ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

যুক্তরাষ্ট্র গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনির মুক্তি

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনির মুক্তি
কুখ্যাত মার্কিন গুয়ানতানামো কারাগারের এক অংশ। ছবি: সংগৃহীত

কিউবার দক্ষিণ-পূর্বে ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন গুয়ানতানামো কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনি বন্দিকে ওমানে পুনর্বাসন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ। তবে সেখানে আরও  ১৫ জন বন্দি রয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপি এ কথা জানায়।
 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র বন্দির সংখ্যা কমাতে চায় এবং গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধ করার ওপরও দৃষ্টি রয়েছে। আর এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ওমান সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সদিচ্ছার প্রশংসা করেছে।’

প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, ১১ ইয়েমেনির মুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি একজন বন্দিকে তিউনিসিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তাদের এই মুক্তির ফলে কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি রয়েছে। 

এদিকে কারাগারটিতে সর্বোচ্চ ৮০০ জন বন্দি রাখা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, অবশিষ্ট বন্দিদের মধ্যে তিনজন স্থানান্তরের যোগ্য, তিনজন সম্ভাব্য মুক্তির যোগ্য, সাতজন অভিযোগের সম্মুখীন এবং দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালে তার নির্বাচনের আগে গুয়ানতানামো-বে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মেয়াদের এখন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে।

এদিকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার (১/১১) পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অপসারণ করা ও যে সকল দেশ সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও এর অন্যান্য মিত্র দেশের ‘ওয়ার অন টেরর’ অভিযানকালে এই স্থাপনাটি খোলা হয়। বন্দীদের  অনির্দিষ্টকাল বন্দি রাখার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়েছে।

মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে নির্মিত কারাগারটি ৯/১১-এর পরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে ওঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকাল বন্দি রাখা এবং বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে অধিকার গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। 

বাসস/তাওফিক/ 

এবার চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
এবার চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ
এবার মার্কিন শুল্কের বিপরীতে সম্ভবত নতি স্বীকার করতেই হবে চীনকে। শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । ছবি: সংগৃহীত

এবার মার্কিন শুল্কের বিপরীতে সম্ভবত নতি স্বীকার করতেই হবে চীনকে। শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি চীনা পণ্যের উপর আরও বাড়তি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে।

হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

এই বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, চীনের পাল্টা পদক্ষেপের কারণে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্যের উপর ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করা হবে। এই পদক্ষেপকে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট ট্রেড পলিসির’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, চীন ইচ্ছাকৃত সামরিক, মহাকাশ ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উচ্চ-প্রযুক্তি উপকরণ গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনি সরবরাহ সীমিত করছে।

সম্প্রতি, চীন যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি বিরল ধাতু ও চুম্বকের রপ্তানি স্থগিত করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ-শৃঙ্খলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর উপর চীনের নিয়ন্ত্রণকে আরও জোরদার করেছে।

এই বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাস আগে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, অ্যান্টিমনি এবং সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ-প্রযুক্তি উপকরণের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। এই সপ্তাহেই চীন আবার ছয়টি ভারি বিরল মৃত্তিকা ধাতু এবং বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের রপ্তানি স্থগিত করে।

এর মাধ্যমে তারা গাড়ি প্রস্তুতকারক, মহাকাশযান নির্মাণকারী, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি এবং সামরিক ঠিকাদারদের কাছে সরবরাহ বন্ধ করতে চাইছে।

পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ায়।

এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে দেন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প রক্ষা এবং সরবরাহ চেইন সুরক্ষিত করার প্রতি তার প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম দিন থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতিকে আবার মহান করে তোলার জন্য তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট ট্রেড নীতি’ শুরু করেন। সূত্র:  আনাদোলু অ্যাজেন্সি

দিনা/অমিয়/

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি বাঁচাতে জাতিসংঘে বংশধরের চিঠি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি বাঁচাতে জাতিসংঘে বংশধরের চিঠি
ইয়াকুব হাবিব উদ্দিন টুসি নিজেকে শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর দাবি করে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখেন। ছবি: সংগৃহীত

