
উত্তর কোরিয়ার কাছে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব রেখেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার কুরস্কে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কাছে বন্দি দুই উত্তর কোরীয় সৈন্যের বিনিময়ে রাশিয়ায় আটক ইউক্রেনীয় সৈন্য চেয়েছেন তিনি।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) উত্তর কোরিয়ার দুই সৈন্য আটক করে কিয়েভে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ইউক্রেন সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ)। আটক সামরিক সদস্যরা বর্তমানে কিয়েভে চিকিৎসাধীন।
আটক এক সেনার দাবি, ‘প্রশিক্ষণের’ উদ্দেশ্যে রাশিয়া পাঠানো হচ্ছে ভেবে তিনি এই অঞ্চলে আসতে রাজি হয়েছেন।
রাশিয়ার এক সেনার পরিচিতি কার্ড পাওয়া গেছে তার সঙ্গে।
অন্যজনের বক্তব্যও একইরকম। চোয়ালে আঘাত থাকায় তিনি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
আটক উত্তর কোরীয় সেনারা দেশে ফিরতে না চাইলে ‘যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্বের কাছে প্রকাশ করে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়তা করার সুযোগ দেওয়া হবে’, জানান জেলেনস্কি।
এই দুজনের কারও কাছেই যথাযথ পরিচয়পত্র নেই।
জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রের তাদের মাতৃভাষা ব্যবহার আবশ্যক। তাই, দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি দলের সহায়তায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এসবিইউ।
এক্সের পোস্টে আটক সৈন্যের ছবি প্রকাশ করে তাদের সঙ্গে থাকা ভুয়া পরিচয়পত্রের বিষয়টি জানান জেলেনস্কি।
উত্তর কোরিয়ার সামরিক সদস্যদের রাশিয়ার নাগরিকদের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে মস্কোর পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিতে ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে পিয়ংইয়ং। এই দ্বন্দ্বে বহু উত্তর কোরিয়ার সৈন্য হতাহতের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি ওয়াশিংটনের।
যুদ্ধে বহির্বিশ্বের সহায়তার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘এই যুদ্ধ রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ সূত্র: বিবিসি
নাইমুর/অমিয়/