গোলা, ৫০০ পাউন্ডের বোমা, স্মল ডায়ামিটার স্মার্ট বম্ব, বোমার ফিউজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম। প্রতিবেদন জানায়, এসব সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ থেকে সরবরাহ করা হবে যেন দ্রুত এসব অস্ত্র হাতে পায় ইসরায়েল। যেখানে এগুলো প্রস্তুত করে দিতে গেলে এক বছরের অধিক সময় নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে প্রত্যেক বছর ইসরায়েলকে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ফ্রি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল তার প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ৭০ শতাংশ সরবরাহ পেয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
এদিকে ২০২৩ এর অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে যা এখনো চলছে। এজন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, সাবেক মার্কিন সিনেটররা যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে সমালোচনা করছে কিন্তু এসব সমালোচনার তোয়াক্কা না করেই ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অনেক মার্কিন সিনেটর ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা যুদ্ধ বিমান, বোমা, গোলাবারুদ সবকিছু ব্যবহার করা হচ্ছে গাজার গণহত্যায়। সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি
মাহফুজ/এমএ/