ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হলেন আইসিজের প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হলেন আইসিজের প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম। ছবি: রয়টার্স

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম। এ বিষয়ে লেবাননের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং জানয়েছেন, নওয়াফ বিরোধীদের দমনে কঠোর হবেন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।  

প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানায়, সংসদের বেশিরভাগ সদস্যের ভোটে নওয়াফ সালামকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করায় লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সালাম বর্তমানে বিদেশে আছেন। তিনি মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন। 

আরও জানানো হয়েছে, সংসদের ১২৮ সদস্যের মধ্যে ৮৪ জনের সমর্থন লাভ করেছেন সালাম এবং আউন তাকে সরকার গঠন করতে ডেকে পাঠিয়েছেন।

ইরান-সমর্থিত শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে এবং তার সিরীয় মিত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এদিকে সালামের নির্বাচিত হওয়া লেবাননের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা এও মনে করেন, হিজবুল্লাহর জন্য এটি একটি বড় আঘাত।  

সালাম খ্রিস্টান ও দ্রুজ জনগণের পাশাপাশি সুন্নি মুসলিম আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পেয়েছেন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহ সমর্থক এবং বিরোধী উভয় পক্ষই তাকে ভোট দিয়েছেন। 

হিজবুল্লাহর সংসদীয় নেতা মোহাম্মদ রাদ সাংবাদিকদের বলেন, সালামকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত দেশে ‘বিভাজন’ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন মন্ত্রিসভা দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রতি সম্মান দেখাবে।

এদিকে, জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া এবং নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার ফলে লেবাননের সরকার ব্যবস্থায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থা শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য ছিল এবং এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিপরিষদ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। সূত্র: রয়টার্স 

তাওফিক/ 

ইউরোপকে হাতের মুঠোয় চান পুতিন, সহায়তায় ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
ইউরোপকে হাতের মুঠোয় চান পুতিন, সহায়তায় ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপে মার্কিন আধিপত্য কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন বাঘাবাঘা নেতারা। আদতে তার উদ্দেশ ছিল ইউরোপে রুশ কর্তৃত্ব কায়েম। সে সময় কাউকে পাশে না পেলেও এবার খোদ মার্কিন প্রশাসনই এগিয়ে এসেছে পুতিনের ইউরোপজয়ের স্বপ্ন পূরণে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

জার্মানির মিউনিখের অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী পিট হেগসেথের বক্তব্য থেকে জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ইউরোপের প্রাধান্য কমে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস সফরকালে হেগসেথ ট্রাম্প প্রশাসনের ইউরোপবিমুখতা স্পষ্ট করে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া ও চীনের চেয়েও বড় কূটনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় জোট। এ সময় ইউরোপে উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর দৌরাত্ম নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।   

গত বছর রোমানিয়ায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাতিলের ঘটনা উল্লেখ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স বলেন, ‘ইউরোপ নিজদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুই করার নেই।’ 

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিত্ররাষ্ট্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়াই মস্কোর অভিপ্রায়। দুপক্ষের সম্পর্কে ফাঁটল তৈরি করতে পারলে লাভ পুতিনের।

ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের কর্মকর্তা ন্যাথালি টোকির মতে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইউরোপ ‘পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও দুর্বল হয়ে পড়বে-এটা নিশ্চিত।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা সাময়িক বন্ধ রাখায় ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।

চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিরসনে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় ট্রাম্পের প্রভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ইউরোপের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্কোর চাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে আশঙ্কা তাদের।

এ পর্যায়ে ইউরোপজুড়ে পুতিনের প্রভাব ছড়িয়ে পড়লে পুরো মহাদেশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়তে পারে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌। 

নাইমুর/

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬
ঘটনাস্থলে তৎপর ভূমিকা পালন করেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।

শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা দ্য ডন।

সিন্ধের শেহওয়ান অঞ্চলে অনুষ্ঠেয় ধর্মীয় সম্মেলন লাল শাহবাদ কালান্দারে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সফররত ভক্তদের একাংশ এই দুর্ঘটনার শিকার হন।

প্রথম ঘটনায় বেনাজিরাবাদ জেলার কাজী আহমেদ শহরে একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের সঙ্গে মালবাহী ট্রলির সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ সময় গুরুত্ব আহত হয়েছেন ১০ জন।
 
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াসিম মির্জা দ্য ডনকে বলেন, ‘দ্রুতগততে চলমান ভ্যানটি প্রথমে একটি গাধার পালে ধাক্কা দেয়। পরমূহুর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলারে আঘাত লেগে দুমড়ে যায় ভ্যানটি।’

শেহওয়ানে অবস্থিত মাজারের উদ্দেশে যাত্রারত ভক্তদের নিয়ে ভ্যানটি যাচ্ছিল বলে জানান তিনি।

ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। স্থানীয় হাসপাতালে বাকিদের উদ্ধার করে নেওয়া হলে আরও তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

অন্যদিকে, খাইপুর জেলার রানিপুর অঞ্চলে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন যাত্রী। বাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী রিকশার এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।

খাইপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আহমেদ ফাওয়াদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাস ড্রাইভার রিকশাটির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে এক পর্যায়ে বাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’  

এই ঘটনার ভুক্তভোগীরাও লাল শাহবাদ কালান্দারে যাচ্ছিলেন বলে জানান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।

মাজারটিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ওরসে বিপুল সংখ্যক ভক্ত জমায়েত হবে বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা। তবে মহাসড়কে অব্যবস্থাপনার কারণে অঞ্চলটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সূত্র: দ্য ডন

নাইমুর/

ইসরায়েলে পৌঁছালো ধ্বংসাত্মক মার্কিন বোমার বিশাল চালান

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
ইসরায়েলে পৌঁছালো ধ্বংসাত্মক মার্কিন বোমার বিশাল চালান
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধ্বংসাত্মক এমকে-৮৪ বোমা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ইসরায়েলে এই বোমার বিশাল এক চালান এসে পৌঁছেছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

শক্তিশালী এমকে-৮৪ বোমা ধাতু ও ইটের দেয়াল ভেদ করতে পারে। এই বোমা প্রবল বিস্ফোরণের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিসাধনে সক্ষম।

এর আগে গাজাবাসীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইসরায়েলের কাছে এই বোমা রপ্তানি আটকে দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর এই বোমার একটি চালান ইসরায়েলে পাঠিয়েছিলেন খোদ বাইডেন। তবে পরবর্তীতে গাজায় ব্যাপক জীবননাশের আশঙ্কায় এমকে-৮৪ রপ্তানি আটকে দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন। 

‘ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বোমার চালানটি এসে পৌঁছেছে তেল আবিবে। ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এই বোমা বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’, বলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ্‌।

ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে ইসরায়েল-হামাস কাদাছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে এমকে-৮৪ দেওয়ায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

কঙ্গোতে আবারও বিদ্রোহীদের আগ্রাসন

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
কঙ্গোতে আবারও বিদ্রোহীদের আগ্রাসন
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

কঙ্গোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বাকাভুতে ঢুকে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ রোয়ান্ডার মদদপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম-২৩। গত মাসে কঙ্গো প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও ফের আগ্রাসী পথে অবতীর্ন হয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয়দের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, অন্তত পাঁচজন বিদ্রোহীকে বাকাভু শহরে অস্ত্র হাতে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া এম-২৩-এর এক সদস্য খোদ বলেছেন, ‘আমরা বাকাভুতে অবস্থান করছি।’

এর আগে জানুয়ারিতে গুরুত্বপূর্ণ শহর গোমা দখলের পর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সহিংসতার এই পর্যায়ে দক্ষিণ কিভু প্রদেশের রাজধানী বাকাভু অঞ্চলে আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে স্থানীয় জনজীবনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এম-২৩।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বলেন, ‘আমি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি- বিদ্রোহীরা আমাদের শহরে ঢুকে পড়েছে।’

