ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

চাদে বন্ধুকযুদ্ধে ১৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ এএম
চাদে বন্ধুকযুদ্ধে ১৯ জন নিহত
ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন সামরিক সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের এনজামেনা শহরে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন মারা গেছেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে এই ঘটনায় আক্রমণকারীদের ১৮ জন ও নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য প্রাণ হারান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্সে গুলিবর্ষণ শুরু হলে আশেপাশের রাস্তায় সামরিক ট্যাংক ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অবস্থান নেয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা বন্দুকের আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আশেপাশের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, আক্রমণকারীরা সশস্ত্র সংগঠন বোকো হারামের সদস্য। 

চাদ সরকারের মুখপাত্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেরামান মৌলামাল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই ঘটনায় মোট ১৯ জন মারা গেছেন। এর

মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যও রয়েছেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সন্ত্রাসীদের অপতৎরতা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।’

চাদে ২০২১ সাল থেকে সামরিক শাসন জারি রয়েছে। এদিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের লেক চাদ এলাকায় বোকো হারাম বেশ তৎপর।

সম্প্রতি ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল করায় মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের মতো চাদ থেকেও ফরাসি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে।

এই ঘটনার দুই সপ্তাহ আগেই বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। এই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করেন বিরোধীদলের নেতারা।

এদিকে উত্তরাধীকারসূত্রে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন মাহমাত ইদ্রিস বেদি ইতনো সামরিক বাহিনী পুনর্গঠনের পাশাপাশি রাশিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে জোট বেঁধে দেশের ক্ষমতাকাঠামো পরিবর্তন করতে চান।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং উই কূটনৈতিক উদ্দেশ্যে চাদে অবস্থান করছেন।

দেশটির রাজনৈতিক সংকট ও নিরাপত্তাব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা বিশ্বব্যাপী চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সূত্র: ফ্রান্স ২৪

নাইমুর/

জাতিসংঘের তথ্য গাজায় এক মাসে বাস্তুচ্যুত ৫ লাখ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
গাজায় এক মাসে বাস্তুচ্যুত ৫ লাখ ফিলিস্তিনি
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা থামছেই না। গত মার্চে যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার পর ইসরায়েলি বাহিনী যেন আরও নির্মম হয়ে উঠেছে। তাদের হামলার তীব্রতা দেখে এটিই প্রতীয়মান হয় যে গাজাবাসীকে সম্পূর্ণ নির্মূলের লক্ষ্যেই তারা অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর তাঁবুও। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে নতুন করে আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আনুমানিক পাঁচ লাখ মানুষ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলছেন, ‘তার দেশের নীতি স্পষ্ট।’ হামাসকে চাপে ফেলার হাতিয়ার হিসেবে তারা গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছেন না। একদিকে ইসরায়েলি হামলা, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় সহায়তাপ্রবাহ বন্ধ থাকায় মানবেতর পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে গাজাবাসীকে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫১ হাজার ৬৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও গাজার গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ওই দপ্তর জানায়, ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ব্যক্তিদেরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তাঁবুতে হামলা

ইসরায়েলের সর্বশেষ আক্রমণগুলো গাজার দক্ষিণাংশে থাকা ফিলিস্তিনিদের আরও প্রতিকূল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ খান ইউনিসের বেশ কয়েকটি তাঁবুতে হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক শিশু ছিল। সে হামলার পর তাঁবুতে সৃষ্ট আগুনে পুড়ে মারা গেছে। ওই শিশুর তাঁবুর আগুন নেভাতে আশপাশ থেকে মানুষ ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন।

হামলায় আহতদের এখন গাজার নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শরীরে গুরুতর জখম রয়েছে। আহতদের যে অবস্থা, তাতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। গাজায় সে রকম চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই।

তাঁবুতে এ রকম হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তারা জানিয়েছে, এ ধরনের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে। 

গাজায় প্রতিদিন ২৭ শিশু নিহত, এতিম ৩৯ হাজার 

গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৭ শিশু মারা গেছে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার শিশু এতিম হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইউনিসেফের একজন প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনিসেফের ওই প্রতিনিধি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় প্রতিদিন নিহত শিশু ও কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ২৭ জনে পৌঁছেছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ১৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন- এমন লোকদের মধ্যে ৪ হাজার শিশু রয়েছে।

জানুয়ারিতে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পুনরায় গণহত্যা শুরু করে এবং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ায়। সূত্র: আল-জাজিরা

অবশেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নতুন ওয়াক্ফ আইন স্থগিত

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
অবশেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নতুন ওয়াক্ফ আইন স্থগিত
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াক্ফ সংশোধনী আইনকে স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনটি বাস্তবায়ন স্থগিত করেন। আইনটি চ্যালেঞ্জ করে করা অনেক মামলার একত্রিত শুনানি শুরু হয় গতকাল বুধবার। দুই দিন শুনানির পর বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে আদেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। 

