ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

এমপক্সের কারণে সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
এমপক্সের কারণে সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি
এম পক্স। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটি এই জরুরি অবস্থা জারি করে বলে জানায় বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস(এপি)।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের কেউই সম্প্রতি সংক্রমিত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার রেকর্ড নেই। প্রথমে যে ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে, তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় পোর্ট লোকো জেলার একটি বিমানবন্দর শহর লুঙ্গিতে ভ্রমণ করেছিলেন।

এখন পর্যন্ত আক্রান্ত দুই রোগীকেই রাজধানীর ফ্রিটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমপক্স ভাইরাসটিকে মাঙ্কিপক্সও বলা হয়। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে ‘পক্সের মতো’ রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় বেশিরভাগ মানব শরীরে এসব সংক্রমণ হয়েছে। সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোকদের মধ্যে এটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।

তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর ফলে ৭০ টিরও বেশি দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এর আগে আগে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার কঙ্গোতে। এই বছর আফ্রিকায় আনুমানিক ৪৩ হাজার মানুষের শরীরে সন্দেহভাজন ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একহাজার মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে আফ্রিকাতে।

সিরেয়ার লিওনে ২০১৪ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। মূলত পশ্চিম আফ্রিকাকে প্রভাবিত করা এই প্রাদুর্ভাবটি। সারা বিশ্বের মোট ১১ হাজার মৃত্যুর মধ্যে সিয়েরা লিওনেই ৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ভাইরাসটি। ওই মহামারিতে দেশটি তার ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হারিয়েছে।

ইউএনবি/তাওফিক/

গাজা যুদ্ধবিরতি: আরও বন্দি মুক্তি পেলেন

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ এএম
গাজা যুদ্ধবিরতি: আরও বন্দি মুক্তি পেলেন
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস এবং এর বিপরীতে ইসরায়েল ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রেড ক্রসের কাছে  ওর লেভি, ওহাদ বিন আমি ও ইলি শরাবিকে হস্তান্তর করা হয়।

এ ছাড়া মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি ১৮৩ বন্দিদের বেশিরভাগকে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অভ্যর্থনা জানানো হয়।

তাদের প্রতিনিধি জানান, তারা সবার চিকিৎসা দরকার।

যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২১ জন বন্দি ও ৫৬৬ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দি ও ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই ৩৩ জনের মধ্যে ৮ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

শনিবার রেড ক্রসের কাছে শরাবি, বিন আমি ও লেভিকে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে  হস্তান্তর করার সময় সেখানে সশস্ত্র যোদ্ধাদের পাহারায় অনেক মানুষ জড়ো হয়। এ সময় একটি মঞ্চে এক হামাস কর্মকর্তা ও রেড ক্রস প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিক নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ বলেন, ৪৯১ দিন নরকযন্ত্র ভোগের পর অনাহারে, কষ্টে ও দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় এরা ফিরেছে।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও তাদের শারীরিক অবস্থার সমালোচনা করেন। তিনি হামাসকে ‘দানব’ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা আবারও দেখলাম হামাস কীভাবে আচরণ করেছে। হামাস বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, সাংস্কৃতিক উপায়ে বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এদের মধ্যে ৭০ জনের বেশি দীর্ঘমেয়াদি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আর ১১১ জন গাজায় আটক হয়েছিলেন।

রামাল্লায় পৌঁছানোর পর সাতজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব’ এএফপিকে জানায়, তারা নির্যাতনের কারণে গুরুতর অসুস্থ।

সংগঠনটির কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-জাগারি বলেন, আজ মুক্তি পাওয়া প্রতিটি বন্দিরই চিকিৎসার প্রয়োজন।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পশ্চিম তীরের আল-বিরেহ গ্রামের সাবেক মেয়র ও হামাসের নেতা জামাল আল-তাওয়িল (৬১) ও ছিলেন। তিনি ১৯ বছর ধরে দফায় দফায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার মেয়ে বুশরা আল-তাওয়িল গত জানুয়ারিতে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান।

মেহেদী/

ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

ক্যারিবিয়ান সাগরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ৫টা ২৩ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) অগভীর গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা জানিয়েছে, ক্যারিবিয়ান সাগর এবং হন্ডুরাসের উত্তরে ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পের পরে মার্কিন আটলান্টিক বা উপসাগরীয় উপকূলে সুনামি প্রত্যাশিত ছিল না, তবে পুয়ের্তো রিকো এবং ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের জন্য এই সতর্কতা জারি করেছে তারা।

