ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহত ৬, আহত ২৫

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহত ৬, আহত ২৫
হামলার শিকার বাস। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গাড়িবোমা হামলায় আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে এবং ২৫ জনের অধিক আহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। শনিবার (৪ জানুয়ারি) এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার একটি বাস করাচি শহর থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে তুরবত অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রশিদ উর রেহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘বাসে হামলায় সাধারণ নাগরিক ও আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পসের সদস্যসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে।’

হামলার দায় স্বীকার করে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ জানান, তারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গাড়ি বহরে হামলা করেছে।

পাকিস্তান পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হামলার শিকার হওয়া বাসে পুলিশের এসএসপি জয়নব মহসিন ও তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। তারা বাসে করে একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। জয়নবকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছি।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি অনেক সময় এধরনের হামলার করে এর দায় স্বীকার করে। তারা সাধারণত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পাঞ্জাব জনগোষ্ঠীর লোকদের লক্ষ্য করে হামলা করে থাকে।

গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাকতোনখোয়া প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার সংখ্যা বেড়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই পাকিস্তানের ৩৮৩ জন সেনা নিহত হয়েছে এবং পাল্টা হামলায় সন্ত্রাসীদের ৯২৫ জন নিহত হয়েছে।

গত নভেম্বরে পাকিস্তানের কোয়েটা প্রদেশে একটি রেলওয়ে স্টেশনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ২৬ জন মারা গিয়েছিল যাদের মধ্যে ১৪ জন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল। এর আগে আগস্ট মাসে বেলুচিস্তানের মুসাখহেলে হামলায় ৩৯ জন মারা গিয়েছিল যা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় হামলা। এ হামলারও দায় স্বীকার করেছিল বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। 

উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান হলো পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ইরান এ আফগানিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন বড় একটি প্রদেশ। এখানে বেলুচ সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস। তারা পাকিস্তান থেকে বেলুচিস্তানকে আলাদা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। আফগানিস্তান ও ইরানে বড় সংখ্যক বেলুচ জনগোষ্ঠী বাস করে। তিন দেশের ভেতর থেকে ভূখণ্ড নিয়ে বেলুচিস্তান রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য তাদের। তাই এখানে সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘর্ষ বেড়ে চলছে। তারা অঞ্চলটিতে থাকা বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে। তাদের অভিযোগ তারা নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া

মাহফুজ/এমএ/

এবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
এবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা
মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) ইসরায়েলি বিমান সিরিয়ার একটি সামরিক স্থপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। 

ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর মতে, হোমস শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সিরিয়ান ব্যাটালিয়নকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসময় এই এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

সিরিয়ার আরব প্রজাতন্ত্রের একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়,গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি জেট বিমান মধ্য সিরিয়ার একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের উৎখাতের পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় শত শত হামলা চালায়। তারা বলছে,জিহাদিদের হাতে যাতে অস্ত্র না পড়ে তার জন্য তারা হামলা করছে।

এদিকে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (১৭ মার্চ) ইসরায়েলের দক্ষিনে অবস্থিত সিরিয়ার দারা এলাকায় হামলা চালিয়ে তিনজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে ইসরায়েল।

এছাড়া, বিমান হামলার পাশাপাশি, আসাদের পতনের পর থেকে  ইসরায়েল কৌশলগত গোলান হাইটসের জাতিসংঘ-প্রহরীর বাফার জোনেও সেনা মোতায়েন করেছে। সূত্র: আরব নিউজ

দিনা/

 

দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদের দায়ে গ্রেপ্তার এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদের দায়ে গ্রেপ্তার এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ
এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তার দায়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবারের (১৯ মার্চ) এই ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একরেমের দল রিপাবলিকান পার্টি। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দলটি বলে, ‘একরেমকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সরকার।’

একরেম গত দুই মেয়াদে ইস্তানবুলের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে রিপাবলিকান পার্টি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছিল বলে জানা গেছে। এরদোয়ানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর হঠাৎ গ্রেপ্তার সহজ ভাবে দেখতে পারছেন না বিশ্লেষকরা। এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত আক্রমণ বলে ধারণা অনেকের।

এদিকে গ্রেপ্তার সত্ত্বেও হাল ছাড়ছেন না একরেম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক ভিডিও পোস্টে তিনি নিজের অবস্থানে দৃঢতার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

ইস্তানবুলের প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বরাতে জানা যায়, একরেমের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক তদন্তের কার্যক্রম চলমান। দুর্নীতির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি নগরের টেন্ডার হাতিয়ে নিতে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১০০০ জনকে ঘুষ দিয়েছেন। অন্যটি কুর্দিপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিষয়ক।