ওই আইনের বিরুদ্ধে করা ৭৩টি পিটিশনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া এ বিষয়কে কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন শীর্ষ আদালত।

আইন স্থগিতের পর সরকারের পক্ষ থেকে আদালতকে নিশ্চিত করা হয়, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওয়াক্ফ বোর্ডে নতুন নিয়োগ বা সম্পত্তির অবস্থা পরিবর্তন করা হবে না। পুরোনো ওয়াক্ফ এবং ‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’ সম্পত্তিও আগের মতো থাকবে। 

‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’ এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধর্মীয় বা দানের কাজে ব্যবহৃত সম্পত্তিকে ওয়াক্ফ হিসেবে দাবি করতে পারেন, এমনকি কাগজপত্র না থাকলেও। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ বা সরকারি জমিতে এটি প্রযোজ্য হবে না। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, দিল্লি হাইকোর্ট ওয়াক্ফ জমির ওপর। সব ওয়াক্ফ বাই ইউজার ভুল নয়।’

আদালত নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ঘোষিত ওয়াক্ফ সম্পত্তিতে বদল ঘটানো যাবে না। পাশাপাশি ওয়াক্ফ বোর্ড বা পর্ষদেও নিয়োগ করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ মে।

বৃহস্পতিবার প্রথমে শুনানি করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইন কর্মকর্তা তুষার মেহতা। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে প্রচুর তথ্য জমা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু জমি ওয়াক্ফ জমি হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে। নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। এর পরই সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় চায় কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
 
নতুন ওয়াক্ফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছি, এই আইনে কিছু ভালো দিক অবশ্যই রয়েছে। এটা পুরোপুরি স্থগিত করে দেওয়ার কথা কখনোই বলা হয়নি। কিন্তু আমরা চাই না, এখন যা পরিস্থিতি, তা বদলে যাক। বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। পরিস্থিতি যাতে না বদলায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত ওয়াক্ফ সম্পত্তিতে কোনো বদল ঘটানো যাবে না। পাশাপাশি নিয়োগ করা যাবে না ওয়াক্ফ বোর্ড বা পর্ষদেও।
 
আদালত বলেন, ১৩০০, ১৪০০ বা ১৫০০ শতাব্দীর মসজিদের জন্য কাগজপত্র পাওয়া অসম্ভব। তিনি সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী বলছেন, আদালতের রায়ে প্রতিষ্ঠিত ওয়াক্ফ এখন বাতিল হবে? আইন দিয়ে আদালতের রায় বাতিল করা যায় না।’

আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ‘হাজার বছর আগে ওয়াক্ফ তৈরি হলে এখন কাগজপত্র চাওয়া সমস্যা।’ আইনজীবী অভিষেক সিংভি জানান, ভারতের আট লাখ ওয়াক্ফ সম্পত্তির মধ্যে চার লাখই ওয়াক্ফ বাই ইউজার।

সদ্য পাস হওয়া আইনে কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিল ও রাজ্য ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে। এতে মুসলিম সদস্যের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। কাউন্সিলে ২২ জনের মধ্যে ৮ জন এবং রাজ্য বোর্ডে ১১ জনের মধ্যে ৪ জন মুসলমান থাকবেন। এই বিধান মুসলিম সম্প্রদায় ও বিরোধী দলগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানান, ৭৩টি পিটিশনের মধ্যে পাঁচটি নিয়ে শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘১০০ বা ২০০টি পিটিশন নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। বাকিগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে বলে ধরা হবে।’

চলতি মাসে সংসদে ওয়াক্ফ আইন সংশোধনের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যা তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তৃণমূল বলেছে, তারা এই আইন রাজ্যে কার্যকর করবে না। বিজেপি অভিযোগ করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী নির্বাচনের আগে ‘তোষণের রাজনীতি’ করছেন।

এর আগে গত বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নরেন্দ্র মোদির সরকারের উদ্দেশে একাধিক ‘অস্বস্তিকর’ ও ‘কঠিন’ প্রশ্ন ছুড়ে দেন। বিশেষ করে নতুন আইনে সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ কাউন্সিলে অমুসলিমদের সদস্য করার যে বিধান রাখা হয়েছে, সেই পটভূমিতে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছেন হিন্দু এনডাওমেন্ট বোর্ডে (মন্দির বা দেবোত্তর সম্পত্তির পরিচালনা কমিটি) মুসলিম সদস্যদের রাখা হবে কি না?

