
চীন ও ভারতে রাশিয়ার তেল রপ্তান্তিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তেলের সবচেয়ে বড় দুই খদ্দেরের কাছে তেল সরবরাহে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে রাশিয়া।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো অর্থের যোগান কমাতেই ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রপথে রপ্তানি করা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ৬০ মার্কিন ডলার থেকে কমে ৪৫ ডলার হয়েছে। কঠোর নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, ২০২২ সালে বেশিরভাগ পশ্চিমা রাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করার পর দেশের তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের ওপরই নির্ভর করছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক সচিক ব্রায়ান নেলসন বলেন, 'রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মস্কোর আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোকে উদ্দেশ্য করেই আমরা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেব।'
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে 'অনিশ্চয়তার' কারণে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা কমিয়েছে বেইজিং। বেঁকে বসেছেন ভারতীয় ক্রেতারাও। তেলের মূল্য কমানোর দাবি করছেন তারা।
তেলের বাজার নষ্ট হয়ে গেলে যুদ্ধের অর্থ যোগান দিতে মস্কোকে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে , মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বন্দনা হরি এ বিষয়ে বলেন, 'অর্থনীতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায়ও উল্লেখযোগ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে,'
সারাবিশ্বেই তেলের বাজার অস্থির। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তেল সরবরাহে বাধার কারণে তেলের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।
এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার দাবি, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেল সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমেছে।
উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার অবস্থানের ওপর বেশ কিছু ভূরাজনৈতিক মারপ্যাঁচ নির্ভর করছে। 'বন্ধুরাষ্ট্র' চীন ও ভারত কঠিন সময়ে মস্কোর পাশে দাঁঁড়ায় কী না- এটাই দেখার বিষয়। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/