তার নাম ইয়াকুব হাবিব উদ্দিন টুসি। নিজেকে শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর দাবি করে তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষার অনুরোধ জানিয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর জেলা (পূর্বের আওরঙ্গাবাদ) কুলদাবাদে অবস্থিত আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে নাগপুরে সহিংসতার প্রায় এক মাস পর তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন।

যুবরাজ ইয়াকুব, নিজেকে ওয়াক্ফ সম্পত্তির মুতাওয়াল্লী (তত্ত্বাবধায়ক) বলেও দাবি করেন।

তিনি বলেন, সমাধিটি ‘জাতীয় গুরুত্বের স্মৃতিস্তম্ভ’ হিসেবে ঘোষিত এবং প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান (১৯৫৮–এর অধীনে সুরক্ষিত)।

জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে লেখা এই চিঠিতে বলা হয়, ‘এই আইনের বিধান অনুযায়ী, সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের কাছে বা তার কাছাকাছি কোনো অননুমোদিত নির্মাণ, পরিবর্তন, ধ্বংস বা খনন করা যাবে না এবং এই ধরনের যেকোনো কার্যকলাপ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।’

এছাড়া তিনি সমাধি রক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের দাবি জানান।

তিনি চিঠিতে বলেন, ‘চলচ্চিত্র, মিডিয়া আউটলেট এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর ভুল উপস্থাপনার কারণে জনমতকে প্রভাবিত করা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে অযৌক্তিক প্রতিবাদ, ঘৃণা প্রচার এবং কুশপুতুল পোড়ানোর মতো আগ্রাসন সংঘটিত হচ্ছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক আইন ‘বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুবিধার জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং সংরক্ষণের’ বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।

চিঠিতে ইউনেস্কো কনভেনশন কনসার্নিং দ্য প্রোটেকশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড কালচারাল অ্যান্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ, ১৯৭২–এ ভারতের স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে বলা হয় ‘এই ধরণের স্মৃতিস্তম্ভের কোনো ধ্বংস, অবহেলা বা বেআইনি পরিবর্তন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।’

তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের কার্যালয়কে বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও এএসআইকে আওরঙ্গজেবের সমাধিকে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণ’ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

বলিউডের ছাভা বা ছাওয়া চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর ভারতে নতুন করে মুঘল শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন। তারা সেখানে হিন্দু মন্দির রয়েছে দাবি করে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানায়। এমনকি সেখানে গুপ্তধনের সন্ধানে খোঁড়াখুঁড়িও শুরু হয়।

এর জেরে ১৭ মার্চ নাগপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু গোষ্ঠী আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানায়। এরপর মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  সূত্র: এনডিটিভি

দিনা/অমিয়/

অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল
অবশেষে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিল ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার ওই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে দিয়েছে। প্রস্তাবটি এখন পর্যালোচনা করছে হামাস।

তবে প্রস্তাবের কিছু শর্ত বিশেষ করে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে আপত্তি জানানো হয়েছে। হামাস বিবৃতি দিয়ে ওই আপত্তি জানায়।

এছাড়া ইসরায়েল যুদ্ধে ৪৫ দিনের একটি সাময়িক বিরতি দিয়ে চায়। কিন্তু হামাস চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। ফলে তেল আবিবের এমন প্রস্তাব হামাস নাকচ করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই প্রেক্ষিতে নতুন প্রস্তাব নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা-অভিযানে গাজা নগরী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। 

১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে গত ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও মার্চেই তা ভেঙে যায়। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী আবার অভিযানে নামে। শুরু হয় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষকে হত্যা। ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় গোটা বিশ্ব। যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এরপর ইসরায়েল নতুন করে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গত সোমবার প্রস্তাবটি দেয় ইসরায়েল। মিসরের রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট সম্প্রচারমাধ্যম আল কাহেরা নিউজ টিভি এ কথা জানায়।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন হামাসের উত্তরের অপেক্ষায়। 

পরে ওইদিনই হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরায়েলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ এর প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ এবং ভূখণ্ড থেকে সব ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের দাবিও জানায় তারা।

