ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

টিউলিপ নীতি ভঙ্গ করেননি: স্টারমার

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
টিউলিপ নীতি ভঙ্গ করেননি: স্টারমার
টিউলিপ সিদ্দিক ও কেইর স্টারমার

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সদ্য সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। এ সময় তাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার ও বিরোধীদলীয় নেতা কেমি বাডোনেচ বাদানুবাদে জড়ান। কেইর স্টারমার বলেন, টিউলিপ মন্ত্রিত্বের কোনো নীতি ভঙ্গ করেননি। তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি।

গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। 

দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা কেমি বাডোনেচ পার্লামেন্টে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু (টিউলিপ) পদত্যাগ করায় তিনি ব্যথিত। তিনি এমন একজনের জন্য ব্যথিত যিনি দুর্নীতিবিরোধী মিনিস্টার ছিলেন, কিন্তু নিজেই এখন দুর্নীতির জন্য তদন্তের অধীন।’

কেমি বাডোনেচ এ সময় আরও বলেন, “বাংলাদেশ ‍সরকারের উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক সিটি মিনিস্টার উপহার হিসেবে লন্ডনের যে ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন সেটি হয়তো ‘ডাকাতি করা’ অর্থের মাধ্যমে গড়া। প্রধানমন্ত্রী কী বাংলাদেশকে এই অভিযোগ তদন্তের জন্য আমাদের জাতীয় তদন্ত সংস্থার সহযোগিতার প্রস্তাব দেবেন। যাতে লন্ডনে যেসব সম্পদ চুরির অর্থে কেনা হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করা যায়।”

এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেন, ‘স্পিকার, সাবেক সিটি মিনিস্টার (টিউলিপ) নিজেই তার বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান। এতে জানা গেছে, তিনি মন্ত্রিত্বের কোনো নীতি ভঙ্গ করেননি। তার বিরুদ্ধে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। গত সোমবার তিনি নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানান। আমি এক সপ্তাহ পর গতকাল (মঙ্গলবার) এটির প্রতিবেদন পাই।’

‘দুর্নীতিবিরোধী পদে টিউলিপকে নিয়োগ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল’

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লেবারদলীয় এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পর্কের বিষয়টি জেনেও তাকে দুর্নীতিবিরোধী মিনিস্টারের পদে নিয়োগ দেওয়া ঠিক হয়নি। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও ভালোভাবে ভাবা উচিত ছিল। টিউলিপের পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন লেবার দলেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। লেবার পার্টির এক সদস্য বলেন, ‘এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’ 

এ ছাড়া ২০১৩ সালে যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ছবি সামনে আসে তখন থেকে রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগের ঘণ্টা বেজেছিল। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।  

লেবার পার্টির ওই সদস্য বলেন, ‘সবাই জানতেন, টিউলিপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন। ক্ষমতা ও অর্থের সঙ্গে তার বড় ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে এসব বিষয়ে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করা কি ঠিক হয়েছে? এ রকম সিদ্ধান্তটাকে কেউ ভালো বলবেন বলে আমি মনে করি না।’

প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ছবি প্রসঙ্গে টিউলিপ সংবাদমাধ্যম ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছিলেন, ‘আমি আমার খালার (শেখ হাসিনা) প্রতিনিধিদলের অংশ ছিলাম না। আমি গিয়েছিলাম, কারণ আমাদের (খালার সঙ্গে) অনেক দিন ধরে দেখা হচ্ছিল না। ওই বৈঠকে পুতিন বলেছিলেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা কি এখানে? আমি একটি ছবি তুলতে চাই।’ 

এদিকে ২০১৫ সালে নির্বাচনে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। তার দুই বছর আগে ক্রেমলিনে বিলিয়ন-ডলারের অস্ত্র এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চু্ক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে ওঠা প্রশ্নকে তিনি গুরুত্বই দেননি।

