ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

ভারতে ঢুকে পড়ল চীনা ভাইরাস

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
ভারতে ঢুকে পড়ল চীনা ভাইরাস
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি)

আশঙ্কাই সত্যি হলো। ভারতে ঢুকে পড়েছে চীনা ভাইরাস। বেঙ্গালুরুতে আট মাসের এক শিশুর শরীরে মিলল হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) হদিশ! একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে শিশুটির। সেখানেই তার নমুনা পরীক্ষায় মেলে এইচএমপিভি’র খোঁজ। যা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। 

যদিও কর্নাটকের স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, ওই শিশুটির নমুনাটি কোনো সরকারি ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়নি। বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রেই এই তথ্য সামনে এসেছে। তবে বেসরকারি হাসপাতালের পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।

এইচএমপিভি ভাইরাসের খবর নিশ্চিত করেছে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতোমধ্যেই বিষয়টি কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও জানানো হয়েছে৷ তবে চীনা ভাইরাসটি কোন প্রজাতির সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, ‘চিনে এইচএমপিভি ভাইরাসের কোন প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। ফলে এই ভাইরাসের প্রজাতি সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, চীনের হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। জানা যায়, চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ। যা করোনার করুণ স্মৃতি উসকে দেয়। উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে ভারতসহ বিশ্বের সর্বত্র। 

যদিও চীনের দাবি, এইচএমপি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এটি ‘শীতকালীন সংক্রমণ’৷ তবে নতুন ভাইরাসের খবর মিলতেই চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে ভারত। এই ভাইরাস নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যাতে সময়ে সময়ে তথ্য প্রদান করে সেই অনুরোধও করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশবাসীকে শান্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হয়েছে।

অমিয়/

অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল
অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার ওই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে দিয়েছে। প্রস্তাবটি এখন পর্যালোচনা করছে হামাস। তবে প্রস্তাবের কিছু শর্ত বিশেষ করে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে আপত্তি জানানো হয়েছে। হামাস বিবৃতি দিয়ে ওই আপত্তি জানায়। এ ছাড়া ইসরায়েল যুদ্ধে ৪৫ দিনের একটি সাময়িক বিরতি দিয়ে চায়। কিন্তু হামাস চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। ফলে তেল আবিবের এমন প্রস্তাব হামাস নাকচ করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রস্তাব নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা-অভিযানে গাজা নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। 

১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে গত ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও মার্চেই তা ভেঙে যায়। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী আবার অভিযানে নামে। শুরু হয় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা। ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় গোটা বিশ্ব। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে লাখো জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এরপর ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গত সোমবার প্রস্তাবটি দেয় ইসরায়েল। মিসরের রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট সম্প্রচারমাধ্যম আল কাহেরা নিউজ টিভি এ কথা জানায়। মধ্যস্থতাকারীরা এখন হামাসের উত্তরের অপেক্ষায় আছে। 
পরে ওই দিনই হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ এবং ভূখণ্ড থেকে সব ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, হামাসের চাওয়া ছিল ইসরায়েলকে হামলা ও বৈরিতা পুরোপুরি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, কিন্তু প্রস্তাবে তা আসেনি। নতুন প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামাসের নিরস্ত্রীকরণও চেয়েছে। কিন্তু এটা কখনো হামাস মানবে না বলে আবু জুহরি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র হস্তান্তর এমন একটি শর্ত, যা নিয়ে আলোচনা তো বাদ, বিবেচনায়ও আনা যাবে না।’

হামাস চাইছে, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিক এবং জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে গাজা ভূখণ্ড থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিক। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল ও গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না। 

আবু জুহরি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের বদলে একসঙ্গে সব জিম্মিকে হস্তান্তরে প্রস্তুত হামাস।’ 

ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

গাজায় ইসরায়েলি ‘সামরিক বর্বরতার’ প্রতিবাদে দেশটির নাগরিকদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এ ঘোষণা দেন। এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে, যাতে গাজায় ইসরায়েলি ‘বর্বরতার’ কথাও উল্লেখ করা হয়।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলছে, মালদ্বীপ অভিবাসন আইনের তৃতীয় সংশোধনীর অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারই পিপলস মজলিস কর্তৃক অভিবাসন আইনের তৃতীয় সংশোধনী পাস হয়। এর ফলে এখন থেকে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীরা মালদ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু লেখেন, ‘এই সংশোধনী ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানের স্পষ্ট প্রতিফলন। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আমাদের এই দেশটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’ সূত্র: আল-জাজিরা

লন্ডনে সন্দেহভাজনদের ধরতে ব্যাটম্যান-রবিনের পোশাকে পুলিশ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
লন্ডনে সন্দেহভাজনদের ধরতে ব্যাটম্যান-রবিনের পোশাকে পুলিশ
সন্দেহভাজন ধরতে লন্ডনের দুই পুলিশ অফিসার ব্যাটম্যান এবং রবিনের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাঠে নামেন। ছবি: সংগৃহীত

