
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম। এ বিষয়ে লেবাননের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং জানয়েছেন, নওয়াফ বিরোধীদের দমনে কঠোর হবেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানায়, সংসদের বেশিরভাগ সদস্যের ভোটে নওয়াফ সালামকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করায় লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সালাম বর্তমানে বিদেশে আছেন। তিনি মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন।
আরও জানানো হয়েছে, সংসদের ১২৮ সদস্যের মধ্যে ৮৪ জনের সমর্থন লাভ করেছেন সালাম এবং আউন তাকে সরকার গঠন করতে ডেকে পাঠিয়েছেন।
ইরান-সমর্থিত শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে এবং তার সিরীয় মিত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এদিকে সালামের নির্বাচিত হওয়া লেবাননের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা এও মনে করেন, হিজবুল্লাহর জন্য এটি একটি বড় আঘাত।
সালাম খ্রিস্টান ও দ্রুজ জনগণের পাশাপাশি সুন্নি মুসলিম আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পেয়েছেন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহ সমর্থক এবং বিরোধী উভয় পক্ষই তাকে ভোট দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহর সংসদীয় নেতা মোহাম্মদ রাদ সাংবাদিকদের বলেন, সালামকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত দেশে ‘বিভাজন’ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন মন্ত্রিসভা দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রতি সম্মান দেখাবে।
এদিকে, জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া এবং নাওয়াফ সালামের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার ফলে লেবাননের সরকার ব্যবস্থায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা অচলাবস্থা শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য ছিল এবং এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিপরিষদ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। সূত্র: রয়টার্স
তাওফিক/