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রিত্বের মানদণ্ডবিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে যে চিঠি লিখেছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মন্ত্রীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক মুক্ত। তার আর্থিক কার্যক্রম বা সম্পদ অর্জনে কোনো অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল টিউলিপের। তাদের মধ্যে এক ব্যবসায়ী লন্ডনে টিউলিপকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে (উপহার) একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন টিউলিপের ছোট বোন। টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় বেশ কিছুদিন বসবাস করেছেন। তবে স্যার লরি ম্যাগনাসের পর্যালোচনায় ওই অভিযোগগুলো পুরোপুরি খণ্ডন করা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে খালা শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্ক এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। ম্যাগনাস বলেছেন, টিউলিপ অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, যা তার বিষয়গুলো সঠিক প্রমাণিত করে। তবে সময়ের অভাবে তিনি বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিতে সঠিক প্রমাণপত্র দিতে পারেননি। এটি দুঃখজনক। 

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো টিউলিপ দাবি করেছেন, লন্ডনের কিংস ক্রসে যে ফ্ল্যাটে তিনি একসময় বাস করতেন সেটির উৎস সম্পর্কে তিনি জানতেন না। তিনি মনে করেছিলেন এটি তার বাবা-মায়ের উপহার। তবে আসলে তা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে এসেছিল। যদিও তিনি ওই সময় একটি জমি ট্রান্সফার ফর্মে স্বাক্ষর করেছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ম্যাগনাস। এক সরকারি সূত্র জানায়, কোনো ব্যক্তি একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন কিন্তু তিনি জানেন না সেটা কোথা থেকে এসেছে? এটি বিশ্বাসযোগ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পল কাপুর

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পল কাপুর
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে পদ থেকে সরে গেছেন ডোনাল্ড লু। তার স্থানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সিনেটের অনুমোদন এখনো বাকি। ওই অনুমোদন পেলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত বুধবার সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পল কাপুর সম্পর্কিত ওই তথ্য জানানো হয়। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড লু জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরো আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।

পল কাপুর ভারত ও পাকিস্তানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের প্রথম দফায়ও দায়িত্ব পালন করেছেন পল কাপুর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নীতি পরিকল্পনা বিভাগে যুক্ত ছিলেন। বেশ কিছু বই লিখেছেন পল কাপুর। তার লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’, ‘ডেঞ্জারাস ডিটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইপন্স প্রলিফারেশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া’।

এ ছাড়া সহ-লেখক হিসেবে লিখেছেন ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে নিজ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের পরিচালক করেছেন কাশ প্যাটেলকে। শ্রীরাম কৃষ্ণানকে করেছেন হোয়াইট হাউসের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-বিষয়ক নীতি উপদেষ্টা। সূত্র: বিবিসি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিতে চায় না হামাস

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিতে চায় না হামাস
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ুক-চায় না হামাস। আগামী শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকির বিপরীতে নরম সুরে কথা বলছে এই সশস্ত্র সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে যুদ্ধবিরতির অধীনে শনিবারে আরও তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির ঘোষণা দিলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দেশটির কাছে বন্দি-হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান হামাস সদস্যরা।

জবাবে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে ‘জাহান্নামের আগুন’ দেখানোর প্রতিজ্ঞা করেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে, বন্দিবিনিময় না করলে হামাসের বিরুদ্ধে ফের তীব্র যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

এ পরিস্থিতিতে নমনীয় অবস্থান প্রকাশ করে হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল কানুয়া বলেন, ‘গাজায় বিদ্যমান ভেস্তে যাক-চাই না আমরা। বরং যুদ্ধবিরতি প্রলম্বিত করতে ইসরায়েল প্রশাসনের প্রতি চাপ বজায় রাখতে চাই।’

ট্রাম্প ও নেহানিয়াহুর ‘আক্রমণাত্মক মন্তব্য’ যুদ্ধবিরতির পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে মিসরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের এক প্রতিনিধি। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গিয়ে আবার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করতে চায় না হামাস, জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিনিধি।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি বহালের লক্ষ্যে তৎপর ভূমিকা পালন করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।

এদিকে সংকটাপন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংরক্ষিত সামরিক সদস্যদেরও প্রস্তুত করছে তেল আবিব।

গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ পরিস্থিতিতে শনিবারের অপেক্ষায় আছেন বিশ্লেষকরা। পুনরায় যুদ্ধ শুরু হলে বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে চীনের ক্ষতি কী?

