
সূর্যোদয়ের দেশ জাপান এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই নাকাই ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলে সৃষ্ট ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে জাপান বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে ধারণা করছে টোকিও প্রশাসন। এই ধারণা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা ৮২ শতাংশ, বলছে ভূমিকম্পবিষয়ক গবেষণা দল।
এই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির কারনে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন বলে জানান তারা।
৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত নাকাই অঞ্চল সমুদ্রগর্ভস্থ একটি খাত। এই এলাকার টেকটনিক প্লেটের নিচে ফিলিপাইন সমুদ্র টেকটনিক প্লেট আটকে থাকায় বিপুল পরিমান শক্তি জমা হচ্ছে। এক পর্যায়ে এই শক্তি ভূমিকম্প হয়ে প্রকাশ পাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পবিষয়ক গবেষণা দলের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘৭৯ বছর আগে বড় ধরণের একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। বর্তমানে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা প্রতিবছর ১ শতাংশ করে বাড়ছে।’
নাকাই খাত থেকে সৃষ্ট ভূমিকম্প শেষবার আঘাত হেনেছিল ১৯৪৬ সালে। আনুষ্ঠানিক নথির বরাতে এএফপি জানায়, প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছরের মধ্যে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে।
জাপানের ইতিহাসে ভয়ংকরতম ভূমিকম্পও এই নাকাই অঞ্চল থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল। ১৭০৭ সালে টেকটনিক প্লেটের সবকটি অংশ একসঙ্গে ফাটায় কেঁপে ওঠে পুরো জাপান। এই ভূমিকম্পের কারণে অগ্নুপাত হয়েছিল জাপানের বিখ্যাত মাউন্ট ফুজি আগ্নেয়গিরি থেকে।
এদিকে ২০১২ সালে জাপান সরকারের সতর্কবার্তা জানায়, ৩০ মিটারের চেয়ে উঁচু জলোচ্ছ্বাস হলে নিচু দ্বীপগুলো তলিয়ে যেতে পারে। ডুবে যেতে পারে হোনশু ও শিকোকুর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাও। সূত্র: এএফপি
নাইমুর/