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় একরেমের ডিগ্রী বাতিলের ঘোষণার পর সমালোচনা তুঙ্গে পৌঁছায়। ডিগ্রী বাতিলের কারণে আইনগতভাবে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে চলতি সমালোচনার জবাবে ইস্তানবুল গভর্নরের কার্যালয় শহরে চারদিনের জন্য যেকোনো ধরণের আন্দোলন ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার গ্রেপ্তার দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলেছে। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইনসেটে আলোচনারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার ফোনালাপকে তিনি ‘বেশ কার্যকর’ দাবি করলেও রুশ প্রেসিডেন্টের সুর খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের অবস্থানে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এই ধারণার প্রতিফলন ক্রেমলিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়। আগামী ৩০ দিন ইউক্রেনের জ্বালানীবহরে আক্রমণ থামাতে রাজি হলেও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয় রাশিয়া। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি বেশ জোর গলায়ই দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।

আলোচনায় পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পুতিনের এই প্রস্তাব মেনে নিলে ইউক্রেন যে প্রতিরক্ষা খাতে চরম দুর্বলতায় জর্জরিত হয়ে পড়বে তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে চলমান সহিংসতার পুরো দায় ইউক্রেনকেই দিয়েছে ক্রেমলিন।

এর আগে ইউক্রেনের সম্মতি সাপেক্ষে রাশিয়ার কাছে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবে আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন পুতিন। এতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার শঙ্কাই প্রমাণ হলো। তারা জানিয়েছিলন, পুতিন যুদ্ধবিরতির নামে পুনরায় তীব্রতর সহিংসতার পাঁয়তারা করছেন। 

এ অবস্থায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাম্প। তার সামনে এখন দুটো পথ খোলা: হয় তিনি পুতিনের কথা মেনে ইউক্রেনকে আরও চাপ দেবেন অথবা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পুতিনকে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবেন। প্রথম পথে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো ইউরোপীয় বন্ধু যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স খেপবে।

ইউরোপ চায়, শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রকে দেশগুলো সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিতেও প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও বলছেন, ‘বাধা ছাড়া চূড়ান্ত শান্তি আসে না।’

এতদসত্ত্বেও, পুতিনকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠনের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের কারণে ইউক্রেন আরও নাজুক কূটনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের জোর জবরদস্তির লোক দেখানো যুদ্ধবিরতি আসলেই ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনে নাকি ইউরোপের বুকে গাজার প্রতিচ্ছবি দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব- এটা সময়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের
সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে ইলন মাস্ককে অনুরোধ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসএক্সের মোহাকাশযান পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি।

এর আগেই উইলমোর এবং উইলিয়ামসের প্রত্যাবর্তন ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে বলেন,’বাইডেন রাজনৈতিক কারণে মহাকাশচারীদের মহাকাশেই রেখে গেছেন।‘ 

দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যও সাবেক রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে একটি পোস্টে বলেন, ‘আমি ইলন মাস্ক এবং @SpaceX কে অনুরোধ করেছি তারা যেন দুই সাহসী নভোচারীকে ‘ফিরিয়ে আনে  যাদের বাইডেন প্রশাসন কার্যত মহাকাশে ফেলে রেখে গেছে। তারা অনেক মাস ধরে @Space Station-এ অপেক্ষা করছে। ইলন শীঘ্রই তার পথে ফিরে আসবে। আশা করি, সবাই নিরাপদে থাকবে। শুভকামনা ইলন!!!' সূত্র: ফক্স নিউজ

দিনা/

গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা
গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করেছে আইডিএফ। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিস এবং হামাসের আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, তাদের হামলায় নিহত হন ইশাম দা-লিস। গাজায় তার পদবী ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান। যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের পদ।

এই হামলায় ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতেন।

আইডিএফ জানায়, হামাস সরকারের উচ্চপদস্থ এ চার নেতাকে লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়। আইডিএফ আরও জানায়, এসময় হামাসের মধ্যম সারির কমান্ডারদেরও হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সামরিক ও বেসামরিক সরকারের উপর বড় আঘাত হানা। যেন তারা গাজায় নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ইসরায়েলের জন্য কোনো ধরনের হুমকিতে পরিণত না হয়।

এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করে ইসরায়েল। তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।

ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখা হবে। মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) রাতে ঘুমন্ত গাজাবাসীর উপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশতরও বেশি মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছেন। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/