সাও পাওলোতে সড়কে বিমান, নিহত ২

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম
সাও পাওলোতে সড়কে বিমান, নিহত ২
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের অর্থনৈতিক রাজধানী সাও পাওলোতে গত শুক্রবার একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। বিমানটি আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসে এবং সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ধাক্কা দিয়ে পরে বিস্ফোরিত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের প্রধান রোনাল্ডো মেলো বলেন, ছোট আকারের বিমানটি ক্যাম্পো ডে মার্তে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। 

সড়কে বিমানটি নেমে আসার পর সেখানে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আহত হন। মেলোর দেওয়া তথ্যানুসারে, দুর্ঘটনায় পাইলট ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। ছয়জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার সময় বিমানটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করছিল কি না, তা জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন মেলো। ব্রাজিলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি ছোট বিমানের দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালে ব্রাজিলে গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৭৫টি দুর্ঘটনায় মোট ৫২ জন মারা গেছেন। সূত্র: এএফপি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান থামেনি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান থামেনি
পশ্চিম তীরে থামেনি ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ২১ জানুয়ারি থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে তারা। এখনো থামেনি তাদের কার্যক্রম।

গত শুক্রবার ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতভর শরণার্থী শিবিরে হামলা হয়েছে। বেসামরিক বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরের আশপাশে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে।  

জেনিনের সরকারি হাসপাতালও নিজেদের কব্জায় রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই হাসপাতালের মূল ফটক আগেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জেনিনের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা ভেঙে দেয় তারা। ২০০২ সালের পর এবারই প্রথম এ রকম কোনো ঘটনা ঘটল। জেনিনের গভর্নর কামাল আবু আল-রাব নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে ২৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে শরণার্থী শিবির ও আশপাশের শহরগুলো দখলে রেখেছে। শরণার্থী শিবিরের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশপাশের ৩৯টি গ্রাম ও শহরে অবস্থান করছেন।   

রামাল্লার বেশ কিছু এলাকাতেও ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। ওল্ড সিটি অব হেব্রন থেকে তারা দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। ওই দুই ফিলিস্তিনি রুটি বিতরণ করছিলেন।

নাবলুসের দক্ষিণের বেইতা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালানোর সময় জরুরি চিকিৎসাকর্মীদের কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এ তথ্য জানায়। ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। ওই সময় সেটি জরুরি সেবা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল।  

তুলকারেমেও চলছে ইসরায়েলি অভিযান। সেখানেও বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দিনে সেখান থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু পরিবার তাদের অভিযানের মুখে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এক শিশু ও এক সাংবাদিকসহ চার ফিলিস্তিনিকেও হত্যা করা হয়েছে। সূত্র:  আল-জাজিরা

পঞ্চমবারের মতো হামাস-ইসরায়েলের বন্দী বিনিময়

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
পঞ্চমবারের মতো হামাস-ইসরায়েলের বন্দী বিনিময়
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির অধীনে পঞ্চমবারের মতো ১৮৩ বন্দির বিনিময়ে তিনজন ইসরাইয়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা নিয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনা ঘোষণার মধ্যেই এই বন্দি বিনিময় সংঘটিত হচ্ছে।

হামাসের জানায়, মুক্ত তিন ইসরায়েলি হলেন, এলি শারাবি, ওর লেভি ও ওহাদ বেন অ্যামি। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জিম্মিদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে হামসের জিম্মা থেকে মুক্তির পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতিতে ইয়ার্ডেন বিবাস হামাসের কাছে আটক স্ত্রী ও সন্তানের মুক্তি চেয়েছেন।

এদিকে হামাস বিবাসের স্ত্রী শিরি ও দুই ছেলের মৃত্যুর খবর জানালেও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি ইসরায়েল প্রশাসন।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পৃথক এক বিবৃতিতে জানান হয়, ওয়াশিংটনে অবস্থানরত নেতানিয়াহু ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদলের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে জিম্মিদের মুক্তির এই পর্যায় পর্যবেক্ষণ করবেন’।

হামাস এ পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/