ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

চীনে ছড়িয়ে পড়া এই এইচএমপি ভাইরাস কী?

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩২ এএম
চীনে ছড়িয়ে পড়া এই এইচএমপি ভাইরাস কী?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এক প্রকার ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে চীনজুড়ে। বিশেষত শিশুরা এই ফ্লু দ্বারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। এই রোগের সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। ইতোমধ্যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও যুক্তরাজ্যেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের নাম দিয়েছেন হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)।

এটি মূলত শ্বসনযন্ত্রের একটি রোগ, যেটি কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য ফ্লুর মতো ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

এইচএমপিভি কী?

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস ব্যক্তির ফুসফুসকে আক্রমণ করে। এটি সাধারণত ঠাণ্ডাজাতীয় রোগের মতো উপসর্গ তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, সাধারণত শীতের শেষ দিকে এবং বসন্তকালে এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ২০০১ সালে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। রোগটি খুবই সাধারণ, পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় সব শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়।

এই রোগের পরীক্ষা পদ্ধতি করোনাভাইরাসের মতোই। নাক বা গলা থেকে শ্লেষ্মা সংগ্রহ করে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের অস্তিত্ব পরীক্ষা করা হয়। আরটি-পিসিআর টেস্ট ও অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এটি নির্ণয় করা যায়।

কীভাবে সংক্রমিত হয়?

এইচএমপিভি শরীরে প্রবেশ করে সাধারণত নাক, মুখ বা চোখ দিয়ে। এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়ায় যখন আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দেয়। ফলে বাতাসে ভাইরাসের অণু ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া কোনো দূষিত বা সংক্রমিত জায়গায় হাত দিলে এবং পরে সেই হাত দিয়ে নাক, মুখ বা চোখ স্পর্শ করলেও এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। 

এইচএমপিভি শরীরে কী করে?

এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর এটি আমাদের শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের কোষগুলোতে আটকে যায়। এই কোষগুলো এপিথিলিয়াল কোষ নামে পরিচিত। এপিথিলিয়াল কোষগুলো শ্বসনতন্ত্রের জন্য একটি প্রতিরোধক তৈরি করে, যা শ্বাসনালির ভেতরে শ্লেষ্মা, ধূলিকণা এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি শ্বসনতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং বাইরের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ভাইরাস যখন শরীরের কোষে প্রবেশ করে, তখন এটি নিজের অনেক কপি তৈরি করতে শুরু করে। এর ফলে দ্রুত শরীরে ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। এরপর এই নতুন ভাইরাসগুলো পাশের কোষগুলোকে আক্রান্ত করে এবং শ্বসনতন্ত্রের কোষগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা) ভাইরাসটি শনাক্ত করে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে একটি প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া শুরু করে। যদিও এই প্রতিক্রিয়া ভাইরাসটি শরীর থেকে বের করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবু এটি শরীরে সর্দি ও কাশির মতো কিছু উপসর্গ তৈরি করে। এই উপসর্গগুলো আসলে শরীরের প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়।

এই রোগ কি ছোঁয়াচে না বিপজ্জনক? কারা বেশি ঝুঁকিতে?

এই ভাইরাস খুব সহজে ছড়ায়। তবে সাধারণত এটি সুস্থ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে না। বেশির ভাগ মানুষের সাধারণ ঠাণ্ডা বা ফ্লুর মতো হালকা উপসর্গ দেখা দেয় এবং রোগী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এই রোগে মৃত্যুর হার সঠিকভাবে নির্ধারণ করা কঠিন। কারণ এর বিপরীতে পর্যাপ্ত তথ্য নেই এবং এটি শ্বসনতন্ত্রের অন্য রোগ, যেমন- নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ইত্যাদির সঙ্গে মিলে যেতে পারে। তবে যেসব এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা সীমিত অর্থাৎ চিকিৎসা সুবিধা কম, সেসব জায়গায় এইচএমপিভির কারণে মৃত্যুর ঘটনা কিছুটা বেশি দেখা গেছে।

এ ছাড়া কিছু মানুষের শরীরে ভাইরাসটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন ব্রংকাইটিস (শ্বাসনালির প্রদাহ) ও নিউমোনিয়া (ফুসফুসের সংক্রমণ)। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এদের জন্য ভাইরাসটি প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: আল-জাজিরা

হুথি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৩৮

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ এএম
হুথি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৩৮
পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হন ১০২ জন। 

শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) হুথি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহর সূত্র দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। 

ইরান-সমর্থিত হুথি বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

আল মাসিরাহ টিভি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই হামলার লক্ষ্য হুথি গোষ্ঠীর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা। তবে হুথিরা হতাহতের যে সংখ্যা জানায় এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পেন্টাগনের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।  

তবে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে ভেঙে দেওয়া। 
গত মাসে হুথিদের বিরুদ্ধে বড় আকারের হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে,লোহিত সাগরের জাহাজে হুথিদের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না। 

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী বেশ কিছু জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পক্ষান্তরে হুথিরা বলছে, তারা গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।  

গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময় তারা জাহাজে হামলা বন্ধ রাখে। যদিও গত মাসে গাজায় আইডিএফ আবারও হামলা শুরু হলে হুথিরাও হুঙ্কার দেয় যে— তারা আবারও লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালাবে। যদিও হুথিরা এখনও কোনো হামলার দাবি করেনি।  সুত্র: রয়টার্স

দিনা

দূরের গ্রহে প্রাণের প্রমাণ!