এ বিষয়ে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, হামাসের চাওয়া ছিল ইসরায়েলকে হামলা ও বৈরিতা পুরোপুরি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, কিন্তু প্রস্তাবে তা আসেনি। নতুন প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামাসের নিরস্ত্রীকরণও চেয়েছে। কিন্তু এটা কখনো হামাস মানবে না বলে আবু জুহরি জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র হস্তান্তর এমন একটি শর্ত, যা নিয়ে আলোচনা তো বাদ, বিবেচনায়ও আনা যাবে না।’

হামাস চাইছে, ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিক এবং জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে গাজা ভূখণ্ড থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করুক।

অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল ও গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না। 

আবু জুহরি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের বদলে একসঙ্গে সব জিম্মিকে হস্তান্তরে প্রস্তুত হামাস।’ 

ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

গাজায় ইসরায়েলি ‘সামরিক বর্বরতার’ প্রতিবাদে দেশটির নাগরিকদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গতকাল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এ ঘোষণা দেন।

এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে, যাতে গাজায় ইসরায়েলি ‘বর্বরতার’ কথাও উল্লেখ করা হয়।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি বলছে, মালদ্বীপ অভিবাসন আইনের তৃতীয় সংশোধনীর অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারই পিপলস মজলিস কর্তৃক অভিবাসন আইনের তৃতীয় সংশোধনী পাস হয়। এর ফলে এখন থেকে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীরা মালদ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু লেখেন, ‘এই সংশোধনী ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানের স্পষ্ট প্রতিফলন। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আমাদের এই দেশটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’ সূত্র: আল-জাজিরা

লন্ডনে সন্দেহভাজনদের ধরতে ব্যাটম্যান-রবিনের পোশাকে পুলিশ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
লন্ডনে সন্দেহভাজনদের ধরতে ব্যাটম্যান-রবিনের পোশাকে পুলিশ
সন্দেহভাজন ধরতে লন্ডনের দুই পুলিশ অফিসার ব্যাটম্যান এবং রবিনের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাঠে নামেন। ছবি: সংগৃহীত

সন্দেহভাজনদের ধরতে লন্ডনের দুই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যাটম্যান এবং রবিন হুডের ছদ্মবেশ ধারণ করে মাঠে নামেন। এই ঘটনার পর ওয়েস্ট মিনস্টার ব্রিজে ব্যাটম্যান এবং রবিন হুডের পোশাক পরা লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই কর্মকর্তার ছবি ভাইরাল হয়।

শনিবার (১২ এপ্রিল) এনবিসি নিউজ এসব তথ্য জানায়।

ইন্সপেক্টর ড্যারেন ওয়াটসন এবং পুলিশ কনস্টেবল আবদি ওসমান জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে একটি অবৈধ জুয়ার চক্র ধরতেই এই অভিনব উপায় অবলম্বন করেন। সুপার হিরোর পোশাক পরে তারা যেখানে অবস্থান নেন যেখানে প্রায়ই দর্শনার্থীরা প্রতারিত হন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের মতে, অবৈধ জুয়াড়ি চক্রগুলি 'থ্রি কাপ চ্যালেঞ্জ' বা 'শেল গেম' নামে পরিচিত গেমগুলোর মাধ্যমে পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করে থাকে। তবে, যেহেতু এই ব্যক্তিদের বেশিরভাগই কর্মকর্তাদের আগে থেকেই চিনতেন তাই তাদের এমন ছদ্মবেশ নিতে হয়।

বেশ কয়েকদিন এভাবে ছদ্মবেশ নেওয়ার পর অবশেষে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে ক্রয়ডন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৯২৫ পাউন্ড জরিমানা করে।

অপরাধীদের ধরতে গিয়ে কেবল যুক্তরাজ্যের পুলিশই এমন অনন্য পোশাক পরল তা কিন্তু নয়। গত মার্চ মাসে, ব্রাজিলের সাও পাওলোতে পুলিশ কর্মকর্তারা কার্নিভালের মাঝখানে পাওয়ার রেঞ্জার্সের পোশাক পরে এক সন্দেহভাজন চোরকে গ্রেপ্তার করেন। 

একইভাবে, পেরুর রাজধানী লিমাতে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ক্যাপিবারা পোশাক পরে একটি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। তখন তিনি এক হাজার ৭০০ প্যাকেট কোকেন এবং গাঁজা জব্দ করেন। সূত্র: এনবিসি নিউজ

