
কিউবার দক্ষিণ-পূর্বে ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনি বন্দিকে ওমানে পুনর্বাসন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ। তবে সেখানে আরও ১৫ জন বন্দি রয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপি এ কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বন্দির সংখ্যা কমাতে চায় এবং গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধ করার ওপরও দৃষ্টি রয়েছে। আর এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ওমান সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সদিচ্ছার প্রশংসা করেছে।’
প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, ১১ ইয়েমেনির মুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি একজন বন্দিকে তিউনিসিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তাদের এই মুক্তির ফলে কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি রয়েছে।
এদিকে কারাগারটিতে সর্বোচ্চ ৮০০ জন বন্দি রাখা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, অবশিষ্ট বন্দিদের মধ্যে তিনজন স্থানান্তরের যোগ্য, তিনজন সম্ভাব্য মুক্তির যোগ্য, সাতজন অভিযোগের সম্মুখীন এবং দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালে তার নির্বাচনের আগে গুয়ানতানামো-বে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মেয়াদের এখন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে।
এদিকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার (১/১১) পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অপসারণ করা ও যে সকল দেশ সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও এর অন্যান্য মিত্র দেশের ‘ওয়ার অন টেরর’ অভিযানকালে এই স্থাপনাটি খোলা হয়। বন্দীদের অনির্দিষ্টকাল বন্দি রাখার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়েছে।
মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে নির্মিত কারাগারটি ৯/১১-এর পরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে ওঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকাল বন্দি রাখা এবং বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
বাসস/তাওফিক/