রবিবার বিদ্রোহীদের আক্রমণে নিহতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বাকাভুর বাসিন্দা ক্লদ বিসিমওয়া বলেন, ‘যে দুজন আজ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ছররা গুলি করা হয়নি, উদ্দেশপ্রনোদিত হয়ে বিদ্রোহীরা গুলি চালিয়েছেন।’

এই পরিস্থিতিতে শহরজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্ট হয়েছে। স্থানীয়রা ব্যাপক লুটপাটের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। লুট ও রাহাজানির 
শিকার হয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মজুদাগারও।

জানা গেছে, বাকাভুর কাভামু শহর জব্দ করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে এম-২৩। এসময় স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা করেনি।

এদিকে, কঙ্গোতে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা চলছে ইথিওপিয়ায় অনুষ্ঠিত আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলনে।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রতি ‘আঞ্চলিক সহিংসতা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ’ আহ্বান করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।

এদিকে এম-২৩কে সমর্থনের অভিযোগ প্রত্যাখান করে কঙ্গোতে চলমান সহিংসহার পেছনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতুকে দায়ী করেছে রোয়ান্ডা প্রশাসন। তবে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কঙ্গোতে অবস্থানরত বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে প্রায় ৪ হাজার সেনা পাঠিয়েছে রোয়ান্ডা। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাইমুর/

যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন অবৈধ অভিবাসীরা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে দিন যাপন করছেন অবৈধ অভিবাসীরা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের একমাস এখনো হয়নি। এর মধ্যেই নির্বাচনি প্রচারণায় দেশ থেকে অভিবাসী বিতাড়নের বিষয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। নিরাপত্তাবাহিনী টহল দিচ্ছে অনুন্নত এলাকাগুলোতে। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীরা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দেশটিতে অভিবাসীবিরোধী অভিযানের ভয়াল চিত্র।

সম্প্রতি দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ।

কলোরাডো অঙ্গারাজ্যের অওরোরা শহরের অভিবাসী ইয়েসিনিয়া ও তার স্বামী প্রতিটি দিনই ভয়ে কাটাচ্ছেন। ভেনিজুয়েলার অধিবাসী এই নারী রয়টার্সকে জানান, প্রায়ই পুলিশ সদস্যরা তাদের দরজায় কড়া নেড়ে যান। রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী এই দম্পত্তির আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র এখনো হাতে না আসায় তারা গৃহবন্দি। ভাগ্যক্রমে নিরাপত্তাবাহিনী এখনো জোরপূর্বক তাদের ঘরে ঢুকে পড়েনি। তবে যেকোনো দিন ঘরে ঢুকে তাদের প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে পারে- এই ভয়ে ঘুমাতে পারছেন না তারা।

একই চিত্র দক্ষিণাঞ্চলের আটলান্টায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রত্যাশী ভেনিজুয়েলার এক যুবককে আটক করে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর অভিবাসন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী ও পাঁচ মাসের সন্তান।

অভিবাসীদের আটকের পর হেফাজতে রাখতে বিশাল আটককেন্দ্র তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

জানা গেছে, কুখ্যাত গুয়ান্তানামো কারাগারে প্রায় ৩০ হাজার কারাকক্ষ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া কলোরাডোতে অবস্থিত বাকলি স্পেস ফোর্সের সামরিক ঘাঁটিতেও অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকারকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমালোচনার সুর লক্ষ্য করা গেছে। 

দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন সম্প্রতি গুয়ান্তানামো কারাগারে আটক অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আপিল করেছে।

প্রশাসনের ভাষ্য, যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, বৈধ অভিবাসীদেরও জোরপূর্বক আটক করা হচ্ছে বলে কিছু অভিযোগ এসেছে।

এ পরিস্থিতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/অমিয়/