কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত
কঙ্গোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বাকাভুতে ঢুকে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ রোয়ান্ডার মদদপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম-২৩। গত মাসে কঙ্গো প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও ফের আগ্রাসী পথে অবতীর্ন হয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয়দের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, অন্তত পাঁচজন বিদ্রোহীকে বাকাভু শহরে অস্ত্র হাতে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া এম-২৩-এর এক সদস্য খোদ বলেছেন, ‘আমরা বাকাভুতে অবস্থান করছি।’
এর আগে জানুয়ারিতে গুরুত্বপূর্ণ শহর গোমা দখলের পর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সহিংসতার এই পর্যায়ে দক্ষিণ কিভু প্রদেশের রাজধানী বাকাভু অঞ্চলে আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে স্থানীয় জনজীবনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এম-২৩।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বলেন, ‘আমি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি- বিদ্রোহীরা আমাদের শহরে ঢুকে পড়েছে।’
রবিবার বিদ্রোহীদের আক্রমণে নিহতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বাকাভুর বাসিন্দা ক্লদ বিসিমওয়া বলেন, ‘যে দুজন আজ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ছররা গুলি করা হয়নি, উদ্দেশপ্রনোদিত হয়ে বিদ্রোহীরা গুলি চালিয়েছেন।’
এই পরিস্থিতিতে শহরজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্ট হয়েছে। স্থানীয়রা ব্যাপক লুটপাটের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। লুট ও রাহাজানির
শিকার হয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মজুদাগারও।
জানা গেছে, বাকাভুর কাভামু শহর জব্দ করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে এম-২৩। এসময় স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা করেনি।
এদিকে, কঙ্গোতে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা চলছে ইথিওপিয়ায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলনে।
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রতি ‘আঞ্চলিক সহিংসতা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ’ আহ্বান করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।
এদিকে এম-২৩কে সমর্থনের অভিযোগ প্রত্যাখান করে কঙ্গোতে চলমান সহিংসহার পেছনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতুকে দায়ী করেছে রোয়ান্ডা প্রশাসন। তবে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কঙ্গোতে অবস্থানরত বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে প্রায় ৪ হাজার সেনা পাঠিয়েছে রোয়ান্ডা। সূত্র: আল-জাজিরা।
নাইমুর/