সন্দেহভাজন ধরতে লন্ডনের দুই পুলিশ অফিসার ব্যাটম্যান এবং রবিনের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাঠে নামেন। এই ঘটনার পর ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে ব্যাটম্যান এবং রবিনের পোশাক পরা দুই লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসারের ছবি ভাইরাল হয়।

শনিবার (১২ এপ্রিল )  এনবিসি নিউজ একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

ইন্সপেক্টর ড্যারেন ওয়াটসন এবং পুলিশ কনস্টেবল আবদি ওসমান জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে একটি অবৈধ জুয়ার চক্রকে ধরতেই এই অভিনব উপায় অবলম্বন করেন। সুপারহিরোর পোশাক পরে তারা যেখানে অবস্থান নেন যেখানে প্রায়ই দর্শনার্থীরা প্রতারিত হন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের মতে, অবৈধ জুয়াড়ি চক্রগুলি 'থ্রি কাপ চ্যালেঞ্জ' বা 'শেল গেম' নামে পরিচিত গেমগুলোর মাধ্যমে পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করে থাকতো। তবে, যেহেতু এই ব্যক্তিদের বেশিরভাগই অফিসারদের আগে থেকেই চিনতেন তাই তাদের এমন ছদ্মবেশ নিতে হয়।

বেশ কয়েকদিন এভাবে ছদ্মবেশ নেয়ার পর অবশেষে ১৫ ফেব্রুয়ারি, এই জুটি অপরাধীদের ধাওয়া করে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে ক্রয়ডন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৯২৫ পাউন্ড জরিমানা করে।

অপরাধীদের ধরতে গিয়ে কেবল যুক্তরাজ্যের পুলিশই এমন অনন্য পোশাক পড়ল তা কিন্তু নয়। গত মার্চ মাসে, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে পুলিশ অফিসাররা কার্নিভালের মাঝখানে পাওয়ার রেঞ্জার্সের পোশাক পরে একজন সন্দেহভাজন চোরকে গ্রেপ্তার করেন। 

একইভাবে, পেরুর রাজধানী লিমাতে, একজন পুলিশ অফিসার ক্যাপিবারা পোশাক পরে একটি মাদক অভিযান পরিচালনা করেন যেখানে তিনি ১,৭০০ প্যাকেট কোকেন এবং গাঁজা উদ্ধার করেন। সূত্র: এনবিসি নিউজ

দিনা

সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর
প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

সম্প্রতি কানাডিয়ান উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র হলোস উক্রাইনি স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের সিআইএ-এর একটি গোপন নথি প্রকাশ করে। যেখানে ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনা এবং একটি ইউএফও-র মধ্যে কথিত সংঘর্ষের বিবরণ রয়েছে। এই নথি প্রকাশের পর ইন্টার্নেটে রীতিমতো হইচই শরু হয়। 

প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে কোনো এক সময় ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়াতে অংশ নেওয়ার সময় 'একটি গোলাকার  উড়ন্ত মহাকাশযান'দেখতে পায়।

এই সিআইএ নথিটি ২০০০ আবিষ্কার করার পর গোপন রাখা হয়। তবে সম্প্রতি নথিটি প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি ইউএফও ( আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) সম্পর্কে আগ্রহীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আমেরিকান বিখ্যাত কমেডি পডকাস্ট 'দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স'-এও এটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সিআইএ নথি অনুসারে, এসময় একটি প্লাটুন একটি উড়ন্ত সসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যার ফলে এলিয়েনরাও প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ২৩ জন সেনাকে পাথরে পরিণত করে।

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সিআইএ ঘটনাস্থলে ২৫০ পৃষ্ঠার একটি কেজিবি রিপোর্ট পায়, যাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং পরবর্তী ঘটনার বিরক্তিকর  ছবি রয়েছে।

প্রতিবেদনে সৈন্যদের শরীরের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করার বিস্ময়কর বর্ণনা দেওয়া হয়, যেখানে একজন আমেরিকান এজেন্ট দৃশ্যটিকে 'বহির্জাগতিক প্রাণীদের প্রতিশোধের এক ভয়াবহ চিত্র' হিসাবে বর্ণনা করেন।

এই প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় একটি গোলাকার উড়ন্ত মহাকাশযান দেখতে পায়। এরপর একজন সেনা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইউএফওতে আঘাত করে এবং এটিকে বিধ্বস্ত করে।

এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘এটি খুব বেশি দূরে নয়,পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে এবং এর ভেতর থেকে 'বড় মাথা এবং বড় কালো চোখ' বিশিষ্ট ৫টি ছোট মানবদেহ বেরিয়ে আসে।বেঁচে থাকা সেনারা জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসার পর, বহির্জাগতিক প্রাণীরা দলবদ্ধ হয়ে একটি একক, গোলাকার বস্তুতে মিশে যায়।

এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, গোলকগুলো অনেক বড় হয়ে উঠে এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোয় বিস্ফোরিত হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে, ঘটনাটি দেখতে পাওয়া ২৩ জন সৈন্য পাথরের খুঁটিতে পরিণত হয়। কেবল দুজন সৈন্য যারা ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং আলোকিত বিস্ফোরণের সংস্পর্শে কম আসে তারা বেঁচে যায়!’