পাশাপাশি ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ধরনের সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, সেটাও ‘বিচলিত করার মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে মোট ৭৩টি পিটিশনকে একত্র করে শুনানি করেন। এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি

 

বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর সিগারেটের ছ্যাকা!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর সিগারেটের ছ্যাকা!
প্রতীকী ছবি

ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) ধর্ষণের পর সিগারেটের ছ্যাকাসহ নগ্ন ও জখম করে মাঠে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের রামপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। ১১ বছরের ওই কিশোরী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা আশপাশের সব জায়গায় খুঁজেও তার খোঁজ পায়নি । পরে বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাড়ির পাশের একটি ফসলের খেতের মধ্যে অচতেন অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।

শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এমনকী গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা রয়েছে। সে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

এর পর নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, এফআইআর ও পকসো ধারায় মামলা করার পর অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তাকে আটক করতে গেলে পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি করলে তা অভিযুক্তের পায়ে লাগে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার দিন বাড়ির সামনেই নাবালিকার সঙ্গে গল্প করছিল অভিযুক্ত।‌ এর পর তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।

মেহেদী/

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ?

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রতিষ্ঠানটিকে এই হুমকি দেয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রতিষ্ঠানটিকে এই হুমকি দেয়া হয়। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হার্ভার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তারা ইহুদি-বিদ্বেষের কাছে মাথা নত করছে।’

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
 
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের নিয়োগ, ভর্তি এবং শিক্ষাদান নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রশাসনের মতে, এসব পদক্ষেপ ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।

এদিকে ক্রিস্টি নোম তাদের কাছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত নথিপত্র ও তাদের তথাকথিত ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের’ তথ্য থাকার দাবি করেন। 

চলতি শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৭  শতাংশের বেশি। তবে ক্রিস্টি নোমের সর্বশেষ দাবির বিষয়ে হার্ভার্ড এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি।

সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা ত্যাগ করবে না কিংবা তার সাংবিধানিক অধিকার ছাড়বে না।'

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া ট্রাম্প আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যাক্স ছাড় বাতিলের হুমকি দেন যার ফলে হার্ভার্ড প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প বুধবার তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘হার্ভার্ডকে আর সম্মানজনক কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা উচিত নয়। একে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। হার্ভার্ড এখন একটি তামাশা, যেখানে ঘৃণা ও মূর্খতা শেখানো হয়। এটি আর কোনও ফেডারেল ফান্ড পাওয়ার যোগ্য নয়।‘

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনপন্থি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে।তার সরকারের ‘অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্ক ফোর্স’ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পর্যালোচনার জন্য চিহ্নিত করেছে। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

দিনা/

 

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে সতর্ক করেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বন্দ্ব কেবলই ঘনীভূত হচ্ছে। 

আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সতর্ক করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। 

এই প্রথমবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কোনও বিচারক।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানায়।

বোয়াসবার্গ এক লিখিত রায়ে জানান, বিদেশি শত্রু আইন, ১৭৯৮ ব্যবহার করে অভিবাসীদের বিতাড়ন স্থগিত রাখতে আদেশ দেয় আদালত। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তা অগ্রাহ্য করেছ, যা ফৌজদারি অপরাধের তালিকাভুক্ত।

ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করার প্রমাণস্বরূপ এক্স হ্যান্ডেলের একটু টুইট সংযুক্ত করেন তিনি। অভিবাসীদের বিতাড়নের পর এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট দেন, যেটাতে বোয়াসবার্গের স্থগিতাদেশটি সংযুক্ত ছিল। বুকেলে সেখানে কটাক্ষ করে লিখেন, আহ! দেরি হয়ে গেল ।

এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজের প্রোফাইল থেকে এই স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। এই পোস্টের কথা উল্লেখ করে বোয়াসবার্গ লিখেন, আদালতের রায় অগ্রাহ্য করে সেটা আবার উল্লাসের সঙ্গে প্রচার করেন তারা।

১৭৯৮ সালের বিদেশি শত্রু আইন ব্যবহার করে গত মাসে একাধিক ব্যক্তিকে এল সাল্ভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। বিতাড়িতরা মার্কিন আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই পায়নি। 

এদিকে, অনেক বিতাড়িত ব্যক্তির স্বজনদের দাবি, তারা কেউই অপরাধচক্রে জড়িত নন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মান বাঁচানোর পথও বাতলে দিয়েছেন বোয়াসবার্গ নিজেই। তিনি বলেন, আদেশ মান্য করলে এখনও অবমাননার অভিযোগ এড়াতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এজন্য বিতাড়িত অভিবাসীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বোয়াসবার্গ। 

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মামলা ঠোকা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট ও অনেক আইন বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে না গেলেই বিভিন্ন ছুতায় কালক্ষেপণ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি তারা অবজ্ঞা প্রকাশ করছেন। সূত্র: রয়টার্স 

দিনা/