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে চীনের ক্ষতি কী?
ছবি: সংগৃহীত

অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ইউরোপকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হলেও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশি নজর রাখছেন এশিয়ায়। এই মহাদেশে মার্কিন আধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একক অংশীদারত্ব স্থাপন করতে চান ক্ষ্যাপাটে এই নেতা। তাই ভূরাজনীতিতে চীনের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির এই বিশেষ দিক প্রতিফলিত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার সপ্রতিভ অংশগ্রহণে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আপাত মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়ার বেশিরভাগ দাবি মেনে নিয়ে মস্কোর সঙ্গে একটি সমঝোতার কূটনীতি স্থাপন করতে চান ট্রাম্প। এতে ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি মস্কোর মনোভাব কিছুটা তরল হবে বলে ধারণা তাদের।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে কিয়েভের ন্যাটোতে সদস্যপদের আবেদন বাতিল চায় মস্কো। এ ছাড়া ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত অধিকৃত ইউক্রেনীয় জমিতে নিজেদের দখল হারাতে চান না পুতিন। রাশিয়ার এসব দাবি মেনে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করেছন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভূরাজনীতিতে বিবর্তনের কারণে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ইউরোপের একাধিপত্য কমেছে।’ এ সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

চলতি মাসেই চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিংয়ের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাংসাসূচক মন্তব্য করলেও তিনি চীনবিরোধী বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়ন করায় বেইজিং বেশ চিন্তিত। এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বাড়াতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সখ্যতাও বেইজিংয়ের মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক পুরোনো। ২০২২ সালে চীনের প্রতি ‘সীমাহীন’ সহাবস্থান ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্রেমলিনকে বিপুল পরিমান অর্থসহায়তা দিয়েছে শি প্রশাসন।

এতদসত্ত্বেও, বেইজিংয়ের শঙ্কা- রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের নরম সুরে ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকতে পারে মস্কো।
   
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও আদতে বেইজিং বেশ সতর্ক অবস্থান ধরে রেখেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার ফলাফলের আশায় বসে আছে বিশ্ববাসী। এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যেতে পারে এশিয়ায় চীনের কূটনৈতিক প্রভাব। সূত্র: সিএনএন

নাইমুর/

ফ্রান্সের পানশালায় গ্রেনেড হামলা, আহত ১২

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
ফ্রান্সের পানশালায় গ্রেনেড হামলা, আহত ১২
গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ফ্রান্সের গ্রেনোবল শহরের একটি পানশালায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১২ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ঘটা এই ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

হামলার পর থেকে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া টুরেট-ডি-কোর্সি গ্রেনোবলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ একজন পানশালার ভেতরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে গ্রেনেডটি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ভীড় ছিল।’

আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানান তিনি।

তদন্তকারীরা এখনও হামলার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। তবে এই সংগঠিত ঘটনা সন্ত্রাসবাদ নয় বলে ধারণা তদের।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, দুর্বৃত্তের কাছে কালাশিনকোভ রাইফেল ছিল। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ারিক নিউডার আহতদের দেখতে গেনোবল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যাবেন বলে জানা গেছে। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, দায় স্বীকার আইএসের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা, দায় স্বীকার আইএসের
আফগানিস্তানের কুন্দুজে বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছেন একজন পথচারী। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি ব্যাংকে সংঘটিত আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইএসের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সরকারি ব্যাংকের সামনে বেতন নিতে জমায়েত ‘তালেবান মিলিশিয়া’দের উদ্দেশ করে এই হামলা পরিচালনা করা হয়। 

২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকে দেশটিতে সংঘাতের ঘটনা কমেছে। তবে, বিরোধী সংগঠন আইএস তালেবান সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে আফগানিস্তানে প্রায়ই বন্দুক ও বোমা হামলা চালায়।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কুন্দুজে একটা ব্যাংকের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এই হামলায় বুধবার সংগৃহীত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, আটজন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মতে, এই ঘটনায় ১০জন নিহত হয়েছেন।

দায়ও স্বীকার করে আইএস। এই হামলাও একটি ব্যাংকের বাইরে সংঘটিত হয়।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর কান্দাহারে বোমা হামলার পাশাপাশি গত ডিসেম্বরে রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবান সরকারের উদ্বাস্তু বিষয়ক মন্ত্রী খলিল-উর-রহমান হাক্কানি নিহতের দায়ও স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট। সূত্র: এএফপি

নাইমুর/