সেখানে আরো বলা হয়, কেজিবি ক্ষতবিক্ষত সৈন্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত মহাকাশযানটি আটক করে মস্কোর কাছে একটি গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, একটি অজানা আলোক উৎস সেনাদের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করে।

সিআইএ এই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলে,’ যদি কেজিবি ফাইলটি বাস্তবতার সাথে মিলে যায়, তাহলে এটি একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা। এলিয়েনদের কাছে এমন অস্ত্র এবং প্রযুক্তি রয়েছে যা আমাদের সমস্ত ধারণারও বাইরে।‘ 

এদিকে প্রাক্তন সিআইএ এজেন্ট মাইক বেকার ফক্স নিউজকে এই প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে, ঘটনার প্রকৃতি যাই হোক না কেন, আমার সন্দেহ হয় যে প্রকৃত প্রতিবেদনটি মূলত যা লেখা হয় তার পাঁচ, ছয় বা সাতটি পুনরাবৃত্তি থেকে এসেছে। আর সেখান থেকে যা উঠে এসেছে তার সাথে প্রকৃত ঘটনার খুব বেশি মিল নেই।' সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

দিনা/

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪২ এএম
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

বুধবার ( ১৬ এপ্রিল ) এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

তিনি আরও বলেন, দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটির মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।

এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেন ট্যামি ব্রুস।

এ সময় এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক দেখা গেছে- তাও প্রকাশ্যে সেটি তুলে ধরা হয়।

এছাড়া মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।'

এসব কথার জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।'

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন - এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি - বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।'

এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন সেখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।'

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা বিকল্প হিসেবে কি বেছে নেবে। সূত্র: এএনআই

দিনা/অমিয়/

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত
উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র মাউন্ট পায়েকতু পর্বত। এমনকী কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে এই পায়েকতু সফর করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশের কড়া পাহারার সামরিক চৌকির পাহাড়ি রাস্তার শেষ প্রান্তে হুংকার দিচ্ছে একটি আগ্নেয়গিরি। সাথে বিস্তার করে আছে আগ্নেয়গিরির কোলঘেষা গভীর হ্রদ। উ.কোরিয়া এবং চীন সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরির মাউন্ট পায়েকতু হল কোরীয় উপদ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। 

যে উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার বর্ণনা করা হয়, তার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই পর্বতের নাম। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি ও রাষ্ট্রীয় প্রতীকে গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বতটিকে সম্প্রতি ইউনেস্কোর গ্লোবাল জিওপার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারই প্রথম উ.কোরিয়ার প্রাকৃতিক কোনো স্থান এই সম্মানে ভূষিত হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে মঙ্গলবার( ১৫ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ সময় পায়েকতু পর্বতের অসাধারণ প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য—বিশেষ করে আগ্নেয়গিরির ইতিহাস, হিমবাহঘটিত উপত্যকা ও ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা উঠে আসে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, পায়েকতু ছিল প্রথম কোরীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা ডানগুনের জন্মস্থান। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং ১৯৪০-এর দশকে জাপানি দখলদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এই পর্বতের আশপাশেই লুকিয়ে ছিলেন। এমনকি তার পুত্র কিম জং ইল-এর জন্মও এই পর্বতের কাছে একটি কুটিরে হয় বলে প্রচার করে উত্তর কোরিয়া। যদিও ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুযায়ী ধারণা করা হয়, তিনি সম্ভবত রাশিয়ায় জন্ম নেন।

এই পর্বত কিম পরিবারকে ঘিরে গড়ে উঠা ‘পায়েকতু রক্তরেখা’র প্রতীক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই রক্তরেখাকে মহৎ, বীরত্বপূর্ণ ও বিশুদ্ধ জাতির প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয়। এ কারণে পায়েকতু শুধু একটি পর্বত নয়, এটি উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র। এই পর্বতের ছবি জাতীয় প্রতীকে, রকেট, বিদ্যুৎকেন্দ্র এমনকি দেশের নামেও ব্যবহৃত হয়।

২০১৭ সালে একজন পশ্চিমা সাংবাদিকের ধারণকরা ভিডিওতে দেখা যায়—পাহাড়ি বাতাস আর হ্রদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে কাঁদছেন।

কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে পায়েকতু সফর করেন—যেমন তার চাচা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ২০১৬ সালের পারমাণবিক পরীক্ষার আগেও তিনি এমনটি করেন। এমনকি ২০১৮ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে সঙ্গে নিয়ে এই পর্বতের শীর্ষে উঠেন। দুই কোরিয়ার ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই সময়টিকে।

৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে পায়েকতু পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনেস্কোর এটিকেই গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: সিএনএন

দিনা/