
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক জার্মানির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের প্রতিবা্দে এক্স বয়কটের বিষয়ে ভাবছেন দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) ডয়েচে ভেলেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানায়।
জার্মানির রক্ষণশীল উগ্র ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এফডি) সমর্থন করায় মাস্কবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির প্রশাসনে।
সরাসরি এফডির প্রশাংসা করে সম্প্রতি দলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অ্যালিস ওয়েইডেলের সঙ্গে জার্মানিতে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন মাস্ক।
এদিকে মাস্কের বক্তব্য প্রত্যাখান করে জার্মান চ্যাঞ্চেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘জার্মানিতে জনআকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেরের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকতে পারে না।’
তবে এক্সে অনিয়ন্ত্রিত প্রভাবের কারণে মাস্ক গুজব ছড়িয়ে জার্মানির নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের অপচেষ্টা চালাতে পারবেন বলে ধারণা করছে বার্লিন প্রশাসন।
সমালোচকদের ভাষ্য, এক্সকে ‘গুজবের মেশিন’ হিসেবে ব্যবহার করেন মাস্ক।
২০২২ সালে মালিকানা গ্রহণের পর থেকে ব্যান করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার বক্তব্য প্রচারের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
এই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ‘ডানপন্থি অপপ্রচার’ চালানো হয় বলেও অভিযোগ জার্মান প্রশাসনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
দেশটির বেশিরভাগ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ইতোমধ্যেই এক্স প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করেছেন। অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেছে সনামধন্যবিশ্ববিদ্যালয়, বুন্দেসলিগা ফুটবলের বিভিন দল।
তাদের দাবি, এক্স বর্ণবাদ ও উগ্র ডানপন্থি গুজবের পাশাপাশি ইহুদিবিরোধী আগ্রাসনে সয়লাব হয়ে গেছে।
এই প্ল্যাটফর্মকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কুচক্র’ আখ্যা দিয়ে ব্যবহার বন্ধ করেছেন দেশটির বৈষম্যবিরোধী কমিশনার ফের্দা আতামান।
তবে সমালোচনা সত্ত্বেও এখনো ডিলিট করা হয়নি বার্লিন সরকারের আনুষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট।
এ প্রসঙ্গে সরকারের মুখপাত্র স্তেফান হেবেস্ট্রেইট বলেন, ‘জনসাধারণ তথ্যের প্রবাহের জন্য যে ধরণের প্যাটফর্মের ওপর নির্ভর করেন, আমরা
চাইলেও এখনই সেখান থেকে সরতে পারছি না।’ সূত্র: ডয়েচে ভেলে
নাইমুর/