
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাস সম্মত হয়েছে। উল্লাস করছেন প্রায় দেড় বছরজুড়ে নিপীড়িত গাজাবাসী। তবে এই শান্তিচুক্তির পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি? এ নিয়ে পৃথক বক্তব্যে নিজেদের অবদান দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় বাইডেন জানান, গেল বছর মে মাসে তার প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপের মাধ্যমেই প্রথম যুদ্ধবিরিতির প্রস্তাব আসে।
ইতিহাসের পাতায় এ ঘটনার অবদানে কার নাম লেখা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নিযুক্ত প্রশাসনের একটি দল এই যুদ্ধবিরতি আলোচনায় শুরু থেকে তৎপর ছিল। আসন্ন প্রশাসনও আমাদের রেখে যাওয়া পরিকিল্পনাই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে। তাই আসন্ন প্রশাসনকে আমরা সার্বিক বিষয়ে অবগত রেখেছি।’
এদিকে ট্রাম্পের দাবি, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পোস্টে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে আমরা নির্বাচিত হওয়ায় এই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি বাস্তব রূপ নিয়েছে। আমার প্রশাসন বিশ্বজুড়ে শান্তির প্রচার করবে।’
শেষ ৯৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরিতি আলাচনার দোহায় তার প্রতনিধি স্টিভ উইটকফকে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেও নিজের অবদান তুলে ধরেন ট্রাম্প।
এই সাফল্যের পেছনে উইটকফের প্রভাব অস্বীকার করেননি বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে ৫ জানুয়ারি থেকে দোহায় অবস্থান করছিলেন বাইডেনের প্রতিনিধি ব্রেক ম্যাকগার্ক।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিল-পিয়েরে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন জো বাইডেন।
‘এই পুরো প্রক্রিয়ায় বর্তমান ও আসন্ন প্রশাসন এক হয়ে কথা বলেছি।’
প্রায় ১৫ মাসের সহিংসতার পর বহুল প্রতীক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মাধ্যমে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।
এর পর ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় পুরো এলাকার জনগোষ্ঠী।
এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির পেছনে অবদান যারই হোক, গাজার শিশুরা একদিন অন্তত ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় নিয়ে ঘুমোতে যাবে না- এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/