
ইসরায়েল ও হামাস ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও অঞ্চলটিতে হামলার তীব্রতা কমায়নি নেতানিয়াহু সরকার।
শুক্রবারের (১৭ জানুয়ারি) সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান আগের মতোই চলছে।
আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা বাস্তবায়ন হবে বলে জানা যায়। তবে যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালে এসেও বেসামরিক গাজাবাসীদের ওপর বর্বর হামলা থামায়নি ইসরায়েল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্ত্বতায় দুই পক্ষ সমঝোতায় আসে।
তবে তেল আবিবের পার্লামেন্ট এখনো বিষয়টির অনুমোদন দেয়নি। হামাস শেষ মুহুর্তে এসে ‘বাড়তি সুবিধা চাইছে’ বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দেরী হচ্ছে ,জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে কয়েক ধাপে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরায়েল।
প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে আসবে নেতানিয়াহুর সৈন্যরা। এ সময় হামাস ও ইসরায়েল বন্দি বিনিময়ও করবে বলে জানা গেছে।
পরবর্তী ধাপগুলোতে বাকী বন্দিদেরও মুক্তি দিয়ে গাজার অবকাঠামো পুননির্মাণের বিষয়টি বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। এর পর প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন গাজার প্রায় সব বাসিন্দারা।
এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরিতির ঘটনা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
তবে যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালেও ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ গেছে গাজাবাসীর। নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই অবস্থানে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী রবিবার আদৌ এই ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতির সাক্ষী হতে যাচ্ছেন কি না নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। সূত্র: আল-জাজিরা, বিজনেস ইনসাইডার
নাইমুর/