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
দূরের গ্রহে প্রাণের প্রমাণ!
শিল্পীর চোখে দূরের কে২-১৮ বি গ্রহ। ছবি: সংগৃহীত

বহু দূরের এক নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তিত হতে থাকা আরেকটি গ্রহে প্রাণ থাকতে পারে- এমন প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

কে২-১৮বি নামে একটি গ্রহের পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন প্রমাণ পান বিজ্ঞানীরা। তারা সেখানে এমন অণুর খোঁজ পেয়েছেন, যা শুধু জীবের মধ্যে পাওয়া যায়।  

তবে গবেষণা টিমটি বলছে, এই ফলাফল নিশ্চিত করতে আরও তথ্যের প্রয়োজন। গবেষণাটির প্রধান গবেষক নিক্কু মধুসুদন বলেন, ‘অন্য কোথাও প্রাণ আছে এটি তার একটি দৃঢ় প্রমাণ। আমি এই তরঙ্গের বিষয়টি এক-দুই বছরের মধ্যে নিশ্চিত করতে পারব।’ সূত্র: বিবিসি

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৪৩

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ এএম
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৪৩
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান অভিযানে স্থানীয় সময় ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ জন।

শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই এ তথ্য নিশ্চিত করে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি ।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত দেড় বছরে  গাজায় আইডিএফ-এর অভিযানে মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৬৫ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১ দিনে গাজায় নিহত হন দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হন আরও বহুসংখ্যক।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যান, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে যে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়। 
অন্যদিকে ইসরায়েলেও যুদ্ধবন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানান, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

দিনা

ইরানে হামলা পরিকল্পনা ইসরায়েলকে আটকে দেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
ইসরায়েলকে আটকে দেন ট্রাম্প!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যক্রম সীমিত করার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সূত্ররা এ তথ্য জানান। তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

গত বুধবার সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল মে মাসে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা এক বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া।

ইরানের পাল্টা হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং তেহরানে সফলভাবে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন তেল আবিবের। হামলার বিষয়ে কয়েক মাস আলোচনার পরে সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।

গাজা যুদ্ধ, হামাস নেতাদের হত্যা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে গত বছর এপ্রিল ও অক্টোবরে ইরান ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। এতে এই দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সূত্র: এএফপি

শিশুদেরও কারাগারে নেয় ইসরায়েল

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ এএম
শিশুদেরও কারাগারে নেয় ইসরায়েল
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফিকস

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে গত বুধবার থেকে কারাবন্দি দিবস স্মরণে বিভিন্ন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর দেশটিতে ১৭ এপ্রিল কারাবন্দি দিবস পালিত হয়। আল-জাজিরার তথ্যানুসারে, ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কারাগার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও আছে।  বর্তমানেও প্রায় দশ হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় সাতশ জন শিশু। 

প্রতিবছরই ৪০০ থেকে ১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়। তাদের কারও কারও বয়স ১২ বছর বা তার চেয়েও কম। পুরো বিশ্বের মধ্যে ইসরায়েল একমাত্র দেশ; যারা শিশুদের জন্যও সামরিক আদালতের ব্যবস্থা রেখেছে। এই শিশুদের যখন হেফাজতে নেওয়া হয়, তখন তাদের আইনজীবীও থাকে না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় পরিবারকেও উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। 

এই শিশুরা পরবর্তী সময়ে নির্যাতন, হয়রানি, চাপ প্রয়োগ, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথাও জানিয়েছে। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে তাদের বয়ানের রেকর্ড আছে।  

আল-জাজিরার এক বিশ্লেষণ বলছে, ইসরায়েলি কারাগার তৈরিই করা হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে দমানোর মতো করে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহভিত্তিক বিসান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক উবাই আল-আবৌদি জানান, ইসরায়েলি কারাগার-ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য আসলে ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে আনা। 

আল-আবৌদি বলেন, যখন আপনার কাছে পরিসংখ্যান থাকবে যে প্রতি পাঁচ ফিলিস্তিনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আপনি আমলে নেবেন যে, আমাদের জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশ শিশু ও তাদের বয়স ১৮-এর নিচে- তখন হিসাবটা দাঁড়াবে এ রকম যে, আমাদের প্রতি দুজন পুরুষ প্রাপ্তবয়স্কের একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিলেন এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অপরাধী ঘোষিত হয়েছেন।   

আল-আবৌদি নিজেও ২০১৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক ছিলেন। তার মতে, এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া। তিনি বলেন, ইসরায়েলি কারাগারে আপনি ডাক্তার, অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, পদার্থবিদ পাবেন- ফিলিস্তিন সমাজের নাগরিকশ্রেণিকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তাদের দমানো হচ্ছে। কারণ ইসরায়েল চায় না কোনো ধরনের ফিলিস্তিনি সংস্থা গড়ে উঠুক, সামগ্রিকভাবে কোনো ফিলিস্তিনের কিছু গড়ে উঠুক, কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠুক।’ সূত্র: আল-জাজিরা