
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) চলমান আতঙ্কের মধ্যে নতুন এক সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমেরিকায় দেখা দিয়েছে 'র্যাবিট ফিভার/টুলারেমিয়া' নামে নতুন এক আতঙ্ক। আমেরিকায় অনেকের শরীরেই দেখা দিয়েছে এই রোগ।
র্যাবিট ফিভার কী?
র্যাবিট ফিভার ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস নামে এক ধরনের অতি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার ফলে হয়। আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' (সিডিসি)-র তথ্য অনুযায়ী, খরগোশ, ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত প্রাণীর থেকে মাছি বা অন্য পতঙ্গের মাধ্যমে মানুষের শরীরে এ জীবাণু ঢুকতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর দেহাবশেষ, মলমূত্র থেকেও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। যারা খরগোশ পালন করে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এছাড়া ময়লা পানি ও বাতাস থেকেও ছড়াতে পারে এই রোগ। র্যাবিট ফিভারে আক্রান্তের হাঁচি-কাশি, লালার মাধ্যমেও খুব দ্রুত এই রোগ ছড়াতে পারে।
উপসর্গঃ
সাধারণত এতে আক্রান্ত ব্যাক্তার জ্বর, বমি, পেটখারাপ, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ত্বকে র্যাশ, ফুস্কুরি বা ত্বকের সংক্রমণও দেখা দিতে পারে। আক্রান্তদের বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের উপসর্গও দেখা গেছে।
সিডিসি জানায়, এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে ত্বকের আলসার হতে পারে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘আলসেরোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া’ বলা হয়। এতে শরীরের লসিকা গ্রন্থিগুলি ফুলে যেতে পারে। এছাড়া চোখে ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে ওঠা ও দৃষ্টি ক্ষীণ হতে পারে। যাকে বলা হয় ‘অকুলোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া।’ দেখা দিতে পারে নিউমোনিয়ার লক্ষণও। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘নিউমোনিক টুলারেমিয়া’ বলা হয়।
করনীয়
র্যাবিট ফিভার থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতায় জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোয়া আক্রান্তের থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মেহেদী