
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক। এই অ্যাপলিকেশনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে চীনা মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স।
আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই ঘোষণার পর তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন মুল্লুকে। দেশটির প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টিকটক ব্যবহারকারী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
অনেকেই পেশা হিসেবে টিকটকে কন্টেট ক্রিয়েশনকেই বেছে নিয়েছিলেন। গত কয়েকমাস যাবত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে বাইটডান্সের চলমান আইনি দ্বন্দ্বের এই সমাপ্তিতে মুষড়ে পড়েছেন তারা।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ও টিকটকে বিখ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জনসুক শিন (২৮) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত শুনে মন ভেঙ্গে গেছে। জানি না এখন কি হবে।’
এদিকে টিকটকের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম বয়কটে ঘোষণা দিচ্ছে একপক্ষ।
এ্রর আগে জাতীয় নিরাপত্তা শঙ্কায় টিকটককে মালিকানা বিক্রির নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। অন্যথায় দেশে অ্যাপলিকেশনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে। এরই প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন মেনে নিয়েছে বাইটডান্স।
২০২৩ সালেই টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশাসনের দাবি, টিকটকের সার্ভার চীনে অবস্থিত হওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে বেইজিংয়ের।
তবে সার্ভার চীনে হলেও টিকটকের সব কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্র থেকেই পরিচালিত হয় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাইটডান্স।
২০ জানুয়ারি অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন কিছুটা পেছাতে পারেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। তবে এ বিষয়ে কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। সূত্র: রয়টার্স
নাইমুর/