
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। আবারও সেখানে স্কুলে হামলা চালিয়েছে তারা। সালাহ আল-দিন নামের ওই স্কুলে হামলার ঘটনায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ ছাড়া গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও তিনজন মারা গেছেন।
এদিকে, উত্তর গাজা ১০০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলছেন, অবরুদ্ধ ওই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গত রবিবার ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সেই ফোনালাপে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলে জানান। কাতারের দোহায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলমান রয়েছে। গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের যে ফিলিস্তিনে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, সে বিষয়েও জোর দেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আর খুব একটা সময় নেই বাইডেনের হাতে। ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরবেন ট্রাম্প। গত বছরের পুরোটাই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলেছে। মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। একাধিকবার দেখা গেছে, আলোচনায় অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে মোড় ঘুরে গেছে। তবে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
দোহায় যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ আলোচনায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক যোগ দেন। বার্নিয়ার উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৪৬ হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছেন। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন। সূত্র: আল-জাজিরা