দিনা/অমিয়/

সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর
প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

সম্প্রতি কানাডিয়ান উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র হলোস উক্রাইনি স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সিআইএর একটি গোপন নথি প্রকাশ করেছে। যেখানে ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনা এবং একটি ইউএফওর মধ্যে কথিত সংঘর্ষের বিবরণ রয়েছে। এই নথি প্রকাশের পর ইন্টারনেটে রীতিমতো হৈচৈ শুরু হয়। 

প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে কোনো এক সময় ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়াতে অংশ নেওয়ার সময় 'একটি গোলাকার উড়ন্ত মহাকাশযান' দেখতে পেয়েছিলেন।

এই সিআইএ নথিটি ২০০০ সালে আবিষ্কার করার পর গোপন রাখা হয়। তবে সম্প্রতি নথিটি প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি ইউএফও (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) সম্পর্কে আগ্রহীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আমেরিকান বিখ্যাত কমেডি পডকাস্ট 'দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স'-এ এটি নিয়ে আলোচনা হয়।

সিআইএর নথি অনুসারে, এ সময় একটি প্লাটুন একটি উড়ন্ত সসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যার ফলে এলিয়েনরাও প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ২৩ জন সেনাকে পাথরে পরিণত করে।

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সিআইএ ঘটনাস্থলে ২৫০ পৃষ্ঠার একটি কেজিবি রিপোর্ট পায়, যাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং পরবর্তী ঘটনার বিরক্তিকর  ছবি রয়েছে।

প্রতিবেদনে সৈন্যদের শরীরের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করার বিস্ময়কর বর্ণনা দেওয়া হয়, যেখানে একজন আমেরিকান অ্যাজেন্ট দৃশ্যটিকে 'বহির্জাগতিক প্রাণীদের প্রতিশোধের এক ভয়াবহ চিত্র' হিসাবে বর্ণনা করেন।

এই প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় একটি গোলাকার উড়ন্ত মহাকাশযান দেখতে পায়। এরপর একজন সেনা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইউএফওতে আঘাত করে এবং এটিকে বিধ্বস্ত করে।

এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘এটি খুব বেশি দূরে নয়, পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে এবং এর ভেতর থেকে 'বড় মাথা এবং বড় কালো চোখ' বিশিষ্ট ৫টি ছোট মানবদেহ বেরিয়ে আসে। বেঁচে থাকা সেনারা জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসার পর, বহির্জাগতিক প্রাণীরা দলবদ্ধ হয়ে একটি একক, গোলাকার বস্তুতে মিশে যায়।

এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, গোলকগুলো অনেক বড় হয়ে উঠে এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোয় বিস্ফোরিত হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে, ঘটনাটি দেখতে পাওয়া ২৩ জন সৈন্য পাথরের খুঁটিতে পরিণত হয়। কেবল দুজন সৈন্য যারা ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলেন এবং আলোকিত বিস্ফোরণের সংস্পর্শে কম আসে তারা বেঁচে যায়!’

সেখানে আরও বলা হয়, কেজিবি ক্ষতবিক্ষত সৈন্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত মহাকাশযানটি আটক করে মস্কোর কাছে একটি গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, একটি অজানা আলোক উৎস সেনাদের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করে।

সিআইএ এই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলে,’ যদি কেজিবি ফাইলটি বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে এটি একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা। এলিয়েনদের কাছে এমন অস্ত্র এবং প্রযুক্তি রয়েছে যা আমাদের সমস্ত ধারণারও বাইরে।‘ 

এদিকে প্রাক্তন সিআইএ অ্যাজেন্ট মাইক বেকার ফক্স নিউজকে এই প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, ঘটনার প্রকৃতি যাই হোক না কেন, আমার সন্দেহ হয় যে প্রকৃত প্রতিবেদনটি মূলত যা লেখা হয় তার পাঁচ, ছয় বা সাতটি পুনরাবৃত্তি থেকে এসেছে। আর সেখান থেকে যা উঠে এসেছে তার সাথে প্রকৃত ঘটনার খুব বেশি মিল নেই।' সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

দিনা/অমিয়/